আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চাই শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন

২০১০ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের সময় থেকেই ক্ষমতাসীন দল সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী ও সক্ষম করার কথা বলে আসছে। গত সোয়া তিন বছরে নদীতে অনেক জল গড়িয়েছে, কিন্তু কমিশনকে শক্তিশালী করার কোনো উদ্যোগ কারও পক্ষ থেকেই নেওয়া হয়নি। বরং কমিশন নিজে এবং সরকারও কমিশনকে দুর্বল করারই প্রচেষ্টা চালিয়েছে।
কমিশনকে শক্তিশালী ও কার্যকর করার জন্য চারটি সুস্পষ্ট পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। প্রথমত, প্রয়োজন কমিশনের কাজের বৈধতা প্রদানের এবং কমিশনের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার জন্য একটি যথাযথ আইনিকাঠামো।

দ্বিতীয়ত, প্রয়োজন যোগ্য, স্বাধীনচেতা ও নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের কমিশনে নিয়োগ দান। তৃতীয়ত, প্রয়োজন সরকারের পক্ষ থেকে কমিশনকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দান। চতুর্থত, প্রয়োজন রাজনীতিবিদ ও রাজনৈতিক দলের সদাচরণ।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) আমাদের মূল নির্বাচনী আইন। ‘সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিক’সহ আরও কিছু সংগঠন ও ব্যক্তির নিরবচ্ছিন্ন প্রচেষ্টার ফলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালে অধ্যাদেশের মাধ্যমে আরপিওর ব্যাপক সংস্কার করা হয়।

এসব সংস্কারের ফলে আমাদের নির্বাচন প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন ঘটে এবং প্রার্থীদের তথ্য প্রদানের বাধ্যবাধকতা সৃষ্টি হয়। কমিশনের অধীনে বাধ্যতামূলক নিবন্ধনের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলো একটি আইনিকাঠামোর মধ্যে আসে। কমিশনের সচিবালয়কে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের নিয়ন্ত্রণমুক্ত ও স্বাধীন করা হয়। কিন্তু ক্ষমতাসীন দলের ‘দিনবদলের সনদ’ শীর্ষক নির্বাচনী ইশতেহারেও ‘নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচনপদ্ধতির চলমান সংস্কার অব্যাহত’ রাখার অঙ্গীকার করা হলেও, এর জন্য কোনো উদ্যোগই গত পৌনে পাঁচ বছরে নেওয়া হয়নি। বরং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা যেন উল্টো পথেই হেঁটেছেন।


উদাহরণস্বরূপ, ২০০৭ সালের অধ্যাদেশে প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় দলের তৃণমূলের কমিটিগুলোর মতামতের ভিত্তিতে তৈরি প্যানেল থেকে সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়ার বাধ্যবাধকতা সৃষ্টি করা হয়। কিন্তু অধ্যাদেশটি নবম সংসদে অনুমোদনের সময় এ বাধ্যবাধকতা রহিত করে প্যানেলটি শুধু বিবেচনায় নিয়ে মনোনয়ন দেওয়ার বিধান করা হয়। এর ফলে মনোনয়ন প্রদানের ক্ষেত্রে দলীয় প্রধানদের নিরঙ্কুশ ক্ষমতা আবারও প্রতিষ্ঠিত হয় এবং মনোনয়ন-বাণিজ্যের ব্যাপক বিস্তার ঘটে। একই সঙ্গে সংসদ ‘না’ ভোটের বিধানও বাতিল করে।
গত ২৫ জুলাই বর্তমান নির্বাচন কমিশন আরপিও সংশোধনের লক্ষ্যে যেসব প্রস্তাব বিল আকারে আইন মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করেছে, তাতেও তেমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের উদ্যোগ নেই।

নেই কমিশনের সক্ষমতা বৃদ্ধির কোনো পদক্ষেপ। বরং কমিশন ২৮ জুলাই নিজের ক্ষমতা খর্ব করার লক্ষ্যে গুরুতর অসদাচরণের অভিযোগে প্রার্থিতা বাতিল-সম্পর্কিত আরপিওর ৯১ই ধারা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়। দেশব্যাপী প্রতিবাদের মুখে অবশ্য বহু গড়িমসির পর কমিশন তার এ আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে।
প্রসঙ্গত, কমিশনের আরপিওর ৪৮টি ধারায় পরিবর্তনের প্রস্তাব করলেও, এগুলোর মধ্যে ছয়টি ছিল মোটামুটি গুরুত্বপূর্ণ: (১) নির্বাচনী ব্যয়সীমা ১৫ লাখ থেকে ২৫ লাখে বৃদ্ধি; (২) কমিশনকে নির্বাচনী ব্যয় নিরীক্ষণের ক্ষমতা প্রদান; (৩) নির্বাচনী অপরাধের জন্য দণ্ডের বিধানে পরিবর্তন; (৪) কমিশনের পক্ষ থেকে যেকোনো সরকারি কর্মকর্তার বদলির অনুরোধ জানালে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যথা দ্রুত সম্ভব তা কার্যকর করার বাধ্যবাধকতা; (৫) স্বতন্ত্র-বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার ওপর বাধানিষেধ আরোপ; এবং (৬) প্রাসঙ্গিক কোনো তথ্য গোপন বা আরপিওর যেকোনো বিধান অমান্য করার জন্য নির্বাচনী বিরোধের দরখাস্ত করার বিধান।
কমিশনের সবগুলো প্রস্তাবও আইন মন্ত্রণালয় গ্রহণ করেনি।

কমিশন আইনের ৪১টি ধারায় পরিবর্তনের প্রস্তাব উপেক্ষা করে মন্ত্রণালয় ২৮টি ধারায় পরিবর্তনের সুপারিশসংবলিত একটি বিল মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের জন্য প্রেরণ করে। এতে নির্বাচনী ব্যয়সীমা বৃদ্ধির এবং স্বতন্ত্র-বিদ্রোহী প্রার্থীর ওপর বাধানিষেধ আরোপ করা-সংবলিত কমিশনের প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত করা হয়। উল্লেখ্য, বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপের দাবি ক্ষমতাসীন দল বহুদিন ধরেই করে আসছে। এতে অবশ্য সম্ভাব্য প্রার্থীদের নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার গণতান্ত্রিক অধিকার ক্ষুণ্ন হবে, নির্বাচনে প্রার্থীর সংখ্যা কমে যাবে এবং আমাদের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই বিষয়টি পুনর্বিবেচনার দাবি রাখে।


নির্বাচনী ব্যয়সীমা বৃদ্ধির প্রস্তাব সাধারণ মানুষের প্রতি চরম বৈষম্যমূলক। এতে একদিকে যেমন নির্বাচনে টাকার খেলা বন্ধ হবে না, অন্যদিকে এতে সাধারণ মানুষের সংসদে নির্বাচিত হওয়ার সুযোগও সৃষ্টি হবে না, যার ফলে আমাদের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাতে সমাজের সর্বস্তরের জনগণের প্রতিনিধিত্বশীলতা নিশ্চিত হবে না। তাই বৃদ্ধির পরিবর্তে কমিশনের উচিত নির্বাচনী ব্যয় কমানোর সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো।
নির্বাচনী অপরাধের জন্য মন্ত্রিপরিষদ দণ্ডের পরিমাণ অনেকটা লঘু করেছে। বর্তমানে আরপিওতে একই সঙ্গে (ধারা-৭৮ ব্যতীত) সশ্রম কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডের বিধান থাকলেও, মন্ত্রিপরিষদ বিনাশ্রম কারাদণ্ড অথবা অর্থদণ্ডের অথবা উভয় দণ্ডের প্রস্তাব করেছে।

তাই গুরুতর নির্বাচনী অপরাধের জন্য অনেকেই শুধু অর্থদণ্ড দিয়ে পার পেয়ে যেতে পারেন। এ ছাড়াও কমিশনের পক্ষ থেকে কোনো সরকারি কর্মকর্তার বদলির অনুরোধ জানালে কর্তৃপক্ষ তা দ্রুত কার্যকর না করে টালবাহানার আশ্রয় নিয়ে সময় পার করে দিতে পারে। অতীতে দলীয় সরকারের পক্ষ থেকে কমিশনের অনুরোধ অমান্য করার একাধিক নজির রয়েছে।
কমিশনের অন্য দুটি প্রস্তাব কমিশনের পক্ষ থেকে নির্বাচনী ব্যয় নিরীক্ষণ এবং তথ্য গোপন বা আরপিও লঙ্ঘনের জন্য নির্বাচনী বিরোধের দরখাস্ত করার এখতিয়ার মন্ত্রণালয় গ্রহণ করেনি, যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এ দুটি গ্রহণ করলে এবং আইনে পরিণত হলে নির্বাচনী ব্যয় কমানোর, তথ্য গোপন এবং আরপিও অমান্য করার ওপর কিছুটা হলেও ইতিবাচক প্রভাব পড়ত।

বস্তুত, মন্ত্রণালয়ের এ ধরনের সংস্কারের বিরোধিতা ছিল নিঃসন্দেহে একটি জনবিরোধী সিদ্ধান্ত।
বর্তমান নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগের বিষয়ে আসা যাক। একটি অনুসন্ধান কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে তাঁরা নিয়োগ পেলেও, কমিটির কিছু সদস্যের বিরুদ্ধে চরম দলপ্রীতির অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া কমিটি অন্য কাদের বিবেচনা করেছে এবং কী মানদণ্ডের ভিত্তিতে বর্তমান কমিশনারদের নাম সুপারিশ করেছে, তা-ও প্রকাশ করা হয়নি। এ ছাড়া অন্তত দুজন কমিশন সদস্য ১৯৭৩ সালের বিশেষ ব্যাচের সরকারি কর্মকর্তা, যাঁদের সরকারি দলের একজন অতি গুরুত্বপূর্ণ নেতার ব্যাচ বলে আখ্যায়িত করা হয়।

প্রসঙ্গত, এই দুজনের আর্থিক সততা নিয়ে প্রশ্ন না থাকলেও, তাঁদের বিরুদ্ধে ক্ষমতাসীনদের প্রতি আনুগত্যের অভিযোগ রয়েছে এবং গত সরকারের আমলে তাঁরা বঞ্চিতও হয়েছিলেন। তাই বর্তমান কমিশনারদের নিয়োগের স্বচ্ছতা, এমনকি তাঁদের কয়েকজনের নিরপেক্ষতা নিয়েও জনমনে প্রশ্ন রয়েছে।
সবচেয়ে হতাশাব্যঞ্জক হলো যে কমিশনের সদস্যদের যেন নিজেদের ক্ষমতা সম্পর্কেই হয় কোনো ধারণা নেই, না হয় কোনো অজ্ঞাত কারণে তাঁরা ক্ষমতা প্রয়োগে অনাগ্রহী। আলতাফ হোসেন বনাম আবুল কাসেম মামলায় সংবিধানের ১১৯ অনুচ্ছেদের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বিচারপতি সাহাবুদ্দীনের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ রায় দেন যে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে কমিশন আইনি বিধানের সঙ্গে সংযোজনও করতে পারেন (ডিএলআর ৪৫)। কিন্তু তা সত্ত্বেও ক্ষমতাসীন দল সরকারি খরচে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে নির্বাচনে অসমতল ক্ষেত্র প্রস্তুত করলেও, কমিশন দাবি করছে যে এ ব্যাপারে তাদের কিছুই করার নেই।


যথার্থ আইনিকাঠামো প্রণীত এবং সৎ ও যোগ্য ব্যক্তিদের নিয়ে কমিশন গঠিত হলেও, সরকারের সহযোগিতা ছাড়া কমিশনের পক্ষে স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করা সম্ভব নয়। বস্তুত, যেকোনো স্বাধীন দেশে একমাত্র সরকারই স্বাধীন এবং সরকার না চাইলে কারও পক্ষেই স্বাধীনভাবে কাজ করা প্রায় অসম্ভব, বিশেষত আমাদের মতো দেশে, যেখানে গণতান্ত্রিক রীতিনীতির চর্চা করা হয় না এবং প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীতে ব্যাপক দলীয়করণ বিদ্যমান, সেখানে সরকার বিভিন্ন কারসাজির মাধ্যমে যেকোনো প্রতিষ্ঠানের স্বাধীনতা ও কার্যকারিতা খর্ব করতে পারে। অনেকেরই মনে আছে যে এম এ সাঈদের নেতৃত্বে গঠিত কমিশনকে তাদের বেতন-ভাতার জন্য উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হতে হয়েছিল। এমনকি গত সরকারের আমলে কমিশনারদের পুলিশ এসকর্ট আংশিকভাবে প্রত্যাহার করা হয়েছিল।
যথার্থ আইনিকাঠামো প্রণীত, মেরুদণ্ডসম্পন্ন ব্যক্তিদের নিয়ে কমিশন গঠিত এবং সরকারের সহযোগিতা পাওয়া গেলেও, রাজনৈতিক দল ও তাদের প্রার্থীরা আইনকানুন মেনে না চললে এবং ছলে-বলে-কলে-কৌশলে নির্বাচনে জেতার জন্য বদ্ধপরিকর হলে নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথের বাধা সম্পূর্ণরূপে দূরীভূত হয় না।

যেমন, গত নির্বাচনের সময়ে আওয়ামী লীগ মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের তৃণমূলের কমিটিগুলোর সুপারিশ নেওয়ার অন্তত লোকদেখানো একটা প্রচেষ্টা চালালেও, অন্য দলগুলো এর প্রতি ভ্রুক্ষেপও করেনি। কোনো নিবন্ধিত দলই তাদের বিদেশি শাখা ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন বিলুপ্ত করেনি, যা শান্তিপূর্ণ ও অর্থবহ নির্বাচন অনুষ্ঠান, এমনকি রাষ্ট্রের শান্তিশৃঙ্খলার প্রতি হুমকি সৃষ্টি করে।
পরিশেষে, এটি সুস্পষ্ট যে নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে ক্ষমতাসীন ও বিরোধীদের মধ্যকার বিরাজমান বিরোধ অবসানের লক্ষণ দেখা যায় না, যা আমাদের আগামী নির্বাচনকে অনিশ্চিত করে ফেলেছে। নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করার ব্যাপারে ক্ষমতাসীনদের পক্ষ থেকে বারবার বলা সত্ত্বেও, কমিশনের নিজের এবং আইন মন্ত্রণালয়ের এ ক্ষেত্রে উদ্যোগের অভাব পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। এখন আমাদের ভরসা জাতীয় সংসদ, যেখানে আইনটি পাস হবে।

তাই মিথ্যা হলফনামা দিয়ে কেউ নির্বাচিত হলে তাঁর নির্বাচন বাতিলের এবং নির্বাচনে কারচুপি হলে ফলাফল স্থগিত ও বাতিল করার ক্ষমতা কমিশনকে দেওয়ার জন্য আমরা সংসদের প্রতি আহ্বান জানাই। আরও আহ্বান জানাই দলের তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের তৈরি প্যানেল থেকে মনোনয়নের বাধ্যবাধকতা সৃষ্টির ও ‘না’ ভোটের বিধান ফিরিয়ে আনার। প্রসঙ্গত, মাত্র কয়েক দিন আগে ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট এক ঐতিহাসিক রায়ে ‘না’ ভোটের মাধ্যমে প্রার্থী প্রত্যাখ্যানের বিষয়টি নাগরিকের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বা মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন।
ড. বদিউল আলম মজুমদার: সম্পাদক, সুজন—সুশাসনের জন্য নাগরিক।



সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।