আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

৭০ লাখ চামড়া সংগ্রহ করতে চান ব্যবসায়ীরা

এবার নির্বাচনী হাওয়া লেগেছে চামড়ার ব্যবসায়। এই খাতের ব্যবসায়ীদের ধারণা এবারের ঈদুল আজহার সময়টা নির্বাচনী বছর হওয়ায় পশু কোরবানির হার অনেকটা বাড়বে। ফলে ব্যবসায়ীরা চামড়াও বেশি সংগ্রহ করতে পারবেন। এ চিন্তা থেকেই সরকার প্রায় ৪৫০ কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ দিয়েছে। প্রয়োজনের তুলনায় এই ঋণ কম হলেও ব্যবসায়ীরা এবার ৭০ লাখ পশুর চামড়া সংগ্রহ করতে চান বলে জানিয়েছেন।

এদিকে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্ত দিয়ে চামড়া পাচার ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে সীমান্ত অভিমুখে চামড়া বোঝাই সব যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করেছে পুলিশ প্রশাসন।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাহীন আহমেদ বলেন, নির্বাচনী বছর হওয়ায় এবার কোরবানির ঈদে চামড়া বেচাকেনা বাড়বে। সবমিলিয়ে ৬৫ থেকে ৭০ লাখ পিস চামড়া সংগ্রহ হতে পারে। তাই এবার ব্যাংক ঋণের পরিমাণ বাড়ানোর দাবি ট্যানারি মালিকদের।

তবে অনেক ট্যানারি মালিক এ ঋণের টাকা পায় না বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, চামড়া শিল্পে মন্দা যাচ্ছে। এই শিল্পের উন্নয়নের স্বার্থে চাহিদানুযায়ী ঋণ পেতে সরকারের হস্তক্ষেপ দাবি করেন তিনি।

এদিকে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর চামড়া কিনতে রাষ্ট্রীয় খাতের ব্যাংকগুলো এবার প্রায় ৪৫০ কোটি টাকা ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত বছর এ খাতে তারা ঋণ দিয়েছিল ৩৫৫ কোটি টাকা। আর তার আগের বছর দেওয়া ঋণের পরিমাণ ছিল ৩৩৬ কোটি টাকা।

বিশেষজ্ঞদের মতে, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর পাশাপাশি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোও এ খাতে ঋণ বিতরণের জন্য এগিয়ে আসে তাহলে এ শিল্পের একটি ভালো ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। সব মিলিয়ে গত বছরের তুলনায় এ বছর কোরবানির পশুর চামড়া কিনতে একটু বেশি ঋণই দেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্যে দেখা গেছে, রাষ্ট্রীয় মালিকানার চার ব্যাংক চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত ১৩৫টি চামড়া শিল্প প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দিয়েছে। ঋণের পরিমাণ এক হাজার ৫০৫ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। একই সময়ে ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৫ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চামড়া শিল্পে বার্ষিক চামড়ার মোট চাহিদার ৮০ শতাংশই সংগ্রহ করা হয় কোরবানিপরবর্তী সময়ে। এ চামড়া অন্যান্য সময় সংগৃহীত পশুর চামড়া থেকে উন্নতমানের। বিপুল পরিমাণ চামড়ার সরবরাহ হওয়ায় ব্যবসায়ীরা এসব চামড়া নিজেদের নগদ অর্থে কিনতে পারেন না। এ কারণে তারা এসে ভিড় জমান ব্যাংকগুলোতে, বিশেষ করে রাষ্ট্রীয় খাতের ব্যাংকগুলোতে।

এদিকে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্ত দিয়ে চামড়া পাচার ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন।

ইতোমধ্যেই এ ব্যাপারে সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সীমান্ত অভিমুখে চামড়ার বোঝাই সব যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পাশাপাশি সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এ ছাড়াও দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম যশোরের রাজারহাট চামড়ার বাজারের ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তায় ১০ দিনের জন্য বসানো হচ্ছে পুলিশ ক্যাম্প। এ সময় চামড়া নষ্ট হওয়া থেকে রক্ষা করতে সীমান্ত পথে তা ভারতে পাচার হয়ে যেতে পারে।

এ বিষয়টিও বিবেচনায় নিয়ে প্রশাসনকে পাচার প্রতিরোধে কঠোর অবস্থানে থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন তারা।

 

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।