পোশাকশ্রমিকদের দাবি মেনে নেওয়ায় প্রায় ১৭ ঘণ্টা পর মুক্ত হলেন তুবা গ্রুপের মালিক দেলোয়ার হোসেন। গতকাল শনিবার রাত দেড়টার দিকে কারখানা থেকে বের হন তিনি।
গোপনে যন্ত্রপাতি বিক্রি করে কর্মী ছাঁটাইয়ের চেষ্টার অভিযোগ এবং বেতন-বোনাসসহ বিভিন্ন দাবিতে গতকাল সকাল আটটা থেকে উত্তর বাড্ডায় হোসেন মার্কেটের পোশাক কারখানায় দেলোয়ারকে আটকে রাখেন শ্রমিকেরা।
পরে সারা দিন শ্রমিকনেতারা সমস্যা সমাধানের জন্য দেলোয়ারের সঙ্গে আলোচনা করেন। রাত ১০টার দিকে শ্রমিকদের দাবিদাওয়া মেনে নিতে রাজি হন তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গতকাল রাত ১২টা থেকে শ্রমিকদের বোনাস দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। উত্তর বাড্ডার হোসেন মার্কেটে দেলোয়ারের তিনটি পোশাক কারখানা রয়েছে। এ ছাড়াও ওই এলাকায় তাঁর আরও চারটি কারখানা রয়েছে।
গতকাল রাত সাড়ে তিনটার দিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তখনো সব কারখানার শ্রমিকদের পর্যায়ক্রমে বোনাস দেওয়া হচ্ছিল।
সম্মিলিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক নাহিদুল হাসান প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, বোনাস দেওয়া ছাড়াও হোসেন মার্কেটের যে দুটি তলা থেকে যন্ত্রপাতি অন্যত্র বিক্রি করা হয়েছে, সেখানকার শ্রমিকদের আজ রোববার হিসাব করে টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সেখানে নতুন করে যন্ত্রপাতি স্থাপন করে শ্রমিকদের কাজে নিয়োগ দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন দেলোয়ার। অন্যথায় শ্রম-আইন অনুযায়ী শ্রমিকদের সব সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন তিনি।
নাহিদুল বলেন, বোনাস দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু এবং অন্য দাবিগুলো মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেওয়ায় পর গতকাল রাত দেড়টার দিকে দেলোয়ার মুক্ত হন। আজ বিকেল পাঁচটা নাগাদ সব শ্রমিককে বোনাস দেওয়ার প্রক্রিয়া শেষ হতে পারে।
মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে কয়েকজন শ্রমিক প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, তাঁরা বোনাস পেয়েছেন।
তবে অনেকেই এখনো কারখানায় অবস্থান করছেন। প্রায় ৮০ ভাগ শ্রমিক এখনও কোনো বোনাস পাননি।
তুবা গ্রুপেরই প্রতিষ্ঠান ছিল আশুলিয়ার তাজরীন ফ্যাশনস। আর এই তুবা গ্রুপের মালিকই হচ্ছেন দেলোয়ার হোসেন। গত নভেম্বরে তাজরীন ফ্যাশনসে আগুন লেগে মারা যান ১১২ জন শ্রমিক।
আহত ব্যক্তিদের অনেকে এখনো কর্মক্ষমহীন অবস্থায় আছেন।
মালিকের অবহেলায় তাজরীনের শতাধিক শ্রমিকের মৃত্যু হলেও দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি সরকার। তাঁর পক্ষে সাফাই গেয়েছে মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।