আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

۞۞ এখন বিয়ের আসরে কনেকে ঘুমটা দিয়ে আর বরকে মু্খে রুমাল দিয়ে বসে থাকতে হয় না ۞۞

জানার আগ্রহ মানুষের চিরন্তন, বই হলো তার বাহন, আইনের মৃত্যু আছে কিন্তু বইয়ের মৃত্যু নেই।
কয়েক দশক আগে হঠাৎ করে কারো বিয়ে হত না। সেই সময় কোন শপিংমল, রেষ্টুরেন্ট এ গিয়ে পাত্রী দেখার সুযোগ ছিল না। পাত্র পক্ষকে পাত্রীর বাড়ীতে গিয়েই বিয়ের কন্যা দেখতে হত। পাত্রী দেখা উপলক্ষে পাত্রীর বাড়ীতে নানার রকমের হাতের নাস্তা বানানোর আয়োজন চলত।

পাত্রের বাবা-মা, ভাই-ভাবী ও মুরুব্বীরা পাত্রী দেখতে যেত। পরিবারের মুরব্বীদের পছন্দ করা মেয়ের সাথেই বিয়ে হত। পাত্রী পছন্দ হলে এনগেইজমেন্ট অনুষ্টান হত তারপর দুইপক্ষেও সুবিধামত দিনক্ষন ঠিক করে বিয়ে হত। বিয়ের আগে পাত্রীর সাথে পাত্রের কথা বলার কোন সুযোগই ছিল না। আর বতমানে? সেই সময় কোন কমিউনিটি সেন্টার ছিল না বলে বাড়ীতেই বিয়ের অনুষ্টান হত।

বিয়ে উপলক্ষে বর-কনের বাড়ীতে আনন্দের বন্যা বয়ে যেত। বিয়েতে বরের জন্য কনের বাড়ীর প্রবেশ পথে গেইট ও উঠানে শাড়ী দিয়ে স্টেজ তৈরী করা হত। বিয়ের দিন বর পালকিতে চড়ে বিয়ে বাড়ীতে এসে ষ্টেজে বসত। আর কনেকে ঘরে সাজিয়ে বসিয়ে রাখা হত। সেই সময় বিয়ে খেতে আসা বর পক্ষের দুষ্ট ছেলেরা উকি মেরে নতুন বউকে দেখার চেষ্টা করত।

কিন্তু কন্যা পক্ষ তাদেরকে দেখার কোন সুযোগই দিত না। সেই সময় বিয়ের দিনই আকদ হত। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আকদ হওয়ার পর বর তার কনেকে নিয়ে আলাদা আলাদা পালকিতে চড়ে বাড়ীতে ফিরত। বরের বাড়ীর মহিলারা নতুন বউকে একটু দেখার জন্য ছুটে যেত। পালকি থেকে নামিয়ে বউকে ঘুমটা পরিয়ে বসিয়ে রাখা হত।

ঘুমটা তুলে নতুন বউকে দেখানো হত। সবাই নতুন বউয়ের হাতে টাকা-আংটি উপহার দিত। বর্তমানের ছেলে-মেয়েরা নিজেরাই নিজেদের সঙ্গী পছন্দ করে বিয়ে করছে। পরিবারের পছন্দ মত বিয়ের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। এখন পাত্রী পছন্দ হলেই আকদ তারপর কোন এক কমিউনিটি সেন্টারে বিয়ে অনুষ্টিত হচ্ছে।

কমিউনিটি সেন্টারে বর-কনের জন্য সুজ্জিত আলাদা দুটি স্টেজ আছে। পার্লারে সেজে গুজে কনে স্টেজে বসে থাকে। এখন আর আগের দিনের মত কনেকে ঘুমটা দিতে হয় না। মেকআপ নষ্ট হযে যাবার ভয়ে কনে ঘুমটা দেয় না। বিয়ের অনুষ্টানে আগত পরিচিত-অপরিচিত যে কেউ ইচ্ছেমত বিয়ের কনের ছবি তুলতে পারে।

আাগের দিনের মত এখন আর কাউকে উকি মেরে নতুন বউকে দেখতে হয় না। বড় পর্দায় বর-কনেকে দেখার ব্যবস্থা ও কোন কোন বিয়েতে রাখা হয়। বিয়ের আসরে বরকেও আগের দিনের মত মুখে রুমাল দিয়ে বসে থাকতে হয় না। বর-কনেকে এখন আর পালকিতেও চড়তে হয় না। তাজা ফুল দিয়ে সাজানো এসি কার/পাজেরোতে বসে বর-তার নতুন বউকে নিয়ে বাড়ীতে------- বিয়েতে অতীতে কি দেখেছি আর এখন কি দেখছি।

কোন মিল খুজে পাই না। ভবিষ্যতেও আরো নতুন নতুন দৃশ্যের সাথে পরিচিত হতে হবে।
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।