আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সাত বছর পর ফতুল্লায় ফিরল ওয়ানডে

আইসিসি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম হিসেবে ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামকে ২০০৬ সালের মার্চে স্বীকৃতি দিয়েছিল। সে বছরেরই মার্চ ও এপ্রিলে চারটি ওয়ানডে এবং একটি টেস্ট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় ওই মাঠে। খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ইতিহাস ইতি টানে এখানেই। এরপর পেরিয়ে গেছে সাড়ে সাত বছর। বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচ এবং অনূর্ধ্ব-১৯ দলের খেলাই ছিল এখানকার ক্রিকেটের শেষ কথা।

দীর্ঘ বিরতির পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আবারও মুখরিত হতে যাচ্ছে ফতুল্লা স্টেডিয়াম। আজ বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড ম্যাচ দিয়েই দীর্ঘ ক্রিকেট খরা কাটাচ্ছে খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়াম।

এই ম্যাচকে ঘিরে স্টেডিয়ামের চারপাশ ঘষেমেজে তকতকে করে তোলা হয়েছে। প্রধান ফটকের পাশে জমে থাকা ময়লার স্তূপ সরিয়ে স্থাপন করা হয়েছে লাল-সবুজের পতাকা। খানাখন্দ ভরাট করে ফতুল্লাকে সাজানো হয়েছে নববধূর সাজে।

সরাসরি খেলা সম্প্রচার করার জন্য ১৭টি ক্যামেরা বসিয়েছে টিভি চ্যানেল জিটিভি। বিদ্যুৎ বিভ্রাট থেকে মুক্ত থাকার জন্য বার বার পরীক্ষা করা হয়েছে।

২০০৬ সালের ২৩ মার্চ। কেনিয়ার বিপক্ষে ফতুল্লায় খেলতে নামে বাংলাদেশ। স্টেডিয়ামের ইতিহাসে প্রথম ম্যাচটা টাইগাররা জিতে নেয় ২০ রানে।

হাবিবুল বাশার সুমনের দল ঠিক দুই দিন পরের ম্যাচটাও জিতে নেয় ৭ উইকেটে। অধিনায়ক সুমনের অপরাজিত ৬৪ রানের পাশাপাশি রাজিন সালেহ সেই ম্যাচে করেছিলেন অপরাজিত সেঞ্চুরি (১০৮)। প্রতিপক্ষ ছিল কেনিয়াই। এ মাঠে ক্রিকেট পরাশক্তি হিসেবে একমাত্র অস্ট্রেলিয়াই ছিল বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ। ২০০৬ সালের ২৬ ও ২৮ এপ্রিল দুটি ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া।

প্রথমটিতে টাইগাররা পরাজিত হয় ৬৭ রানে। দ্বিতীয়টিতে হারে ৯ উইকেটে। ২০০৬ সালে অস্ট্রেলিয়া ছিল নিজেদের সোনালি যুগের সর্বোচ্চ চূড়ায়। আর ক্রিকেটে তখন অনেকটাই নবীন বাংলাদেশের পক্ষে দুর্দান্ত অসিদের মুখোমুখি হওয়াটাই ছিল সবচেয়ে বড় কথা। সাড়ে সাত বছর পর অনেক কিছুই বদলে গেছে।

এমন কোনো ক্রিকেট পরাশক্তি নেই, যারা টাইগারদের কাছে পরাজয়ের স্বাদ গ্রহণ করেনি।

 

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।