বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে নগরীর ভার্থখলায় নিজের বাসায় তার মৃত্যু হয়। কবির বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।
কবির ছেলে কামরান দিলওয়ার জানান, তার বাবা দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন।
১৯৩৭ সালের ১ জানুয়ারি সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় জন্ম নেয়া কবি দিলওয়ার সাহিত্যে অবদানের জন্য ২০০৮ সালে একুশে পদক পান। এর আগে ১৯৮০ সালে পান বাংলা একাডেমি পুরস্কার।
সাধারণ মানুষের কথা তার কবিতায় স্বত:স্ফূর্তভাবে উঠে এসেছে বলে সিলেটের মানুষের কাছে তিনি ‘গণমানুষের কবি’।
কবির মৃত্যুর খবরে সিলেটের সাহিত্য ও সংস্কৃতি অঙ্গনে নেমে আসে শোকের ছায়া। তাকে শেষবারের মতো দেখতে ভক্ত ও শুভাকাঙ্খীরা তার বাসায় ভিড় জমান।
সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও সাবেক মেয়র বদরুদ্দিন আহমেদ কামরানও ছুটে আসেন কবির বাড়িতে।
কামরান দিলওয়ার জানান, সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য বিকাল ৪টায় সিলেট শহীদ মিনারে রাখা হবে কবির মরদেহ।
এশার নামাজের পর ভার্থখলা জামে মসজিদে জানাজার শেষে নিজের বাড়ির উঠোনে সমাহিত করা হবে সুরমাপাড়ের কবিকে।
১৯৫২ সালে সিলেটের উত্তরসুরমার রাজা জিসি হাইস্কুল থেকে প্রবেশিকা পাস করে এম সি কলেজ থেকে ১৯৫৪ সালে ইন্টারমিডিয়েট পাস করেন দিলওয়ার। শারীরিক অসুস্থতার কারণে সেখানেই তার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার ইতি ঘটে।
শিক্ষকতার মাধ্যমে পেশাজীবনের শুরু হলেও এরপর রাজধানীতে এসে সাংবাদিকতা শুরু করেন কবি। ১৯৬৭ সালে সহকারী সম্পাদক হিসাবে যোগ দেন দৈনিক সংবাদে।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৩-৭৪ সালে দৈনিক গণকণ্ঠেও সহকারী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন৷
১৯৭৪ সালে সিলেটে ফিরে ফ্রিল্যান্স সাংবাদিকতার পাশাপাশি পুরোমাত্রায় লেখালেখিতে মন দেন দিলওয়ার। তবে জীবনভর নানা রোগে ভুগতে হয়েছে সুরমাপড়ের এই কবিকে।
১৯৬০ সালে পেশায় সেবিকা আনিসা খাতুনের সঙ্গে বিয়ে হয় দিলওয়ারের। তাদের ছয় ছেলে মেয়ের মধ্যে দ্বিতীয় কিশওয়ার ইবনে দিলওয়ার নিজেও ছিলেন কবি। তিনি মারা গেছেন কয়েক বছর আগে।
বাকি পাঁচ ছেলেমেয়ে হলেন- শাহীন ইবনে দিলওয়ার, নাহিদ বিনতে দিলওয়ার, রোজিনা বিনতে দিলওয়ার, সাজিয়া বিনতে দিলওয়ার ও কামরান ইবনে দিলওয়ার ।
কবি দিলওয়ারের উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হলো- জিজ্ঞাসা, ঐকতান, উদ্ভিন্ন উল্লাস, ফেইসিং দি মিউজিক, স্বনিষ্ঠ সনেট ও রক্তে আমর অনাদি অস্থি। এছাড়া প্রবন্ধ, গান, ও ভ্রমণকাহিনীও লিখেছেন তিনি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।