রংপুরে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ বলেছেন, ‘আমরা এখনো মহাজোট ছাড়িনি। তবে ২৪ অক্টোবরের পর আমাদের অবস্থান পরিষ্কার হয়ে যাবে। ওই পরিস্থিতিতে জাতীয় পার্টি কী করবে, তা দলের সর্বোচ্চ ফোরাম সিদ্ধান্ত নেবে। ’
আজ রোববার দুপুর ১২টায় রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার শঠিবাড়ি বাজারে এক পথসভায় তিনি এ কথা বলেন।
আগামী নির্বাচনে বৃহত্তর রংপুরের ২২টি সংসদীয় আসনে প্রার্থী মনোনয়ন প্রসঙ্গে এরশাদ বলেন, ‘এর আগে এই আসনগুলো নিয়ে মহাজোটের সঙ্গে মনোমালিন্য হয়েছে।
এ কারণে অনেক আসন হারিয়েছি। কিন্তু এবার তা হতে দেব না। এই ২২টি আসন এবার আমরা ছিনিয়ে আনব। ’
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে এরশাদ বলেন, ‘দলকে শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে হবে। বৃহত্তর রংপুরের আসনগুলো এবার আমরা ছিনিয়ে নিতে দেব না।
প্রয়োজনে আমরা এককভাবে নির্বাচন করব। জাতীয় পার্টি আর কোনো রাজনৈতিক দলের ক্ষমতায় যাওয়ার সিঁড়ি হবে না। ’ তিনি বলেন, দুই নেত্রীর হাতে দেশ আজ জিম্মি হয়ে পড়েছে। তাঁদের কাছে দেশের মানুষ নিরাপদ নয়। এই দুই নেত্রীর রাহুর গ্রাস থেকে দেশের মানুষ মুক্তি চায়।
মানুষ হানাহানি-বিদ্বেষ চায় না। মানুষ শান্তি চায়।
নির্বাচন-পদ্ধতির রূপরেখা প্রসঙ্গে এরশাদ বলেন, ‘আমি নির্বাচন পদ্ধতির যে রূপরেখা দিয়েছি, সেটা বাস্তবায়িত হলে সব দলই উপকৃত হবে। ইতিমধ্যে দেশের মানুষ আমার রূপরেখা গ্রহণ করেছে। ’
মিঠাপুকুর উপজেলার জাতীয় পার্টির সভাপতি ফখরুজ্জামানের সভাপতিত্বে পথসভায় আরও বক্তব্য দেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি মশিউর রহমান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জিয়াউদ্দিন বাবলু, জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবুল মাসুদ চৌধুরী, মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন কাদেরী ও যুব সংহতির সভাপতি আবদুর রাজ্জাক।
এর আগে এরশাদ মিঠাপুকুর উপজেলার শঠিবাড়িতে ইউনিয়ন ব্যাংকের উদ্বোধন করেন।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।