চলতি নভেম্বর মাস থেকেই স্নোডেন নতুন দায়িত্বে যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে সেই ওয়েবসাইটের নাম এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা’র (এনএসএ) সাবেক কর্মী স্নোডেন বিভিন্ন দেশ, পরামর্শক গোষ্ঠী ও নাগরিকদের ওপর যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ব্যাপক নজরদারি ও আড়ি পাতার তথ্য ফাঁস করে দিলে সারা বিশ্বে শুরু হয় হৈ চৈ।
এ নিয়ে দেশে ও বিদেশে ব্যাপক সমালোচনা ছাড়াও কূটনৈতিক জটিলতায় পড়তে হয় যুক্তরাষ্ট্রকে।
এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ যুক্তরাষ্ট্র স্নোডেনকে ধরে আইনের মুখোমুখি দাঁড় করাতে চায়।
কিন্তু রাশিয়ায় রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়ায় স্নোডেন আপাতত ওয়াশিংটনের নাগালের বাইরেই রয়ে গেছেন।
এরই মধ্যে মস্কো শহরে স্নোডেনের প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ানোর একটি ছবি প্রকাশ করেছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন।
এতে লাল জামা ও বাদামী ক্যাপ মাথায় স্নোডেনকে মস্কোভা নদীর তীরে সঙ্গীসাথী পরিবেষ্টিত অবস্থায় দেখা যায়। ক্যামেরায় দিকে মুখ ঘোরানো স্নোডেনের মুখে রয়েছে স্মিত হাসির আভাস।
মস্কোর ছবিতে দেখা গেলেও স্নোডেন রাশিয়ার ঠিক কোথায় বসবাস করছেন তা প্রকাশ করা হয়নি।
স্নোডেনকে হস্তান্তরে যুক্তরাষ্ট্রের উপর্যুপরি আহ্বান প্রত্যাখ্যানও করে আসছে রাশিয়া।
এদিকে জার্মানির গ্রিন পার্টির এমপি হ্যান্স-ক্রিস্টিয়ান স্ট্রেবেলে বৃহস্পতিবার মস্কোয় স্নোডেনের সঙ্গে দেখা করেন।
পরে তিনি জার্মান সংবাদ সংস্থা এআরডি’কে বলেন, ‘‘এনএসএ‘র কার্যক্রম সম্পর্কে স্নোডেন অনেক কিছু জানেন। তিনি জার্মানির শীর্ষ নেতাদের ওপর এনএসএ’র গোয়েন্দা নজরদারির বিষয়ে সাক্ষ্য দেয়ার জন্য জার্মানিতে আসতে প্রস্তুত। তবে আগে এ বিষয়ের শর্তগুলো নিয়ে আলোচনা হতে হবে।
”
৭৪ বছর বয়সী স্ট্রেবেল জার্মানির গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কার্যক্রম পর্যবেক্ষণকারী জার্মান পার্লামেন্টের নিয়ন্ত্রণ কমিটির অন্যতম সদস্য। জার্মান সরকার ও অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছে পাঠানো স্নোডেনের দুটি চিঠিও তিনি বহন করে নিয়ে আসেন। শুক্রবার প্রাপকদের কাছে চিঠিগুলো হস্তান্তর করেছেন তিনি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।