হিগস-বোসন কণার ধারণাটা নূতন হলেও এখন প্রতিষ্ঠিত সত্য হয়ে দাঁড়িয়েছে । সায়েন্স ফিকসন কিংবা ভবিষ্যত্ পৃথিবীর এগিয়ে যাওয়া নিয়ে যে ক'টি প্রযুক্তির উদ্ভব হওয়া সময়ের ব্যাপার ছিল সম্ভবত হিগস-বোসন কণায় এর ভবিষ্যত্ নির্ধারণ করবে ।
প্রযুক্তিটির একটি হল ,টাইম মেশিনে মানুষের পরিভ্রমণ আর অন্যটি হল পণ্য ,প্রাণী কিংবা মানুষ স্হানান্তর । দুটিতেই প্রথম সমস্যা হল স্হানান্তর । বস্তু বা প্রাণীকে স্হানান্তরের সময় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণায় পরিণত করা হলেও স্হানান্তরটা সহজ ছিল না ।
কিন্তু হিগস -বোসন কণার ব্যাখ্যায় ওজনহীন কণা হিগস-বোসন কণার সমুদ্রের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় না । ফলে তারা ওজনহীন থাকে এবং স্হানান্তর সহজতর হয়।
টাইম মেশিনে পরিভ্রমণের সময় মানুষকে অতি ক্ষুদ্র কণায় পরিণত করা হলেও তা যদি ওজনহীন হয় তবে হিগস-বোসন কণার সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হবে না । তখন মানুষকে সময়ের সাথে সাথে পরিভ্রমণ করানো সম্ভব হবে ।
ওজনসমেত বস্তু বা মানুষকে স্হানান্তর করার প্রকৃয়াটা হল : যদি পৃথিবীটাকে একটি কাগজের টুকরো হিসেবে চিন্তা করি তবে কাগজের দু প্রান্তে দুটো ফুটোকে একই স্হানে আনতে কাগজটাকে দূরত্বের মাঝ বরাবর ভাঁজ করি ।
তবেই ফুটো দুটো একই বিন্দুতে মিলিত হবে । এবং এতে দূরত্বটা শূণ্যে চলে আসবে ।
এখন পৃথিবীর প্রেরক ও প্রাপক স্হান দুটোকে দুটি ফুটা হিসেবে চিন্তা করলে খুব সহজেই ট্রান্সপারেন্টটা কাগজের ব্যাখ্যার মত সহজ হয় । এক্ষেত্রে ট্রান্সফারের বস্তুটাকে অতি ক্ষুদ্র কণায় রূপান্তরের ধরকার পড়বে ,অবশ্য ওজনহীন । যেন হিগস-বোসন কণায় সংঘর্ষ না বাঁধে ।
স্পষ্টতরই বুঝা যায় ,নোবেল জয়টা হিগস-বোসনের প্রাপ্যতা ।
[একটি অগভীর আলোচনা ,বলতে পারেন কাল্পিক সায়েন্স ফিকশন । ভূল-ভ্রান্তি ক্ষমা হিসেবে নিলাম]
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।