আগ্রহী দম্পতিরা সন্তান নিতে চাইলে তাঁদের সন্তান কেমন হবে, তা আগেভাগেই নির্ধারণ করতে পারবেন। ডিএনএ পরীক্ষা করে তা করা যাবে। আগেভাগেই শিশুর গঠন ও বৈশিষ্ট্য নির্ধারক একটি তথ্যভান্ডারে তা সংরক্ষিত থাকবে। এই তথ্যভান্ডার থেকে (ডেটাবেজ) পছন্দসই শিশু গ্রহণ করতে পারবেন আগ্রহীরা। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ‘২৩অ্যান্ডমি’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান এমন একটি ডেটাবেজের পেটেন্ট পাওয়ায় তা নিয়ে বিশেষজ্ঞরা সমালোচনা করছেন।
এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি অনলাইন।
২৩অ্যান্ডমির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের পেটেন্টকৃত ‘ফ্যামিলি ট্রেইট ইনহেরিটর ক্যালকুলেটর’ শিশুদের বংশগত রোগের ঝুঁকি নির্ণয়সহ শিশুর উচ্চতা, ওজন, চোখের রং ও ব্যক্তিত্বের ধরন কেমন হবে তা অনুমান করতে পারে। দম্পতিরা ডিএনএ পরীক্ষা করে তাঁদের শিশু কেমন হবে, তা আগেভাগেই ঘরে বসে জেনে নিতে পারবেন। তবে এ বিষয়টি নৈতিকতা ও সামাজিকতার ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব ফেলবে বলে সমালোচনা করছেন অনেকে। এর অপব্যবহারের আশঙ্কাও করছেন তাঁরা।
পেটেন্টকৃত এ ডেটাবেজ ফার্টিলিটি ক্লিনিকগুলোতে ব্যবহার করা হতে পারে। এর ফলে আদর্শ শুক্রাণুদাতার খোঁজও এ ডেটাবেজ থেকে পাওয়া যেতে পারে। তবে ২৩অ্যান্ডমির কর্তৃপক্ষ এ প্রসঙ্গে জানিয়েছে, ক্লিনিকগুলোতে এ ডেটাবেজ ব্যবহারের কোনো পরিকল্পনা তাদের নেই।
সেন্টার ফর জেনেটিকস অ্যান্ড সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক মারসি ডারনোভস্কি সমালোচনা করে বলেন, ২৩অ্যান্ডমি বা যেকোনো প্রতিষ্ঠান যদি এ পেটেন্ট নিয়ে কোনো ব্যবসা চালু করে, তা মোটেও ভালো কিছু হবে না। এটা অনেকটাই কারিগর শিশু পাওয়ার জন্য কারিগর দাতা সওদা করার মতো ঘটনা হবে।
এ ধরনের পেটেন্ট দেওয়া মারাত্মক ভুল হয়েছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।