"রাজনীতি মানুষের কাজ, ছাগুদের উচিৎ কাঁঠাল পাতা চিবানো, লোকালয় থেকে দূরে গিয়ে!"
। । ১। । 'তবু জেনেছি'
দূর অচেনা হতে এক পশলা মেঘ এসেছে উড়ে,
নাম না জানা কোন পাখীর ফিসফিসে নিস্তব্ধতা,
আর অদেখা কাউকে ছুঁয়ে আসা একরাশ বাতাস মর্মহীন ছোয়-
চুলগুলোতে বাউন্ডুলত্ব ফুটিয়ে কিছু একটা বলছে বোধয়!
বলছে মিটমিটে জোনাকী আলো জ্বেলে,
খানিক ভেবেছে হয়ত স্বপ্নলোকের রাজকন্যা আমায়!
আকাশের তারাগুলো চাঁদের সাথে সখ্যতা প্রকাশ করে,
এঁকেছে এক সুন্দরতম চিত্রকর্ম!
লিখেছে ভোরের শিশির ঘাসের ডগায় কবিতা,
সে শব্দমালার বুনন সব তোমার লজ্জা গালে রাঙা,
হৃদপিন্ডে হাত রেখে করি অনুভব,
সে চোখে চোখ রাখার স্বপ্ন আমার সম্ভব!
।
। ২। । 'অসম্পূর্ণতা'
প্রিয়তমা,
তোমায় বলা হয় নি হয়ত,
তোমাতে হারাতে চেয়েছিলাম...
তোমাকে নয়।
বলা হয় নি তৃষ্ণার গল্পটুকু,
চাওয়া হয়নি উষ্ণতা খানিক,
অধরা অধরস্পর্শ অমৃতের আঁশে,
বলা হয়নি নিদ্রা আমার বৃষ্টি হয়ে,
ঝরে অবিরত হেথা হৃদয় আকাশে।
। । ৩। । 'আরেকটি নির্ঘুমতা'
এসো সূর্যোদয়, দেখো সমস্ত আঁধার তোমার অপেক্ষায় জেগেছে,
প্রেমিকার আলিঙ্গন সম প্রচণ্ডতা হয়ত নয় আলোকে তোমার
তবু পথখানি দীর্ঘ দুর্বিষহ, জেনো হয়ত চন্দ্রালোকের ইশারায়,
এসো সূর্যালোক, এসো অবসানের উচ্ছ্বাসে ঘোর অমানিশার।
।
। । ৪। ।
'বেশ ভালো আছি'
আমার নির্ঘুম রাতগুলো আমারই থাক,
তুমি ঘুমাও শান্তির আবেশে পুলকিত,
হও তুমি আনন্দে উচ্ছল রমনীর প্রতিমা,
এ হৃদয় তবু রয়ে যাক রক্তাক্ত, ব্যাথিত!
ভালোবাসা তোমার জন্য তোলা থাকুক,
আমি ঘৃণাটুকু নিয়ে বাঁচবো হয়ত খানিক,
সাদা শার্টের ওপারে রাখবো লুকিয়ে হৃদয়,
আঁধারে রইবো তবু দেখবোনা রক্তমাখা বুক।
। । ৫। ।
'যদি'
জানালা বেয়ে আসা অবারিত জ্যোৎস্না না হও,
না হও স্বপ্নের ঘোরে স্বর্গীয় প্রতিমা আমার তরে,
নির্ঘুম রাত্তিরে ঘুম হয়ো দু'ফোঁটা।
খানিক পরশে ধন্য হবার উচ্চাকাংখা না হও,
না হও কষ্ট আমার ছুঁয়ে দেখার অবসর,
তবু চুলের মাঝে হাত বুলিয়ে দিও মুহূর্ত খানিক।
যদি একটু সময় পাও,
হেঁটো পথ রাত্রির নির্জনে,
কিংবা কুয়াশার আবছায়ায়,
অথবা শিশির ঝরা ভোরে,
হাত রেখো পথিকের হাতে, পা মিলিও পায়ে...
। । ৬।
। 'গল্পকার'
সময় বলেছে কোন আনাড়ি গল্প লিখছে, নিজের গল্প অথচ -
অথচ কাল্পনিক!
কথাগুলো আশ্রয়হীন বলেই ঠিকানা দেবার জন্য হন্যে!
ওদের বাঁচবার আকুতি দমন করবো কি করে,
ওদের আকুতি দমনের সাধ্য আমার নেই।
। । ৭।
। 'অস্তিত্বের আলোআঁধারি'
এই তো আমি,
এখানেই বসবাস আমার,
চাঁদের আলো, সূর্যের উত্তাপ,
সীমাবদ্ধ আবেগের দীর্ঘশ্বাস,
প্রতিনিয়ত কষ্টের বসবাস,
হারাবার আতংক, পালাবার প্রচেষ্টা,
সামষ্টিক রঙগুলো একটি ছবি এঁকে চলে,
আমার কথাগুলো নিঃশব্দে কথা বলে।
এই আঁধারের প্রান্তে আমি,
এইতো এখানে,
এখানেই আমার বাস...
। । ৮।
। 'জীবন্তদের জন্য!'
জীবন নামক অলীক পথচলায় উল্লসিত প্রাণগুলো আশাবাদী হয়, স্বপ্নময় হয়ে ওঠে তাদের চোখদুটো,
ওদের জীবন্ত বলা বাধ্যতামূলক,
ওদের স্বপ্নের অলীকতায় হাসতে মানা!
মৃত্যুর খোঁজে হাঁটা সে -
পথ পানে ধেয়ে চলা পথযাত্রীদের চোখেমুখে আনন্দ দেখে
বড্ড বোকা বোকা মনে হয় সবকিছুকে...
প্রতিটি প্রাণ এক একটি মৃত্যু পথযাত্রী,
তবুও ওরা আনন্দিত!
ওদের আনন্দিত হওয়া মানায় না,
তথাপি আনন্দ বাঁচে!
। । ৯। ।
'আত্মকেন্দ্রিকের আত্মকথন'
আত্মকেন্দ্রিকতা, একা থাকার প্রবণতার মতো বিষয়গুলো বেশ মহাপুরুষ টাইপ দেখালেও আদতে তেমন নয়। নিজেকে নিজের ভেতর গুটিয়ে রাখাটা এক বাজে ধরনের স্বার্থপরতা ! এই মানুষগুলো সাধারণত আশেপাশে কার কি হচ্ছে তার খোঁজ নিতেও বিরক্ত ও উদাসী থাকে। ধীরে ধীরে সেই ব্যাক্তিটিই হয়ে যায় হীনমন্য ও প্রচণ্ড অসংলগ্ন। বাঁধ দেয়া স্রোতধারার ন্যায় তার অনুভূতিগুলো হৃদয়ের দেয়ালে ধাক্কা খেয়ে চলে, আর ফলাফলে যা হবার তাই হয়, আঘাতটি ফিরে নিজের বুকেই লাগে। নিজেকেই আঘাত করে চলে নিজের ভেতরে মগ্ন মানুষগুলো...
।
। ১০। । 'বর্ষাজলে লুকোনো অশ্রু'
জানালার ফোঁকর গলে জ্যোৎস্না আলো
মধ্যরাতে বৃষ্টির ছাঁটে নির্ভর করে যাত্রা,
হয়ত তোমায় খুঁজেছিল, ছুঁতে এসেছিল;
তুমি পাশে নেই, বলা হয় নি আকাশকে...
কান্নার অশ্রুগুলো গেছে অযথাই বয়ে কতো,
হাসিমুখ, চেনা সূর আর কবিতার ছন্দ অসংখ্য,
হয়েছে উৎপন্ন বিলুপ্ত হবার আনন্দে অবিরত,
ওরা জানেনি, তুমি শুনবে না, দেখবে না কষ্ট...
বুকজুড়ে শুন্যতার হাহাকার - আমার রাত্রি
পথটাও শূন্য খানিক, বিষণ্ণতার - আমি যাত্রী...
শেষকথা - সবটা জুড়ে এলোমেলো মনের যা ইচ্ছে ভাবনা, কাউকে জানানোর মতো যথেষ্ট যোগ্য হয়ত নয়, তবু ভাবনা তো! এড়িয়ে চাওয়ায় চলে না, আমি নিতান্ত অপারগ। খেয়ালী মন লিখলে অবচেতনে মনে যায়গা করে নেয় তার গালিগোলা শব্দ-ছন্দ-গন্ধ, কবিতাও কি খেয়াল নয়!? তবু কবিতাকে অপমান করবো না, আমি ওর স্পর্শ আজও পাইনি, প্রিয়তমা কবিতা, তোমাকেই উৎসর্গ তাই সব আমার ! হয়ত পাবো একদিন, লিখবো তোমায় এই হাতের পরশে আঁকবো আমার বিষণ্ণ বিকেলের বিপন্ন ক্যানভাসে।
তুমি সুখে থেকো।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।