আসেন দুর্নীতি করি। আর এই দুনিয়াটাকেই খুচাই!
মাঝরাতে ঘুম ভাঙার পর আর ঘুম আসছে না। প্রচন্ড ক্ষুধা লেগেছে কিন্তু ভাত রাধার মতো ইচ্ছে নেই। শীতের কনকনে হাওয়ায় হাড্ডি জমে গেলেও জানালা খুলে তারার আলোয় চকচকে আকাশ দেখতে খারাপ লাগছে না।
নিঃসঙ্গতাকে কাটানোর জন্য মানুষ কতকিছু করে।
মদের নেশায় ডুবে ডিস্কোতে গা ভাসিয়ে দেয়। ডিস্কো শেষে নাম না জানা তরুনীর সাথে সখ্যতা, হাসি ঠাট্টার মাতলামীতে ডুবে গিয়ে রাত কাটানো হতে পারে একটা অন্যরকম জীবনের অংশ। আবার হতে পারে বিশাল একটা ডেরিভেশন মাথার মধ্যে ঘুরতে ঘুরতে হঠাৎ একটা দুটো প্যারামিটার ওলট পালট করে দিলে অদ্ভূত ইকোয়েশন দাড়িয়ে যায়।
প্রতিদিন প্রতিরাত শিখছি, শিখবার শেষ নেই। হাতের তালুতে তাকিয়ে দেখি অনেক অনেক রেখা।
এসব রেখাগুলোকে সুতোর মতো ধরে নিলাম। অনেক অনেক সুতো। নাইলনের সুতো, রেশমী সুতো।
এই মহাবিশ্বের সবকিছুই সৃষ্টি এরকম সুতো দিয়ে। এই সুতো অবশ্য কোনো নাইলন বা রেশমীর তৈরী নয়, শক্তির তৈরী।
শক্তির তৈরী জিনিসটা হয়তো অনেকের বুঝে আসবে না। যদি বলি আমরা যখন কোনো কিছু ভাংতে ইলেক্ট্রন কোয়ার্ক লেভেলে চলে যাই তখন সেগুলো কিসের তৈরী সেটা ভাববার চেষ্টা করি। তখন আর কোনো কনিকা পাবো না। পাবো শক্তি। এই ধারনা থেকেই এটম বোমার সৃষ্টি হয়েছিলো।
যতরকম পারমানবিক শক্তির চিন্তা চেতনা এই মূল ভাবনা ঘিরেই। আইনস্টাইন একে E=mc^2 হিসেবে বলে গেছেন।
এই স্ট্রিং বা শক্তির তন্তু দিয়েই সবকিছুর সৃষ্টি। যারা ইলেক্ট্রিক্যাল ইন্জ্ঞিনিয়ারিং এ পড়ছেন তারা জেনে থাকবেন যে কোনো প্রকারের সিগন্যালকে আমরা সাইনোসয়ডাল ওয়েভ দিয়ে ব্যাখ্যা করতে পারি। একে বলি আমরা হারমোনিকস।
ল্যাপ্লাস ট্রান্সফরমেশনে নিয়ে সব গুলো সরলীকরন করা যায় খুব স হজে। স্ট্রিং থিওরীর ক্ষেত্রে সেম কাজটাই করা হয় তবে তাকে হিলবার্ট স্পেস বলা হয়। এই অংশটা যারা ইলেক্ট্রিক্যাল ইন্জ্ঞিনিয়ারিং এ পড়ালেখা করছেন না তাদের না বুঝলেও চলবে।
এই স্ট্রিং দিয়েই স্ট্যান্ডার্ড মডেলের সকল কনার সৃষ্টি। মহাবিশ্ব যদি একটা বিল্ডিং হয় তাহলে স্ট্যান্ডার্ড মডেলের কনিকা সমূহ হলো এর ইট আর চারটি মৌলিক বল হলো এই ইট গুলোকে বিভিন্ন সজ্জায় রেখে দেয়ার সিমেন্ট বা আঠা।
এই মডেলে ১২ রকমের মৌলিক ব্লক বা ইট আছে যার মধ্যে ছয়টা হলো বিভিন্ন রকমের কোয়ার্ক। এই কোয়ার্কের শ্রেনীবিন্যাস এভাবে করা যায় যে এগুলো একেকটা শক্তির ডিব্বা বা আধার। এদের নামগুলো হলো উপর, নীচ, চার্ম, স্ট্র্যান্জ্ঞ, শীর্ষ, সর্বশেষ। ব্লকের বাকী ছয়টা লেপটন নামে পরিচিত যার মধ্যে ইলেক্ট্রন, মিউওন, টাউওন, নিউট্রিনো পড়ে।
চারটি মৌলিক বল হল তড়িৎচৌম্বকীয় বল, গ্রাভিটি, শক্তিশালী এবং দুর্বল আনবিক বল।
এই বল গুলো বিভিন্ন মৌলিক কনিকার মাধ্যমে বাহিত হয়। যেমন ফোটন কনিকা যাকে আমরা আলোক কনিকা হিসেবে চিনি এই কনিকা তড়িৎচৌম্বকীয় বল বহন করে। যখন দুটো চুম্বক একে অপরকে আকর্ষন করে তখন এরা একে অপরের সাথে ফোটনের আদান প্রদান করে। গ্রাভিটি গ্রাভিটন নামক কনিকা দ্বারা বাহিত। শক্তিশালী বল গ্লুওনের আট টি কনিকা দ্বারা বাহিত এবং দুর্বল আনবিক বল W+, W- , Z কনিকা দ্বারা বাহিত।
যদিও সবগুলো বল বাহী কনিকা সমূহ পর্যবেক্ষন করা গেলেও গ্রাভিটন এর খোজ এখনো পাওয়া যায়নি সেহেতু এটা এখনো হাইপোর পর্যায়ে আছে কিন্তু এটা করা গেলে মূলত স্ট্রিং থিওরীর জন্য আর কোনো বাধা থাকে না। আর স্ট্রিং থিওরীর মাধ্যমে সবগুলো ব্যাখ্যা করা যায় বলেই একে বলা হয় থিওরী অব এভরিথিং।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।