অপহরণের ১৮ দিন পর বরগুনায় সেপটিক ট্যাংক থেকে কলেজছাত্র অনিক চন্দ্র রায়ের (১৯) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গতকাল শনিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে শহরের থানাপাড়া এলাকার সাব রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ের সেপটিক ট্যাংক থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
অনিক বরগুনা ভোকেশনাল ইনস্টিটিউটের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র।
অনিকের বাবা শহরের থানাপাড়া এলাকার ব্যবসায়ী সুবল চন্দ্র রায় জানান, গত ১৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় চা খাওয়ার কথা বলে অনিক বাড়ি থেকে বাইরে গিয়ে আর ফেরেননি। ২০ সেপ্টেম্বর তিনি বরগুনা সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
এরপর অপহরণকারীরা তাঁকে ফোন করে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে শহরের সদর রোডে যেতে বলে। তিনি টাকা নিয়ে ওই স্থানে গিয়ে কাউকে না পেয়ে ফিরে আসেন। পরে অপহরণকারীরা আবারও তাঁকে ফোন করে টাকা নিয়ে আমতলী ফেরিঘাটে যেতে বললে তিনি কয়েকজন আত্মীয় নিয়ে যান। এর কিছুক্ষণ পরে অপহরণকারীরা ফোনে জানায়, সঙ্গে অনেক লোকজন আনায় অনিককে তারা ছাড়বে না।
পুলিশ জানায়, অনিকের বাবার কাছে যে মুঠোফোন নম্বর থেকে মুক্তিপণ দাবি করা হয়, ওই নম্বরটির সূত্র ধরে পুলিশ এক সপ্তাহ আগে সোহেল ও রুবেল নামে দুই যুবককে আটক করে।
তাঁদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী গত শুক্রবার শহরের সোনিয়া সিনেমা হল এলাকায় অভিযান চালিয়ে অনিকের সিমকার্ডসহ নাজমুলকে আটক করা হয়। পরে নাজমুলের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী গতকাল সালাউদ্দিন ও হূদয় নামের দুজনকে আটক করে পুলিশ। সালাউদ্দিন জিজ্ঞাসাবাদে জানান, তিনি একজন কাঠমিস্ত্রি ও তাঁর সহযোগী হূদয় বরগুনা সরকারি কলেজের সম্মান প্রথম বর্ষের ছাত্র। অনিকের সঙ্গে তাঁরা মাদক সেবন করতেন। মোটা অঙ্কের মুক্তিপণ আদায় করার জন্য তাঁরা ১৯ সেপ্টেম্বর অনিককে সাব রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ের পেছনে নিয়ে যান।
পরিকল্পনা অনুযায়ী অনিককে প্রথমে মদ ও পরে গাঁজা খাওয়ানো হয়। এতে অনিক অচেতন হয়ে যান। মৃত্যু হয়েছে ভেবে তাঁরা অনিককে সেপটিক ট্যাংকের মধ্যে ফেলে দেন। হত্যাকাণ্ডে সালাউদ্দিন ও হূদয় ছাড়াও আরও তিনজন জড়িত ছিলেন বলে স্বীকার করেন তাঁরা।
বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শীলমণি চাকমা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আজ রোববার সকালে প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বাকি তিনজনকে গ্রেপ্তারের জন্য শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হচ্ছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।