আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কাল ৭১-এ পা দিবেন অমিতাভ

বয়স মাত্র ১৩ বছর। জটিল প্রোজেরিয়া রোগে আক্রান্ত ছেলেটি। এই রোগ হবার ফলে কম বয়সে বুড়িয়ে যাচ্ছে ছেলেটি। ১৩ বছর বয়সী এই ছেলেটির চরিত্রে অভিনয় করেছেন ৬৮ বছর ছুঁতে চলা একজন বিগ বি। তিনি রোমান্টিকভাবে সিনেমার নায়িকাকে প্রশ্ন করতে পারেন, ‘তুমাহারা নাম কেয়া হ্যায়, বাসন্তী’? কিংবা রাগ করে বলতে পারেন, ‘যো কাল হুয়া ও দুবারা নেহি হোগা’।

তিনি বলিউডের জনপ্রিয়তার দৌড়ে সামিল হয়েছিলেন ১৯৭০ সালের প্রথম দিকে। ৭০-৮০ দশক থেকে শুরু করে আজ অবধি বলিউডে রাজত্ব করে চলেছেন এই শাহেনশাহ। তিনি আর কেউ নন- ওয়ান ম্যান ইন্ড্রাস্ট্রি, অমিতাভ বচ্চন। কিংবদন্তীতুল্য এই বলিউডি তারকার ৭১তম জন্মদিন আগামীকাল।

ভারতের এলাহাবাদে অমিতাভ বচ্চন জন্মগ্রহণ করেন ১৯৪২ সালের ১১ অক্টোবর।

১৯৭০ সালের প্রথম দিকে তিনি বলিউডি সিনেমা জগতে ‘রাগী যুবক’ হিসেবে জনপ্রিয়তা লাভ করেন। বলিউডের জনপ্রিয়তার ভাঙ্গা গড়ার খেলায় অনেকেই হারিয়ে গেলেও, অমিতাভ বচ্চন তাঁর স্থানটি আজও ধরে রেখেছেন। বচ্চন নিজের কর্মজীবনে তিনটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং বারোটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কারসহ অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কার পেয়েছেন।

১৯৭৩ সালে অমিতাভ বিয়ে করেন অভিনেত্রী জয়া ভাদুড়ীকে। তাঁদের দুটি সন্তান।

কন্যা শ্বেতা নন্দা এবং পুত্র অভিষেক বচ্চন।

আশির দশকে বলিউডি টিনসেলে সবচেয়ে বড় গসিপ ছিলো অমিতাভ-রেখার প্রেম। যদিও ১৯৮২ সালের সুপার ডুপার হিট ছবি ‘সিলসিলা’র পর থেকে আর কোনো ছবিতেই একসঙ্গে দেখা যায়নি এই জুটিকে।

১৯৯০ সালে সবাইকে অবাক করে দিয়ে মুকেশ আগারওয়াল নামে এক শিল্পপতিকে বিয়ে করেন রেখা। এর কিছুদিনের ভেতর হঠাৎ বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতোই আত্মহত্যা করেন মুকেশ।

মুকেশের সঙ্গে রেখার বিয়ে এবং তৎপরবর্তী আত্মহত্যার ঘটনায় চাপা পড়ে যায় অমিতাভ-রেখার প্রেমকাহিনী।

পরবর্তীতে জনপ্রিয় টিভি শো রঁদেভ্যুতে সিমি গারওয়াল অমিতাভকে দর্শকের সামনে হাজির করলেন এবং জানতে চাইলেন রেখার সঙ্গে তাঁর কথিত রোমান্স সম্পর্কে। সরাসরি প্রচারিত সেই অনুষ্ঠানে অমিতাভ জানান, শুধু রেখা কেন, পারভীন ববি থেকে শুরু করে জিনাত আমান পর্যন্ত তাঁর সমস্ত সহঅভিনেত্রীকে জড়িয়েই গুজব ছড়ানো হয়েছে বহুবার।

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।