আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এই প্রথম তথ্য কমিশনেরই বিরুদ্ধে শুনানী তথ্য কমিশন আদালতে!!!

আসুন,সরকারী কর্মচারীদের ঘুষগ্রহণসহ সকল দুর্নীতিবন্ধে সর্বাত্মক সহায়তা করি। কারন সরকারি কর্মচারীরা দেশপরিচালনার হাতিয়ার। তারা যদি না হয় দক্ষ ও সততার অধিকারী, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং বাংণাদেশকে কল্যাণরাষ্ট্রে পরিণত করার কাজটি হবে সুদূরপরাহত।

ঢাকা, ০৬ অক্টোবর, ২০১৩: তথ্য অধিকার আইনের আওতায় তথ্যবঞ্চিত ১২জন অভিযোগকারীর আমলে নেয়া অভিযোগের শুনানীশেষে তথ্য কমিশন গতকাল ৯টি অভিযোগের নিষ্পত্তি এবং অনিষ্পন্ন ৩টি অভিযোগের শুনানীর পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেছে। এর মধ্যে একটি অভিযোগ ছিলো স্বয়ং তথ্য কমিশনের বিরুদ্ধে।

২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠার তথ্য কমিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও আপীল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এটাই হচ্ছে প্রথম অভিযোগের শুনানী। আজকের প্রথম শুনানী ছিলো ঢাকায় কর্মরত ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম বনাম তথ্য কমিশন। অভিযোগকারী বাংলাদেশ বার কাউন্সিল, এটর্নি জেনারেল অব বাংলাদেশ এর কার্যালয়, বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশন, জেলা ও দায়রা জজ, ঢাকা কার্যালয়, স্পেশাল ব্রাঞ্চ অব পুলিশ ঢাকা, ডিটেক্টিভ ব্রাঞ্চ অব পুলিশ, ঢাকা কার্যালয় কর্তৃক আজ পর্যন্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও আপিল কর্মকর্তা নিযুক্ত না করায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাপারে আইনগত নির্দেশনা চেয়ে কমিশনে অভিযোগ করেন। কিন্তু অভিযোগকারী ইতোমধ্যে (২ অক্টোবর) উক্ত ছয় প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট আবেদন করায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে রুলও জারী করেছে হাইকোর্ট, যা তিনি গোপন রেখে কমিশনকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন। ফলে কমিশন অভিযোগকারীকে ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করে দিয়েছে।

আজকের নিষ্পত্তিকৃত অন্যান্য অভিযোগের মধ্যে-সিরাজগঞ্জের ফেরদৌস হাসান বনাম প্রাথমিক গণশিক্ষামন্ত্রণালয়, ঢাকার নাসিম আহমেদ বনাম ঢাকা সরকারী টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, ঢাকার ইকবাল হোসেন বনাম সমবায় ভবন, ঢাকার আ আ ম একরামুল হক বনাম যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড, ঢাকার মাহমুদ আল হাসান বনাম নীলফামারী বিআরটিএ লাইসেন্সিং অথোরিটি এবং কিশোরগঞ্জের মাওলানা কারী ইলিয়াস বনাম কিশোরগঞ্জ ইসলামিক ফাউণ্ডেশন উল্লেখযোগ্য। প্রার্থিত তথ্যপ্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হওয়ায় এসব প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকতার বিরুদ্ধে কমিশন থেকে সমন জারী করা হয়েছিলো। শুনানীতে অংশ নেন যথাক্রমে প্রধান তথ্য কমিশনার মোহাম্মদ ফারূক, তথ্য কমিশনার সাবেক সচিব এম এ তাহের ও তথ্য কমিশনার অধ্যাপক ডঃ সাদেকা হালিম। উল্লেখ্য যে, অভিযোগকারীগণ নির্ধারিত ফরম্যাটে তথ্য চেয়ে বঞ্চিত হবার পর সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার ঊর্ধ্বতন আপীল কর্তৃপক্ষের নিকট আপীল করেন। সেখানেও প্রতিকার না পেয়ে আইনানুযায়ী তথ্য কমিশনে অভিযোগপেশ করে থাকেন।

কমিশন উভয়পক্ষকে সমন দেয়ার পর শুনানীর মাধ্যমে অভিযোগ নিষ্পত্তি করেন।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।