ঢাকার পাশাপাশি বিভাগীয় শহরগুলোতেও ফ্রিল্যান্সিং জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে ঢাকার পাশাপাশি বিভাগীয় শহর সিলেটের ফ্রিল্যান্সারাও কাজে উত্সাহী হচ্ছেন।
অনলাইন মার্কেটপ্লেস ইল্যান্সের কান্ট্রি ম্যানেজার সাইদুর মামুন খান দাবি করেছেন, এ বছর শুধু সিলেটের ফ্রিল্যান্সাররা সম্মিলিতভাবে এক লাখ ডলারের বেশি আয় করেছেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৮০ লাখ টাকার কাছাকাছি।
২০১০ সাল থেকে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এবং হোস্টিং সার্ভার ম্যানেজমেন্ট নিয়ে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে অনলাইন মার্কেটপ্লেসে কাজ করছেন সিলেটের নাজমুল হক।
তাঁর ভাষ্য, বর্তমানে তিনি নতুন ওয়েবসাইট তৈরি, পুরোনো ওয়েবসাইট কাস্টমাইজেশন এবং সার্ভার ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ করছেন। ইউরোপের বিভিন্ন দেশ, যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার কাজদাতাদেরও বিভিন্ন কাজ করছেন তিনি।
নাজমুল হক বলেন, ‘ঘরে বসে আয় করতে পারছি। তাই নিজ শহর ছেড়ে কাজের সন্ধানে অন্য কোথাও যেতে হয়নি। প্রযুক্তিতে দক্ষতা, ধৈর্য আর ভালো ইংরেজি জানার ফলে এ সাফল্য এসেছে।
’
তিনি আরও বলেন, বিভাগীয় শহর হিসেবে কাজ করার প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়ায় ইন্টারনেটের গতি। দ্রুতগতির ও সাশ্রয়ী খরচে ইন্টারনেট পেলে অনলাইন মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সারদের জন্য ভালো সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে।
সারা দেশে দক্ষ ফ্রিল্যান্সার তৈরিতে কাজ করছে অনলাইন মার্কেটপ্লেস ইল্যান্স। সিলেটের ফ্রিল্যান্সারদের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে সাইদুর মামুন খান দাবি করেন, অনলাইনে গড় আয়ের দিক থেকে সিলেটের ফ্রিল্যান্সাররা তৃতীয়। এ বছর সম্মিলিতভাবে প্রায় এক লাখ ডলার আয় করেছেন সিলেটের ফ্রিল্যান্সাররা।
এখানে দক্ষ অনেক ফ্রিল্যান্সার রয়েছেন। একই সঙ্গে নতুন করে আরও অনেকেই এ পেশায় আগ্রহী হয়ে উঠছেন।
ইল্যান্সের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সিলেটের ফ্রিল্যান্সারদের জন্য ২ ও ৩ নভেম্বর শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং হোটেল সুপ্রিমে সেমিনার ও কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। এ কর্মশালায় বিনা মূল্যে ফ্রিল্যান্সিং-সংক্রান্ত দিকনির্দেশনা জানানো হবে। সবার জন্য উন্মুক্ত এ কর্মশালা।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।