একাত্তরে নৃশংসতম হত্যা, গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ করার পরেও সর্বোচ্চ শাস্তি না হওয়ায় বাংলাদেশে কখনো খুন-খারাবির মতো অপরাধ বন্ধ হবে না বলেও মনে করেন তিনি।
বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে-২ রায় ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় শহীদুল হক বলেন, “আমি এটাকে একটা হুইল চেয়ার ভার্ডিক্ট বলবো। উনি হুইল চেয়ারে চড়ছেন কি না সেটা বিবেচনা করে রায় দেয়া হয়েছে।”
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধকালে নির্যাতন, হত্যা ও গণহত্যার নয়টি ঘটনায় আব্দুল আলীমের অপরাধ প্রমাণিত হলেও তার শারীরিক অসুস্থতা বিবেচনায় নিয়ে তাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল বলেন, “বয়স ও হুইল চেয়ার বিবেচনা না করলে তার সর্বোচ্চ শাস্তি হতো-এটা ট্রাইব্যুনালও স্বীকার করেছে,”
“এতো খুন-খারাবির পরেও সর্বোচ্চ শাস্তি না হলে বাংলাদেশে আর কখনো খুন-খারাবি বন্ধ হবে না।”
স্বাধীনতাবিরোধী রাজনৈতিক দল মুসলিম লীগের নেতা হিসাবে একাত্তরে জয়পুরহাটে রাজাকার বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাপক নিধনযজ্ঞ চালান আবদুল আলীম।
এক সময়ের মুসলিম লীগ নেতা ও জিয়াউর রহমানের আমলের মন্ত্রী আলীম হলেন বিএনপির দ্বিতীয় নেতা, যুদ্ধাপরাধের দায়ে যার সাজার আদেশ হলো।
এর আগে গত ১ অক্টোবর যুদ্ধাপরাধে বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।