মাঝখানে কেটে গেছে তিন বছরেরও বেশি। আসলেই কি তাই? মনে তো হচ্ছে মাঝখানের সময়টা হাওয়ায় মিলিয়ে গিয়ে সেই অক্টোবর এসে মিশে গেছে এই অক্টোবরে। ২০১০ সালের ১৭ অক্টোবর যেখানে শেষ করেছিল লাল-সবুজের বাংলাদেশ, তিন বছর পরের অক্টোবরের শেষে এসে শুরু করল যেন ঠিক সেখান থেকেই।
সেবার বৃষ্টির কারণে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ হয়ে গিয়েছিল চার ম্যাচের। এক-এক করে চারটিতেই জিতল বাংলাদেশ—নিউজিল্যান্ড হোয়াইটওয়াশ! ‘হোয়াইটওয়াশ’ বলে কি আর এর বিশেষত্ব বোঝানো যায়! অভাবনীয় এই কীর্তির হাত ধরে ক্রিকেট-অভিধানে তাই ঢুকে গেল ‘বাংলাওয়াশ’ শব্দটা।
এরপর এই প্রথম ওয়ানডেতে দেখা দুই দলের এবং সিরিজ শুরুর আগে থেকেই আকাশে-বাতাসে ওই শব্দটির অনুরণন। একটু বাড়াবাড়িও মনে হচ্ছিল কখনো কখনো—এতই সহজ! একবার হয়ে গেছে ঠিক আছে। বারবার কি আর অমন হয়!
কী আশ্চর্য, আবারও দূর দিগন্তে সেই ‘বাংলাওয়াশ’-এর উঁকিঝুঁকি। দূর দিগন্তেই বা বলেন কীভাবে, সেটি তো এখন দৃষ্টিসীমাতেই। কাল দ্বিতীয় ওয়ানডের পর দুই দলের সর্বশেষ ৬টি ওয়ানডের স্কোরলাইন বাংলাদেশ ৬: নিউজিল্যান্ড ০! রসিকতা করে নয়, প্রেসবক্সে এক সাংবাদিক লেখার প্রয়োজনেই জানতে চাইলেন, ‘আচ্ছা, নিউজিল্যান্ড ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে শেষ কবে হারিয়েছে, মনে আছে?’ দুই দিন আগে প্রথম ম্যাচে রুবেল একাই উড়িয়ে দিয়েছিলেন নিউজিল্যান্ডকে।
কাল দ্বিতীয় ম্যাচে জয়টা এল অনেকের মিলিত অবদানে। তবে দাপটের দিক থেকে কোনোটাই পিছিয়ে রাখার মতো নয়। এক ম্যাচ বাকি থাকতেই নিশ্চিত হয়ে গেছে সিরিজ জয়। আগামী পরশু ফতুল্লায় শেষ ওয়ানডেটা এখন শুধুই আনুষ্ঠানিকতা। শুধুই আনুষ্ঠানিকতা? সিরিজের দৃষ্টিকোণ থেকে তা হতে পারে, কিন্তু বাংলাদেশের দৃষ্টিকোণ থেকে নয়।
‘বাংলাওয়াশ’ বাকি আছে না!
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।