আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যারা ঈদে সালামী থেকে ব্যাপক অর্থোপার্জনের কথা ভাবছেন (বিশাল হতাশাযুক্ত পোষ্ট)

কারো কেও নই আমি ...

ঈদে সালাম করে পকেটভারী করার একটা রেওয়াজ চালু হয়ে গেছে বাংলাদেশে। সালাম এর অর্থ, "আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হউক"। এই সালাম যেকোন মুসলমান অন্য মুসলমানকে দিতে পারে, নিতে পারে। এটা জাষ্ট মৌখিক একটা বিষয়, শান্তি কামনা। হাত তোলা, ওঠা, বসা, বা বাঁকা হওয়ার নিয়ম নাই।

বড় ছোটকে সালাম দিতে পারে, বস কর্মচারীকে সালাম দিতে পারে, আগত লোকেরা বসে থাকা লোক বা লোকদিগকে সালাম দেবে, এটাই সালামের নিয়ম। কিন্তু আমাদের সমাজে বড় কখনও ছোটকে সালাম দেয় না, পাড়ার বড় ভাইকে সালাম না দেয়ায় অনেককেই মার খেতে হয়েছে, অফিসে বড় পদের লোককে সালাম না দেয়ার কারণে হেনস্থা হতে হয়েছে। সালাম দিয়ে উঠে না দাঁড়ানোর জন্যও বেয়াদবি মনে করা হয়েছে। মা-বাবা বা গুরুজনদেরকে হাঁটু গেরে বসে সালাম দেয়ার রেওয়াজও চালু আছে আমাদের সমাজে। সালামের আদব এবং উদ্দেশ্যের মধ্যে এগুলো পড়ে না।

বলছিলাম সালামীর কথা। প্রথম কথা হচ্ছে, হাঁটু গেরে বসে পা ছুঁইয়ে সালাম করার নিয়মই ইসলামে নাই। ইহা শিরক কিনা ইসলামিক স্কলাররা বলতে পারবেন। হাঁটু গেরে বসে পা ছোঁয়া আমাদের ভারতীয় উপমহাদেশের প্রচলিত রীতি। এর সাথে সালাম যোগ করা হয়েছে।

কাজেই এটা কত বড় ইসলাম-বিরুদ্ধ কাজ সেটা ভেবে দেখার অবকাশ আছে। দ্বিতীয় কথা হচ্ছে, সালামের বিনিময়ে টাকা কেন নেবেন! শান্তি কামনা করে টাকা নেয়া কোন নৈতিকতার মধ্যে পড়ে না। বড় ভাই/বোন, বাবা-মা'র কাছে প্রয়োজনীয় টাকা চেয়ে নিন, আর ছোটদের দিন। আর যখন সালাম দেবেন তখন শুদ্ধ করে পুরোটা বলুন। আল্লাহ্‌পাক আমাদের সবাইকে সঠিক ইসলাম জানা ও মানার তৌফিক দান করুন এবং শয়তানের হাত থেকে রক্ষা করুন।

আমিন ধন্যবাদ সবাইকে। আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।