ঈদ উল আযহাকে কেন্দ্র করে গরু মোটাতাজা করনের নামে অনেকে গুরুকে স্টেরয়েড দিচ্ছেন। এটা খাদ্যে ভেজাল দেওয়ার মতোই একটি কাজ। গরুকে যারা স্টেরয়েড জাতীয় জিনিস খাওয়ান তারা নিজেরাই গরুকে নিয়ে বিপদে পড়েন। কারণ এই স্টেরয়েড গরুর প্রশ্রাব কমিয়ে দেয় এবং প্রশ্রাব জমে শরীরে ফুলে ওঠে। কিডনী রোগে আক্রান্ত মানুষের যেমন শরীরের পানি জমে।
গরুর ক্ষেত্রেও তেমনি জমে। আপনি স্বাস্থ্যবান মনে করে রোগ আক্রান্ত গরু কিনছেন কিনা সেটা ভেবে দেখতে পারেন। এই গরুগুলোর জীবন হুমকীতে। যে কোনো সময় প্রচন্ড দৈহিক চাপে সে মারা যেতে পারে। যদি এই গরু ঈদের সময় বিক্রী না হয় তাহলে পাইকার বা খামারীরাও বিপদে পড়েন কারণ গরুকে বাঁচানোটাই কঠিন।
অতএব- স্টেরয়েড জাতীয় উপকরণ খাওয়ানো থেকে সকলকে বিরত রাখার চেষ্টা করা প্রয়োজন এবং একই সাথে সরকারের উচিত এগুলো নিষিদ্ধ করা। খামারী ও জনগণ উভয়ের স্বার্থেই এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।
গরু কেনার সময় আপনারা নিজেরাই বুঝতে পারবেন গরুটি স্বাস্থ্যবান কিনা।
১, শরীর টিপে দেখুন- এটা টাইট না আঙুল ডেবে যায়। ভাল গরুর শরীরে টিপ দিলে আঙুল দেবে্ যাবে না।
২.প্রশ্রাব পায়খানার হার লক্ষ্য করুন। এটা কম মানে সে অসুস্থ।
৩. গরুর আচরণ- কি স্বাভাবিক না অস্বাভাবিক? রোগাক্রান্ত গরু তার নিজের শরীর টেনে নিতে পারে না। বা তার চলতে কষ্ট হয়।
৪. তার শরীর চোখ উজ্জল কিনা।
এগুলো দেখে গরু কিনুন। আর সকলকে সচেতন করুন যাতে স্টেরয়েড জাতীয় উপাদান গরুকে না দেয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।