বিভিন্ন স্থানে পাঁচজন নিহত হওয়ার মধ্য দিয়ে শেষ হলো টানা ৬০ ঘণ্টার হরতালের শেষ দিন।
কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় পুলিশের গুলিতে তিন জামায়াত কর্মী এবং মাগুরার মহম্মদপুরে এক ছাত্রদল কর্মী নিহত হয়েছেন। চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে বিএনপি-আওয়ামী লীগের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় খালে ঝাঁপ দিয়ে মৃত্যু হয়েছে এক যুবকের। ময়মনসিংহের গৌরীপুরে পুলিশের সামনে জামায়াত নেতাদের পরিবার-পরিজন উচ্ছেদ করে তাদের বাড়িঘর ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটিয়েছে আওয়ামী লীগ। গাজীপুরে পুলিশের ধাওয়ায় পড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন সিটি করপোরেশনের মেয়র অধ্যাপক এম এ মান্নান।কক্সবাজার : কুতুবদিয়া দ্বীপের ধুরুং বাজারে জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে।
সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশের গুলিতে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন তিন জামায়াত কর্মী। এ ছাড়া আহত হয়েছেন পাঁচ পুলিশসহ ২৫ জন। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় জামায়াত ধুরুং বাজারের চৌরাস্তার মোড়ে গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় হরতাল-পরবর্তী সমাবেশের আয়োজন করে। এ সময় পুলিশ সমাবেশস্থলে গিয়ে তাদের মাইক কেড়ে নেয়। এ নিয়ে পুলিশের সাথে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীদের কথাকাটাকাটি হয়।
একপর্যায়ে তা রূপ নেয় সংঘর্ষে। এতে জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে যোগ দেন স্থানীয় গ্রামবাসী। জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। একপর্যায়ে পুলিশ গুলি ছুড়লে ২০ জন বিদ্ধ হন। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন তিন জামায়াত কর্মী।
নিহতরা হলেন উত্তর ধুরুং ফজনিপাড়ার আবু আহমদ, লেমশেখালীর আজিজ ও মুছারপাড়ার পারভেজ। এ ঘটনায় পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। এদিকে কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফিরোজ আহমদ রাত ৮টায় জানিয়েছেন, সংঘর্ষে দুজন নিহত হওয়ার বিষয়টি তিনি নিশ্চিত হয়েছেন।
মাগুরা : মহম্মদপুর উপজেলার ধোয়াইল বাজার এলাকায় গতকাল বিএনপির সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন মারুফ হোসেন নামে এক ছাত্রদল কর্মী। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১০ জন।
প্রতিবাদে বুধবার (আজ) মহম্মদপুর উপজেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে জেলা বিএনপি। নিহত মারুফ উপজেলার নিত্যানন্দপুর গ্রামের আফসার উদ্দিনের ছেলে। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বেলা ১২টার দিকে ধোয়াইল বাজার এলাকায় বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আলম খান বাচ্চু ও আওয়ামী লীগ নেতা ইকবাল আকতার উজ্জ্বলের নেতৃত্বে হরতালের পক্ষে-বিপক্ষে মিছিল বের হলে শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। এ সময় তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও শটগানের গুলি ছোড়ে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন মারুফ (২০)।
নিহত মারুফের লাশ মাগুরা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আহতদের মধ্যে শামীম, রুবেল, রহমান, লাল মিয়া ও জাহাঙ্গীর। তাদের মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত মারুফকে ছাত্রদল কর্মী বলে দাবি করেছেন মহম্মদপুর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম। মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম দাবি করেছেন, পুলিশের গুলিতে নয়, সড়কির আঘাতে নিহত হয়েছেন মারুফ।
এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে জেলা সদরে বিক্ষোভ করেছে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন। উপজেলায় আজ সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছে জেলা বিএনপি।
চট্টগ্রাম : বোয়ালখালীতে বিএনপি-আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার সময় পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে এক যুবকের। বোয়ালখালীর ফুলতলা মোড়ে বিএনপির সমাবেশস্থল দিয়ে আওয়ামী লীগের মিছিল যাওয়ার সময় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে উভয় দলের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হলে অনেকে পাশের একটি খালে ঝাঁপ দেয়।
পরিস্থিতি শান্ত হলে পুলিশ খাল থেকে অজ্ঞাত এক যুবকের লাশ উদ্ধার করে। এদিকে বিএনপির অন্তঃকোন্দলে নগরীর বহদ্দারহাটে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদের মূল গেট থেকে পাঁচ শতাধিক মোটরসাইকেল নিয়ে শো-ডাউন ও লাঠিমিছিল করেছে যুবলীগ।
ময়মনসিংহ : গৌরীপুরে পুলিশের সহায়তায় উপজেলা জামায়াত নেতাদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করেছে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, ডৌহাখলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজিম উদ্দিনের নেতৃত্বে উপজেলা জামায়াতের আমির আবুবক্কর সিদ্দিকের কলতপাড়া বাজারের একটি বাসা থেকে ১০টি পরিবারকে উচ্ছেদ ও চারটি দোকানে লুটপাট চালিয়ে তা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
তারা জামায়াত নেতাদের বাসার প্রতিটি কক্ষ ভেঙে তছনছ করে। অন্যদিকে রামগোপালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জহিরুল হক ওরফে জহির মাস্টারের নেতৃত্বে শিবপুর গ্রামে জামায়াতের রুকন রুহুল আমিন, কর্মী নুরুল আমিনের বাড়িঘর, শিবপুর বাজারে ছয়টি দোকান, দুটি মৎস্য হ্যাচারিতে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। এ সময় তারা আসবাবপত্রে অগি্নসংযোগ করে। এ ঘটনা ঘটে বিপুলসংখ্যক পুলিশের উপস্থিতিতে।
গাজীপুর : হরতালে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষের সময় আহত হয়েছেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র অধ্যাপক এম এ মান্নান।
এ ছাড়া সিটি করপোরেশনের এক কাউন্সিলরসহ আহত হয়েছেন ২৫ জন। সকালে হরতালের সমর্থনে জেলা বিএনপি কার্যালয় থেকে মেয়র মান্নানের নেতৃত্বে একটি মিছিল বের হয়। মিছিল থেকে কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে কর্তব্যরত পুলিশ মিছিলকারীদের পেছন দিক থেকে ধাওয়া করে। এ সময় পুলিশের ধাওয়ায় রাস্তায় পড়ে আহত হন মেয়র মান্নান।
জয়দেবপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাহিদুল ইসলাম জানান, মিছিল থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে কয়েকটি হাতবোমা ফাটানো হয়। এতে জয়দেবপুর থানার এসআই আনোয়ার হোসেনসহ কয়েকজন আহত হন। এদিকে সিটি মেয়রের গ্রামের বাড়ি সালনায় দোকানপাট ও যানবাহনে ভাঙচুর চালিয়েছে বিএনপি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ লাঠিচার্জ, কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল ছোড়ে পুলিশ। সংঘর্ষে তিন পুলিশসহ আহত হন ১০ জন।
সিরাজগঞ্জ : সদর উপজেলার শিয়ালকোলে হরতালে পিকেটিং করা নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় যুবদল নেতা আলম ও লিপনকে ছুরিকাঘাত ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করা হয়েছে। এদিকে সোমবার রাত ৮টার দিকে শহরের মাছুমপুর মহল্লায় পুলিশের পিকআপ ভ্যান লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে পিকেটাররা। এতে আবদুল কাদের ও আনোয়ার হোসেন নামে দুই পুলিশ কনস্টেবল গুরুত্বর আহত হন। অন্যদিকে গতকাল শহরের সমাজকল্যাণ মোড়ে পিকেটারদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এ সময় দুটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটনো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ২০ রাউন্ড রাবার বুলেট ও টিয়ারশের নিক্ষেপ করেছে পুলিশ।
বগুড়া : সান্তাহারে আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রাসেল মনজুরের ওপর হামলা চালিয়ে লাঞ্ছিত করেছে ১৮ দলের কর্মীরা। এ সময় পিকেটারদের কবল থেকে তাকে উদ্ধর করেন স্থানীয় সাংবাদিক ও বিএনপি নেতারা। জানা গেছে, আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার-বগুড়া আঞ্চলিক মহাসড়কের সান্তাহার শহরের উপহার সিনেমা হলের সামনে রাস্তা বন্ধ করে প্রতিবাদ সভা করছিল ১৮ দল।
রাজপথ মুক্ত করার জন্য বেলা ১২টা ০৫ মিনিটে আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাসেল মনজুর নিজে মোটরসাইকেলে সেখানে হাজির হন। তিনি উপজেলা যুবদল সভাপতি মাহফুজুর রহমান টিকন ও বিএনপি সভাপতি আবদুল মহিত তালুকদারকে ডেকে নিয়ে কথা বলতে চান। এ সময় কয়েকজন কর্মী ইউএনওকে ঘেরাও করে তর্কে লিপ্ত হয় এবং একপর্যায়ে ধাক্কা দেয় ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। এ সময় স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিক ও বিএনপি নেতারা তাকে উদ্ধার করেন।
সাতক্ষীরা : কালিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ ওয়াহেদুজ্জামানের কার্যালয় ভেঙে গুঁড়িয়ে আসবাবপত্র জ্বালিয়ে দিয়েছে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা।
ঘটনার ছবি তুলতে গেলে দৈনিক জন্মভূমির কালিগঞ্জ প্রতিনিধি আবু হাবিবকে কুপিয়ে জখম করে হরতাল সমর্থকরা। এদিকে দেবহাটার সখিপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলামকে পিটিয়ে জখম করেছে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা। তালায় ১৮ দলের মিছিলে ছাত্রলীগের ইট নিক্ষেপের ঘটনায় আহত হয়েছেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক উপাধ্যক্ষ শফিকুল ইসলামসহ তিনজন।
পিরোজপুর : জিয়ানগরসহ জেলা সদর ও অন্যান্য উপজেলায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। দুপুরের দিকে শহরের বড়পোল এলাকায় জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদকের ভাই ইউপি সদস্য মিঠু গাজীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে পিকেটাররা।
তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঘটনার পর শহরে সশস্ত্র মহড়া দিয়েছে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এদিকে জেলা শহরের বাইপাস সড়কে পিকেটাররা টায়ার জ্বালিয়ে ও বৈদ্যুতিক পোল ফেলে সড়ক অবরোধ করে। সেখানে বিক্ষোভ মিছিল শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কুশপুত্তলিকা দাহ করে বিক্ষোভকারীরা। পরে পুলিশের বাধায় মিছিল পণ্ড হয়ে যায়।
রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) : উপজেলা বিএনপির পাঁচ-ছয় হাজার নেতা-কর্মী এশিয়ান হাইওয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখে। ধাওয়া দিলে পুলিশের সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এ সময় ১০ জন আহত হন। একই সময় যুবদল ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা কাঞ্চনবাজারে পুলিশফাঁড়িতে ককটেল নিক্ষেপ করে। এদিকে সংঘর্ষের তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে যুবদল ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে দুটি ককটেল ছোড়ে।
তা বিস্ফোরিত হয়ে কালের কণ্ঠের রাসেল আহমেদ, সকালের খবরের জি এম সহিদ, আজকালের খবরের রিয়াজ হোসেন, বাংলাদেশ প্রতিদিনের জাহাঙ্গীর আলম হানিফ, অর্থনীতি প্রতিদিনের ইমদাদুল হক দুলাল আহত হন। অন্যদিকে সোমবার গভীর রাতে ভুলতা ও বরপার আওয়ামী লীগ অফিসে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা।
দিনাজপুর : বিরামপুর উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি ও কাটলা ইউপি চেয়ারম্যান শামসুল আলমকে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় তাকে রক্ষায় এগিয়ে এলে চারজন আহত হন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় শামসুলকে প্রথমে বিরামপুর হাসপাতাল, পরে দিনাজপুর মেডিকেলে স্থানান্তর করা হয়।
এ ছাড়া সোমবার সন্ধ্যায় খানসামা উপজেলার ভেরভেরী ইউপি কৃষক লীগ নেতা মামুনুর রশিদ মামুনকে কুপিয়ে জখম করেছে শিবির কর্মীরা। বিরলে গতকাল আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পুলিশ। আমতলীতে আওয়ামী লীগ-বিএনপি ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় আহত হয়েছেন চিরিরবন্দর উপজেলা যুবদল সভাপতি অধ্যক্ষ রেজাউল করিম।
ফেনী : দাগনভূঞা উপজেলার সিলোনিয়া নামক স্থানে ছাত্রদল ও যুবদলের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে তিন পুলিশসহ আটজন আহত হয়েছেন।
ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। উপজেলার সিলোনিয়া এলাকায় ছাত্রদল-যুবদল মিছিল করে কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে বাধা দিলে তারা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ৩৯ রাউন্ড গুলি ও তিন রাউন্ড টিয়ার শেল ছোড়ে পুলিশ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।