আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

‘তিন মন্ত্রী দেব, সরকারে আসুন’

শুক্রবার বিকালে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলির এই সদস্য বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ”
তিনি বলেন, কিছুদিনের মধ্যেই নির্বাচনের শিডিউল ঘোষণা করা হবে। আগামী নির্বাচন যে কোনো মূল্যে শেখ হাসিনার অধীনেই অনুষ্ঠিত হবে।
বিরোধী দলকে অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারে আসার আহ্বান জানিয়ে  তিনি বলেন, “তিনটা মন্ত্রী দেব, আপনারা আসুন। ”
নির্বাচনকে ঘিরে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে গত ১৮ অক্টোবর জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে নির্বাচনের সময় সর্বদলীয় মন্ত্রিসভা গঠনের প্রস্তাব দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


তবে ওই প্রস্তাব নাকচ করে  ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টাদের নিয়ে সরকার গঠনের প্রস্তাব দেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
বিরোধী দলীয় নেতার এই প্রস্তাবের সমালোচনা করে মোশাররফ হোসেন বলেন, “উনি হোমওয়ার্ক না করে প্রস্তাব দিয়েছেন। আমি যতটুকু জানি ওই ২০ উপদেষ্টার মধ্যে ছয় জনের বেশি এ কাজের জন্য সম্মত ও সমর্থ নয়। ”
“উনি যে প্রস্তাব দিয়েছেন তা করতে হলে আবার সংবিধান সংশোধন করতে হবে। এখনো আলোচনার পথ খোলা।

আমরা কাউকে বাধ দিয়ে নির্বাচন করতে চাই না। সংবিধান অনুসারে সারা পৃথিবীতে যেভাবে নির্বাচন হয় সেভাবেই নির্বাচন হবে,” বলেন তিনি।
সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, “অর্ন্তবর্তী সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে। আর সেই আর্ন্তবর্তী সরকারের প্রধান হবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ”
বিরোধী দলকে অর্ন্তবর্তী সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “আপনারা মানুষের কাছে যান।

মানুষের আস্থা ও হৃদয় জয় করতে পারলে তারা আপনাদের ভোট দেবে।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নগরীর লালদীঘি ময়দানে শুক্রবার পাল্টাপাল্টি সভা আহ্বান করায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নগরীতে সভা-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে নগর পুলিশ।
এরপর বিএনপি নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করে লালদীঘি মাঠে সমাবেশ করার ঘোষণা দেয়। পরে বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর কাজীর দেউড়িতে বিএনপিকে এবং শহীদ মিনারে আওয়ামী লীগকে সমাবেশের অনুমতি দেয় পুলিশ।
এ বিষয়ে মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, “আমরা লালদীঘিতে সভা করতে চেয়েছিলাম।

নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা হয়েছে তাই প্রশাসন সভা বন্ধ করেছে। মোশাররফ ভাই একটা উদ্যোগ নিয়েছেন। দুই পক্ষের মধ্যে বোঝাপড়া হয়েছে। আজকের এই সভা মোশাররফ ভাইয়ের পরিকল্পনা অনুযায়ী হচ্ছে। ”
নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুলের সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যদের মধ্যে দক্ষিণ জেলার সভাপতি মোসলেম উদ্দিন আহাম্মদ, উত্তর জেলার যুগ্ম সম্পাদক ইউনুস গণি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা সম্পাদক আবু হানিফ, শ্রমিক লীগ সভাপতি বখতেয়ার উদ্দিন খান, যুবলীগ আহ্বায়ক মহউদ্দিন বাচ্চু ও ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন বক্তব্য দেন।


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।