আজ ৯ অক্টোবর, বিপ্লবী চে গুয়েভারার মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৬৭ সালের এই দিনে লাতিন আমেরিকার দেশ বলিভিয়ার সামরিক বাহিনী তাঁকে গুলি করে হত্যা করে। তাঁর স্মরণে আজ ধানমন্ডির রবীন্দ্রসরোবর মঞ্চে বিকেল চারটায় চে সংহতির উদ্যোগে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। এই আয়োজন নিয়ে কথা হলো মাহমুদুজ্জামান বাবুর সঙ্গে।
চে সংহতির এটি কততম আয়োজন?
চের স্মরণ অনুষ্ঠান আমরা প্রথম আয়োজন করেছিলাম ২০০৮ সালে।
সেই হিসেবে এটি পঞ্চমবারের মতো আয়োজিত হচ্ছে।
|চে গুয়েভারা টি শার্টে, পোস্টার, কাপে বিজ্ঞাপনের মতো করে আছেন। তার পরও তাঁকে নিয়ে এই স্মরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন কেন?
আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই, চে বিজ্ঞাপন বা বাণিজ্যিক কোনো বিষয় নন। তিনি ছিলেন বিপ্লবী। শ্রেণীবিভক্ত সমাজের ধনিক শ্রেণীর শোষণ ও নিপীড়ন থেকে মানুষের মুক্তির জন্য তিনি আমৃত্যু লড়েছেন।
মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ তাঁকে হত্যা করেছিল, আবার তাঁর বিশাল জনপ্রিয়তাকে পুঁজি করে ব্যবসাও করছে। আমরা চের বিপ্লবী চেতনা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য এই আয়োজন করি।
চেকে তরুণরা কোন চোখে দেখে?
চের পরিচয় প্রধানত একটাই। তরুণ-যুবক-প্রবীণ—সবাই চেকে একটি পরিচয়েই চেনে। সেটি হলো, অন্যায়ের বিরুদ্ধে যেকোনো মুহূর্তে যেকোনো অবস্থায় যেকোনো স্থানে প্রতিবাদের মূর্ত প্রতীক আর্নেস্ত চে গুয়েভারা।
একজন বিপ্লবীর কোনো স্বদেশ থাকে না। নিপীড়িত বিশ্বই তাঁর স্বদেশ।
আজকের অনুষ্ঠানে কী কী থাকছে?
প্রতিবারের মতো এবারও আলোচনা, আবৃত্তি ও গণসংগীত। আলোচক হিসেবে থাকবেন মফিদুল হক ও আনু মুহম্মদ। আবৃত্তি করবেন শিমুল মুস্তাফা ও জাহীদ রেজা নূর।
গান করবেন সাজেদ ফাতেমী, বাপ্পা মজুমদার ও গানের দল মৃত্তিকা। চে সংহতির পক্ষ থেকে আমরা আজকের অনুষ্ঠানে সবাইকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।
বিনোদন প্রতিবেদক
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।