আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

২৪ অক্টোবরের পরও সংসদ চালানোর আহ্বান

বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়া ২৪ অক্টোবরের পর আন্দোলন শুরুর যে হুমকি দিয়েছেন তাকে অসাংবিধানিক বলেছেন মহাজোটের চার সাংসদ। তাঁরা বলেছেন, সাংবিধানিকভাবে সংসদের মেয়াদ ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত আছে। সুতরাং ২৪ অক্টোবরের পরও সংসদ চলতে পারে।

আজ বুধবার সংসদের পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে অনির্ধারিত এক আলোচনায় এ কথা বলেছেন সরকার দলের সাংসদ তোফায়েল আহমেদ, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, মতিয়া চৌধুরী ও মাইন উদ্দীন খান। তাঁরা ২৪ অক্টোবরের পরও সংসদ চালিয়ে যাওয়ার জন্য স্পিকারের প্রতি আহ্বান জানান।

১২ সেপ্টেম্বর সংসদের কার্যউপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত সংসদের অধিবেশন চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ওইদিন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদে বলেছিলেন, ২৫ অক্টোবর থেকে ২৪ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

অন্যদিকে খালেদা জিয়া বলেছেন, ২৪ অক্টোবরের পর সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন চালানো হবে। তিনি নির্বাচন প্রতিহত করার জন্য সারা দেশে সংগ্রাম কমিটি গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন।  

এ প্রসঙ্গে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘থ্রেট দেওয়া হচ্ছে, হুঙ্কার করা হচ্ছে, বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে।

তাই ২৪ অক্টোবরের পরেও সংসদের অধিবেশন চলা উচিত বলে আমি মনে করি। কারণ সংসদের মেয়াদ ২৪ অক্টোবরে শেষ নয়। ২৫ অক্টোবরও সংসদ বসতে পারে। তবে নির্বাচনের সিডিউল ঘোষণা হলে সংসদ বসবে না। ’ তোফায়েল আরও বলেন, ‘খালেদা জিয়া কথায় কথায় বলছেন ২৫ অক্টোবর থেকে আন্দোলন করবেন।

এটা বলতেই পারেন। কিন্তু সংগ্রাম পরিষদ গঠন করে নির্বাচনকে বাধাগ্রস্থ করতে পারেন না। ’

খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, ‘উনি ২৪ তারিখ কোথায় পেলেন? কতদিন সংসদ চলবে সেটা ঠিক করার দায়িত্ব স্পিকারের। ২৪ তারিখ কোনো রেডলেটার ডে না। ২৪ অক্টোবরের পরে সংসদ চলায় কোনো বাধা নেই।

পাঁচ বছরের এক মুহূর্ত আগেও সংসদ ভাঙার অধিকার কারও নেই। সুতরাং অশান্তি করার দরকার নাই। নির্বাচনে আসেন, দ্যাখেন সুষ্ঠু হয় কি না। এখন পর্যন্ত যা করছেন তা রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল।

কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, ২৪ অক্টোবর নিয়ে জল্পনা-কল্পনা হচ্ছে।

চায়ের কাপে ঝড় তো বলব না, খালেদা জিয়া কোনো একটা খেলা খেলছেন। এজন্য হুঙ্কারের পর হুঙ্কার দিচ্ছেন। অবশ্য হুঙ্কার দেওয়া উনার স্বভাব। এরশাদের বিরোধী আন্দোলনের সময় বলেছিলেন সিপাহী-জনতা জাগো। যখন কেউ জাগল না, তখন বললেন, আমাকে হাইজ্যাক করা হয়েছিল।

এবারও বগুড়া গিয়ে বলেছেন, সিপাহী-জনতা সময়মত জাগবে। জানি না জাগবে কিনা। ’

জাসদ নেতা মাইন উদ্দিন খান বলেন, সংবিধান পছন্দ না হলে কীভাবে তা পাল্টাবেন তার পথ আছে। এই পথ থাকা স্বত্বেও তিনি উত্তেজনা ছড়াচ্ছেন। সঠিক কাজটি করছেন না।

তিনি আরও বলেন, ২৪ অক্টোবরের পরে কিছুই হবে না। কোনো অনিশ্চিত গন্তব্যে বাংলাদেশ যাত্রা করছে না। সংবিধান যদি মানেন তাহলে কীভাবে নির্বাচন হবে তার ব্যাখ্যা সংবিধানে আছে।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।