আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভোট এবং কোরবানীর পূজা

লড়াই করে জিততে চাই

“বনের পশু নয়, মনের পশু কোরবানী দাও!” এটা হয়তো কাব্যিক কথা! বাস্তবে মানুষ বনের পশু কোরবানী দেয় মনের পশুকে শান্তি দিতে। লক্ষ লক্ষ পশু কোরবানী হবে আর কয়েক দিন বাদেই! আর নরপশুরা রসিয়ে রসিযে খাওয়ার জন্য হাঁ করে বসে রয়েছে। লুটপাটের টাকা, দুনীতির টাকা, সুদের টাকা দিয়ে কেনা হবে পশু! এদিকে পশু কোরবানীর ভঙ্গীতে প্রায় একই সময়ে মর্তে আগমন ঘটবে দেবী দূর্গার। দূর্গা মহিষরূপী অসুরকে বদ করছে! আর অসংখ্য অসুর দূর্গামূর্তীর চরণে প্রণাম করবে তাকে অসুর বধের বাহবা দিতে। নিজেদের অসুরত্ব অক্ষতই থাকছে সেখানেও।

নরপশুরা, অসুররা সবাই এখন আনন্দে উন্মত্ত! শুধু পূজা-কোরবানী তো নয়, এর পরেই আসছে ভোট! ভোটের বাদ্যি বেজে গিয়েছে অনেক আগেই। দোতরফা হোক আর একতরফা! ভোট একখান হবে নিশ্চয়! টাকা ছড়ানো তো হবেই! যেমন হবে কোরবানীতে মাংস ছড়ানো আর দুর্গা পূজায় খই ছিটানো। নতুন পাগল, পুরাতন পাগল সব হন্তদন্ত হয়ে ছুটছেন গ্রামের দিকে! ঈদ-পূজা করবেন ভোটারদের সাথে! পাঁচ বছর যাদের মুখ দেখা হয়নি। এখন তারা পা ধুয়ে বসে থাকলে তো চলবে না? পায়ে ধুলা মাখিয়ে রাস্তা দিয়ে ঘুর ঘুর করতে হবে, যে পথে ভোটভিখারীরা মাথা নত করে হাঠবেন! কোলাকুলি হবে, মুলামুলিও হবে এলাকার বা ভোটারের দাবীদাওয়া নিয়ে! শিয়ালের গর্তও জিয়ারত হবে! তারপর কোরবানী-পূজা ফুরিয়ে যাবে! ফুরাবেন না ক্ষমতাবানরা, ফুরাবে না নরপশু আর অসুরের দল! কখনও বা ক্ষমতার চারপাশে, আবার কখনও ক্ষমতার অভ্যন্তরেই কিলবিল করবে ওরা! কুরে কুরে খাবে সমাজ, সংস্কৃতি আর না পাওয়া শ্রমজীবীদের চিন্তা ও শরীর। হাসিনা সরকার নাকি দুর্গাপূজার বরাদ্দ বাড়িয়ে দিয়েছে।

গতবার মন্দির প্রতি যেখানে প্রায় আট হাজার টাকা পেয়েছিলো সেখানে এবার নাকি সাধারণ পূজামন্ডপের পাওয়নাও দশ হাজার ছাড়াবে! কোরবানীর জৌলুসও কম হবে না! কোরবানীর পশুর সংখ্যাও বাড়বে ভোটভিখারীদের বাড়ীতে। আগেভাগেই মহার্ঘ ভাতা ছিটিয়ে দেয়া হয়েছে আমলাদের মুখে! দাঁড়িপাল্লার দৌরাত্ম কোরবানী করা হয়েছে ইতিমধ্যে! তবে নরপশুরা এখনও স্বহাস্যবদনে! বোঝাপড়ার চেষ্টা হচ্ছে অনেক! হেফাজত পূজা হয়েছে কয়েকদফা! শেষমেষ হয়তো জামাত পূজারও জোগাড় হবে। ভোটের ফুলসিরাত পারাতে কতোনা চালাকি, ধাপ্পাবাজী!


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।