রোববার প্রথম টেস্ট শেষে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে মুশফিক বলেন, “প্রথম টেস্টে নিজেদের পারফরম্যান্সে আমরা সন্তুষ্ট। উইকেট থেকে সহায়তা পেলে ফলাফল আমাদের পক্ষে আসতেও পারতো। ”
এরপর দুই তরুণের প্রশংসায় মেতে উঠে তিনি বলেন, “সোহাগ অসাধারণ খেলেছে। তার ইনিংসটা অনবদ্য। তার ‘মারধর’ ব্যাটিং অনেক দেখেছি, এবার ‘স্মার্ট’ ব্যাটিং দেখলাম।
সে কোন্ মানের বোলার, আবারো তা প্রমাণ করলো। ”
“মমিনুলের ইনিংসটিও দুর্দান্ত। সোহাগ-মমিনুল কথা কম বলে, কাজ করে বেশি। আশা করি তারা ভালো খেলার ধারাবাহিকতা ধরে রাখবে। ”
দেশের মানুষকে ঈদের অগ্রিম শুভেচ্ছা জানিয়ে মিরপুরে ২১ অক্টোবর থেকে শুরু হতে যাওয়া দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে আরো ভালো খেলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
তিনি বলেন, “ঢাকায় স্পিন সহায়ক উইকেট পেলে আমাদের পক্ষে আরো ভালো করা সম্ভব। এর আগে অনেকবার প্রথম ম্যাচ ভালো খেলে পরেরটায় আমরা ভালো খেলতে পারিনি। এই তথ্য মাথায় রেখে আমরা প্রস্তুতি নেবো আর জেতার জন্য মাঠে নামবো। ”
আগের দিন শতক করে ভীষণ আবেগাক্রান্ত হয়ে পড়েছিলেন সোহাগ। তবে রোববার প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে একই টেস্টে শতক ও হ্যাটট্রিক করার অনন্য কীর্তি গড়েও তিনি তেমন আবেগ প্রকাশ করেননি।
সোহাগ বলেন, “আমি এই ম্যাচটা ভুলে যেতে চাই। কারণ এই ম্যাচের কথা মনে রাখলে আমার মধ্যে আত্মতুষ্টি চলে আসতে পারে। আমি তা চাই না। আমি চাই প্রত্যেক ম্যাচে উন্নতি করতে। ”
হ্যাটট্রিক প্রসঙ্গে এই অফস্পিনার বলেন, “হ্যাটট্রিকটা হয়ে গেছে।
পরিকল্পনা করে বল করিনি। সাকিব ভাই আর মুশফিক ভাইয়ের অবশ্য এতে দারুণ অবদান। তারা দুটো দুর্দান্ত ক্যাচ না ধরলে হয়তো হ্যাটট্রিকটা হতো না। ”
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।