উইকেটে এসেই বিধ্বংসী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। প্রথম ২১ বল মোকাবিলা করেই সংগ্রহ করে ফেলেছিলেন ৬০ রান। ইনিংসটা দীর্ঘায়িত করতে পারলে কী হতো, কে জানে। কিন্তু ২৩তম ওভারে তাঁকে ফিরিয়ে জয়টা প্রায় নিশ্চিতই করে ফেলেছে ভারত। ২২ বলে ৪৯ রান করে আউট হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার শেষ ভরসা শেন ওয়াটসনও।
২৮.২ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়া স্কোরবোর্ডে জমা হয়েছে ২০৫ রান। জয়ের জন্য এখনো ১৭৯ রান সংগ্রহ করতে হবে অস্ট্রেলিয়াকে।
ম্যাক্সওয়েল উইকেটেও এসেছিলেন চাপের মুখে, মাত্র ৭৪ রানেই ৪ উইকেট হারানোর পর। তারপর টানা দুই ওভারে অ্যাডাম ভোজেস ও ম্যাক্সওয়েলকে ফিরিয়ে ভারতকে সিরিজ জয়ের অনেকটাই কাছাকাছি নিয়ে গেছেন মোহাম্মদ সামি ও বিনয় কুমার।
৩৮৪ রানের বিশাল লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চের উইকেট হারিয়ে ফেলায় শুরুটা মোটেই ভালো হয়নি অস্ট্রেলিয়ার।
দ্বিতীয় উইকেটে ফিলিপ হিউজ ও ব্র্যাড হাডিন ৫৭ রানের জুটি গড়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা চালিয়েছিলেন বটে। কিন্তু তাঁরাও খুব বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি উইকেটে। দুজনই সাজঘরমুখী হয়েছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিনের শিকার হয়ে। মাঝখানে অধিনায়ক জর্জ বেইলিও রানআউটের ফাঁদে পড়ায় বেশ ভালোই বিপদে পড়েছে অস্ট্রেলিয়া। হিউজ ২৩ ও হাডিন ৪০ রান করে আউট হয়েছেন।
এর আগে অস্ট্রেলিয়া ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ ৩৪৫ রান তাড়া করে জয়ের দেখা পেয়েছিল। আজ ভারতের বিপক্ষে এই ম্যাচটা জিততে হলে তাই নতুন একটি রেকর্ডই গড়তে হবে সফরকারীদের। সেই আশা তো এখন দূরাশাই। অস্ট্রেলিয়া এখন লড়াই করছে ওয়ানডেতে ইতিহাসে তাদের বড় পরাজয়গুলোর একটি এড়ানোর জন্য। ২০৬ রানে নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে যাওয়া অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বড় পরাজয়।
সেটি এড়াতে পারলেও ভারতের বিপক্ষে সবচেয়ে বড় পরাজয়টি আজই লেখা হচ্ছে কি না, কে জানে। ভারতের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বড় পরাজয়টি যে ১১৮ রানের। সেখান থেকে এখনো ৬১ রান দূরে আছে অস্ট্রেলিয়া।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।