আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঈদ করা হলো না ওদের বাড়িতে মাতম

বাড়ির সবার সঙ্গে ঈদ আনন্দ উদযাপনের কথা ছিল ওদের। সবাই এলেনও, তবে জীবিত নয় লাশ হয়ে। তাদের এভাবে বাড়ি ফেরা মেনে নিতে পরছেন না কেউই। মর্মান্তিক এ মৃত্যুর খবর শুনে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন স্বজনরা। শুধু পরিবার নয়, মাতম চলছে পুরো এলাকায়।

স্বজন ও প্রতিবেশীদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে পরিবেশ। এ চিত্র গাজীপুরের পলমল গ্রুপের আসওয়াদ নিটিং অ্যান্ড ডায়িং কারখানায় অগি্নকাণ্ডে নিহত চার কর্মকর্তা-কর্মচারীর রংপুরের বাড়িতে। এরা সবাই নিকটাত্দীয়। নিহতরা হলেন- পীরগঞ্জ উপজেলার বড়দরগাহ ইউনিয়নের বেলবাড়ি গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে কারখানার উপ-মহাব্যবস্থাক রাসেদুজ্জামান মণ্ডল, শফিয়ার রহমানের ছেলে শ্রমিক খলিলুর রহমান, পাশের মিঠাপুকুর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের ধলাপাড়া গ্রামের আবদুল মতিনের ছেলে নাঈমুর রহমান নাঈম ও আবদুস সালেকের ছেলে রুবেল। এদের মধ্যে খলিলুর রাসেদুজ্জামানের চাচাতো ভাই, রুবেল ভাতিজা এবং নাঈম ভাগ্নে।

তারা ৮-১০ বছর ধরে ওই কারখানায় কাজ করছিলেন। তাদের বাড়ি ৫০ গজের মধ্যে। মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ জানান, গতকাল দুপুরে রাসেদুজ্জামান ও খলিলুরের এবং বিকালে নাঈম ও রুবেলের লাশ জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সাত মাস আগে বিয়ে করেন নাঈম। সোমবার রাতে স্ত্রী শাপলা বেগমের সঙ্গে মোবাইল ফোনে শেষবারের মতো কথা হয়।

ঈদ খরচের জন্য গতকাল টাকা পাঠানোর কথা ছিল তার। স্বামীর মৃত্যুর খবর শোনার পর থেকে নির্বাক হয়ে গেছেন অন্তঃসত্ত্বা শাপলা। রাসেদুজ্জামানের মা নেই। বাবা গেছেন হজে। ছোট দুই মেয়েকে নিয়ে স্ত্রী তাসমিনা বেগম শোকে মুহ্যমান।

বিয়ের প্রস্তাব চলছিল খলিলের।

 

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।