এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার চর দৌলতখান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সমর্থকেরা হাত-পা কেটে প্রতিপক্ষের একজনকে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। যাওয়ার সময় তাঁরা ওই ব্যক্তির পা নিয়ে গেছেন।
উপজেলার মোক্তারহাট বাজারে গত বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জের ধরে প্রতিপক্ষের লোকজন গতকাল শুক্রবার চেয়ারম্যান ও তাঁর সমর্থকদের অর্ধশতাধিক ঘর ভাঙচুর এবং একটি ঘরে অগ্নিসংযোগ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
নিহত ব্যক্তির নাম বাবুল ব্যাপারী (৪৬)।
তিনি উপজেলার চর দৌলতখান ইউনিয়নের মোক্তারহাট গ্রামের আবদুল রশিদ ব্যাপারীর ছেলে। তিনি চর দৌলতখান ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান সরদারের সমর্থক ছিলেন। এ ঘটনায় গতকাল সকালে রশিদ ব্যাপারী ৩২ জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, বাবুল ব্যাপারী গত বৃহস্পতিবার রাত আটটায় মোক্তারহাটের একটি রেস্তোরাঁয় চা পান করতে বসেন। এ সময় ওই ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান চান মিয়ার সমর্থক সুমন, মিরাজ, আমির হামজা, শরিফুলসহ ১০-১২ জন তাঁর ওপর হামলা চালান।
তাঁরা তাঁর বাম পায়ের নিচের অংশ ও হাত কেটে শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেন এবং তাঁকে এলোপাতাড়ি কোপান। যাওয়ার সময় তাঁরা বিচ্ছিন্ন পা নিয়ে যান। ফরিদপুরে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। থানায় আনার পর রাতেই পুলিশ বাবুল ব্যাপারীর লাশ মাদারীপুর হাসপাতালে পাঠায়।
এর জের ধরে গতকাল সকালে মান্নান সরদারের সমর্থকেরা চাঁন মিয়া, তাঁর সমর্থক নেছার উদ্দিন, সাইদুল, হারুন শিকদার, হারুন হাওলাদার, সেন্টু শিকদার, আলাল শিকদার, আলাউদ্দিন শিকদারসহ অর্ধশতাধিক মানুষের বসতঘর ভাঙচুর এবং আমির হামজার ঘরে অগ্নিসংযোগ করেন।
বাবুলের মেয়ে রুবিনা অভিযোগ করেন, তাঁর বাবা অন্যায়ের প্রতিবাদ করতেন। তাই ক্ষিপ্ত হয়ে চেয়ারম্যান সন্ত্রাসী দিয়ে তাঁর বাবাকে নির্মমভাবে খুন করেছেন। মিরাজ, আমির হামজা, শরিফুল, মিঠু ও হালিম তাঁর বাবার পা কেটে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে গিয়ে লোকজনকে বলেছে, তাঁদের বিরোধিতা করায় তাঁরা বাবুলের পা কেটে নিয়ে এসেছেন।
সাবেক চেয়ারম্যান মান্নান সরদার বলেন, বর্তমান চেয়ারম্যান চান মিয়ার সমর্থকদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করায় বাবুলকে প্রাণ দিতে হয়েছে। চান মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা জানান, পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে চান মিয়ার সমর্থক টুটুলকে আটক করেছে।
মাদারীপুরের পুলিশ সুপার খোন্দকার ফরিদুল ইসলাম জানান, এটা দীর্ঘদিনের শত্রুতার জের। অপরাধীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। কোনো পক্ষকেই ছাড় দেওয়া হবে না।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।