রেড টেলিফোনে ডেড। তাও আবার কোন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী এরেগেরের নয়, স্বয়ং বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার। বিকল্প বা ছায়া প্রধানমন্ত্রীর। রেড টেলিফোন মানে হট লাইন, ডেড থাকার কোন সুযোগ নেই। ভিভিআইপি বলে কথা।
তবু খারাপ বলাটা রহস্যের ব্যাপার। একটি প্রাইভেট টিভি চ্যানেলের দেখা গেল একদিকে শেখ হাসিনা সেলফোনে কথা বলছেন, অন্যদিকে খালেদা জিয়া আবছা আলো-আঁধারি পরিবেশে সোফায় বসে আছেন, সাইড টেবিলে রেড টেলিফোনটি নিশ্চিতে শুয়ে আছে।
যদ্দুর জানা যায়, শেখ হাসিনা গত শনিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে রেড টেলিফোনে কথা বলার জন্যে আধাঘণ্টা ১০/১২ বার চেষ্টা করেন। উদ্দেশ্য আগামী নির্বাচন ক্যামন করে সুষ্ঠু স্বচ্ছভাবে সম্পন্ন করা যায়, আলোচনার উদ্দেশ্যে খালেদা জিয়াকে গণভবনে দাওয়াত দেয়া। অর্থাৎ আলোচনার দিনক্ষণ ঠিক করা, খালেদা লাঞ্চে আসবেন না ডিনারে, লাঞ্চে এলে কি খাবেন, ডিনারে এলে কি কি হবে মেন্যু, এ সবই হবে আলোচনার বিষয়।
জানি শেখ হাসিনা সাদা ভাত, শাক-ভর্তা, ছোট মাছের চড়চড়ি এসব পছন্দ করেন। শুঁটকি থাকলে আরও ভাল হয়। বেগম জিয়া কি ওই সব খাবার পছন্দ করেন? যদ্দুর জানা যায়, করেন না। বরং পাঁচতারা হোটেলে ‘বাংলা-ইংলিশের ককটেল’ পছন্দ করেন? তাই যদি হয় তাহলে তো আগে-ভাগেই হোটেল সোনারগাঁ কিংবা শেরাটনের কুকদের বুক করে রাখতে হবে যে। শেখ হাসিনা তো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আর বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসার কন্যা, অতিথিকে ভালভাবে আপ্যয়ন করা তাদের পারিবারিক কালচার এবং তা নিজ হাতে পরিবেশন করে।
শেখ হাসিনা তো রান্নাও করেন। ক’দিন আগে জয়ের জন্মদিনে নিজেই রান্না করে ছেলেকে খাওয়ান। আর খালেদা জিয়া তো হোটেল সোনরাগাঁও শেরাটন থেকে খাবার নিয়ে খেতে ভালবাসেন বলে শুনেছি।
কিন্তু মজার ব্যাপার হলো দুপুরে আধাঘণ্টা চেষ্টা করে ব্যর্থ হলেও সন্ধ্যায় সেলফোনের সংযোগ স্থাপনে সফল হন এবং ৩৭ মিনিট কথা বলেন। তাদের এ কথোপকথনের পুরোটাই জনগণের সামনে চলে আসে।
কে তা প্রকাশ করল এ নিয়ে আমাদের মিডিয়া ও পদাধিকার বলে বুদ্ধিজীবীদের বড়ই আপত্তি। এটা কি তবে রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা? আমি মনে করি না। তারা দু’জনই জনগণের নেত্রী। জনগণ একজনকে ডাকেন ‘জননেত্রী’ বলে, আরেকজনকে ‘ম্যাডাম’ বলে। বস্তুত ৩৭ মিনিটের আলাপচারিতায় দেখা গেছে শেখ হাসিনার কণ্ঠ নরম, এতটুকু আক্রোশ নেই।
পক্ষান্তরে খালেদা জিয়ার কণ্ঠ কর্কশ, শ্রুতিকটু এবং আক্রমণাত্মক। এ জায়গাটা বেগম জিয়া যেভাবে পয়েন্ট লস করেছেন তা কোনদিনই পূরণ করতে পারবেন না, এটা বিএনপি সিনিয়র নেতারা বুঝতে পেরেই আলোচনার মেরিট বাদ দিয়ে কেন টেলিফোনিক আলাপ প্রকাশ করা হলো তা নিয়ে বেশি কথা বলছেন? বিএনপি নেতা ও তাদের কলম সুহৃদদের এখন প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা খালেদা জিয়ার পয়েন্ট পুনরুদ্ধারে। এর আভাস পাওয়া যায় ইংরেজী দৈনিক ডেইলি স্টার পত্রিকার ব্যাক পেজের একটি রিপোর্টে। রিপোর্টিটির শিরোনাম হলো : ‘ঈষবধৎ বফমব ড়াবৎ চগ’ রিপোর্টে বলা হয় ‘ইঘচ’ং ঢ়ড়ষরপু সধশবৎং ঢ়ৎধরংব কযধষবফধ ড়াবৎ ঢ়যড়হব’ অর্থাৎ ইঘচ’ং ঢ়ড়ষরপু সধশবৎং নবষরবাব শযধষবফধ তরধ যধফ পড়সঢ়ৎবযবহংরাবষু নবধঃবহ ঝযবরশয ঐধংরহধ ড়হ ংড়সব পৎরঃরপধষ রংংঁবং রহ ঃযব ঃবষবঢ়যড়হব পড়হাবৎংধঃরড়হ ঃযব ঃড়ি ষবধফবৎং যধফ ড়হ ঝধঃঁৎফধু.
ইঘচ’ং ঘধঃরড়হধষ ঝঃধহফরহম ঈড়সসরঃঃবব গবসনবৎং ধঃ ধ সববঃরহম ড়হ ঞঁবংফধু হরমযঃ ষধহফবফ ইঘচ ঈযরবভ কযধষবফধ ধহফ ংধরফ যবৎ পষবধৎ বফমব ড়াবৎ চৎরসব গরহরংঃবৎ ঝযবরশয ঐধংরহধ ফঁৎরহম ঃযব পড়হাবৎংধঃরড়হ যধফ নড়ড়ংঃবফ সড়ৎধষব ড়ভ ড়ঢ়ঢ়ড়ংরঃরড়হ ধপঃরারংঃং পড়ঁহঃৎু রিফব...রঃ ংববসং ঝযব (কযধষবফধ) ড়িহ ঃযব নধঃঃষব ড়ভ ড়িৎফং....’ সাংবাদিক শাখাওয়াত লিটনের নামে প্রকাশিত এ রিপোর্টের মূল কথা হলো বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদার মধ্যকার টেলিসংলাপে খালেদা শেখ হাসিনাকে এক হাত নিয়েছেন (নবধঃবহ) এবং শব্দ যুদ্ধ অর্থাৎ তর্কযুদ্ধে জয় লাভ করেছেন
বিষয়টি আলোচনার আগে আমাদের চাঁদপুর অঞ্চলের একটা গল্প মনে পড়ে গেল... দুই লোকের ঝগড়ার এক পর্যায়ে সবল ব্যক্তির হাতে দুর্বল ব্যক্তি মার খেতে খেতে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। সবল তাকে রেখে চলে যায়।
দুর্বল লোকটির প্রেসটিজ জ্ঞান খুব টনটনে। কেউ দেখে ফেলল কিনা এদিক-ওদিক তাকাতে তাকাতে কাপড়ের ধুলোবালি ঝাড়তে ঝাড়তে দাঁড়িয়ে দেখে কেউ একজন সামনে দাঁড়িয়ে। হেসে ওঠে বলে- ‘ও আমার চড়-থাপ্পড় দিচ্ছে, কিল-ঘুষি মেরেছে, কিলাইতে কিলাইতে সোয়াই ফালাইছে, কিন্তুক ইজ্জত মারতে পারেনি। ’ শেখ হাসিনা পুরো সংলাপে অত্যন্ত নরম ভাষায় ভদ্র ও বুদ্ধিদীপ্ত শব্দ চয়ন এবং যুক্তি দিয়ে একটার পর একটা ইস্যুকে সামনে নিয়ে এসেছেন এবং খালেদা অত্যন্ত অসহিষ্ণু আক্রমণাত্মক-হিংসাত্মক ভাষায় জবাব দিতে গিয়ে যেভাবে নিজেকে ‘শুইয়ে’ দিয়েছেন, তাতে করে বলতে হয় ‘কিন্তুক ইজ্জত মারতে পারেনি। ’ শেখ হাসিনা যেভাবে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত অত্যন্ত ভদ্র ভাষায় নরম কণ্ঠে কথা বলেছিলেন খালেদা এতই কর্কশ কণ্ঠে আক্রমণাত্মক ভাষায় শেখ হাসিনার কথার জবাব দিচ্ছিলেন।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শেখ হাসিনার মুখ থেকে কথা কেড়ে নিচ্ছিলেন। শেখ হাসিনাকে কথা বলতে দিতে চাইছিলেন না, যেন এটাকে যদি বলা হয় এক হাত নেয়া বা দেখে নেয়া বা শব্দ যুদ্ধে জয় লাভ করা, তাহলে বলতে হয় কোথায় সুশিক্ষিতা রুচিশীল বাংলার এক স্নিগ্ধ নারীর সঙ্গে বস্তির কলতলার মুখরা রমণীর তুলনা করা। অসম তুলনা। যেমন খালেদা জিয়া এক পর্যায়ে শেখ হাসিনা বললেন, ‘আপনি মানসিকভাবে ঠিক আছেন তো?’ এটা কি কোন সুস্থ মস্তিষ্ক ভদ্রজন বলতে পারেন? ‘পাগল কিংবা মদদী ছাড়া কেউ এমন প্রশ্ন করতে পারে না? আমাদের সংবাদপত্র জগতে অনেককে দেখেছি রাতের বেশি ‘বাংলা মদ’ খেয়ে এমন অদ্ভূত সব প্রশ্ন করতে। মাতাল লোক সবাইকে মাতাল ভাবে।
কোন কোন তথাকথিত বুদ্ধিজীবী মনে করেন শেখ হাসিনা এমন কিছু ইস্যু সামনে নিয়ে এসেছেন যার কোন প্রয়োজন ছিল না। এসব প-িতরা (অর্ধ-মুর্খ) পুরো সত্যটা বলেন না, প্রেক্ষিতটাও গোপন করে কথা বলেন।
শেখ হাসিনা যখন বললেন, আপনি আপনার ২৫ তাং জনসভায় বলছেন দু’দিনের মধ্যে সংলাপে বসতে হবে। আমি নির্ধারিত সময়ের আগেই আপনাকে টেলিফোন করছি, ২৮ তাং সন্ধ্যায় গণভবনে আপনাকে দাওয়াত দিচ্ছি, আপনি আমার সঙ্গে বসে রাতের একটু খাবার খাবেন?
খালেদা জিয়া : ২৮ তাং আমি যেতে পারব না।
শেখ হাসিনা : আপনি হরতাল প্রত্যাহার করুন।
খালেদা জিয়া : না, আমি হরতাল প্রত্যাহার করতে পারব না। ...
খালেদা জিয়া : এখন অতীত ছেড়ে আমি বলতে চাই যে, অতীত বাদ দিয়ে, আমি বলতে চাই সামনের দিকে কি করে আগাবেন। অতীত ধরে থাকলে আমরা সামনের দিক এগুতে পারব না...।
এ কথা বলে খালেদা জিয়া অতীত ভুলে যেতে বলেন। এর অর্থ বাঙালী জাতিকে অতীত ভুলে যেতে হবে।
ভুলে যেতে হবে ১৯৭১ সালে পাকি হানাদার মিলিটারি জান্তা ও তাদের এদেশীয় দোসর জামায়াত-শিবির-মুসলিম লীগের খুনী ও নারী ধর্ষকদের। তিনি চান জাতি ভুলে যাক ৩০ লাখ শহীদ ৬ লাখ নির্যাতিতা মা বোনের কথা। তিনি চান জাতি ভুলে যেতে জামায়াতের তৎকালীন ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘ গঠিত আলবদর-আল শামসের হাতে নির্মমভাবে নিহত আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত শিক্ষক ও জিসিদের, ড. মুনীর চৌধুরী, ড. মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, ড. আনোয়ার পাশা, ড. আবুল কালাম আজাদ, ড. গুহ ঠাকুরতা, ডা. আলী চৌধুরী, সাংবাদিক সিরাজউদ্দিন হোসেন, সাংবাদিক শহীদুল্লাহ কায়সার, সাংবাদিক আনম গোলাম মোস্তফা, সাংবাদিক খন্দকার আবু তালেব, সঙ্গীতজ্ঞ আলতাফ মাহমুদ প্রমুখ বরেণ্য বুদ্ধিজীবীদের। অবশ্য এটাও ঠিক তার পক্ষে এদের লেভেল বোঝা সম্ভব নয়। তিনি কি চান ভুলে যেতে স্বপরিবারে জাতির জনককে হত্যার কথা? জাতীয় চার নেতাকে হত্যার কথা, তিনি কি চান ভুলে যেতে আইভি রহমানসহ ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের কথা? তিনি কি চান আমরা ভুলে যাই ধর্ষিতা কিশোরী পূর্ণিমা শীলের কথা? তিনি কি চান আমরা ভুলে যাই সেই মা’র কথা, যিনি খালেদা জিয়ার ধর্ষক ছাত্রদলকে বলেছিলেন ‘বাবারা আমার মেয়েটির বয়স কম, তোমরা একজন একজন করে এসো?’ আসলে খালেদা জিয়া চাচ্ছেন এসবই জাতির ভুলে যাক।
তার কাছে এসবের কোন মূল্য নেই, তিনি তো একাত্তরের ৯ মাস ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে পাকি জেনারেল জাঞ্জুয়ার তত্ত্বাবধানে নিরাপদে ছিলেন, শেরাটনে সুইম লাঞ্চ-ডিনার করে সময় কাটিয়েছেন(?)। এ কারণেই তিনি তার নিজের দুর্বলতা ঢাকার জন্যে চাচ্ছেন শেখ হাসিনাও সব ভুলে যাক। কিন্তু শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু কন্যা, তাঁর শেকড় আমাদের স্বাধীনতার সুদীর্ঘ ইতিহাস ও বাংলার জনগণের মাঝে। কিভাবে ভুলে যাবেন, তিনি ওসব, নাকি ভুলে যাওয়া যায়? তাছাড়া ব্যক্তিগতভাবে শেখ হাসিনা হলেন, সুশিক্ষিতা, সংবেদনশীল এক বর্ণাঢ্য ঐতিহ্যের উত্তরাধিকারী, আর তার তুলনায় খালেদা জিয়া কি? কি তার শিক্ষা-কালচার-ঐতিহ্য। তা সবাই জানেন।
এ কারণেই দু’জনের বিহ্যাভিয়ারেও বিশাল পার্থক্য। আর তাইতো খালেদা জিয়া বক্তৃতা দেয়া ছাড়া সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন না। সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নের উত্তর দেয়া পছন্দ করেন না। সম্ভবত বিজ্ঞ পার্লামেন্টারিয়ান সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এ কারণেই বলেছিলেন, ‘রোববার শত্রু নেই। ’ সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির বলেছিলেন, ‘বেগম জিয়াকে কথা বলতে দেয়া উচিত।
এর অর্থ কথা বলতে গেলেই তিনি ফাউল করবেন। যেমন শেখ হাসিনার সঙ্গে টেলিসংলাপে করে বসেছেন? আর সে কারণেই বিএনপির স্ট্যার্ন্ডিং কমিটির সদস্যরা খালেদা জিয়ার ‘ইজ্জত’ রক্ষায় এখন মাঠে নেমেছেন, তাদের সঙ্গে কোরাশ গাইছেন টেলিভিশনের মধ্যরাতের গলাজীবীরা, হারানো স্কোর পুনরুদ্ধার করতে হবে যে।
এ যেমন খালেদা জিয়া সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করে মূলত জামায়াত-শিবির ও একাত্তরের বুদ্ধিজীবী হত্যাকারী আলবদর-আল শামসদের সমাবেশ করে শিবিরের সন্ত্রাসী সভাপতির মুক্তি দাবি করলেন। আমার এক বন্ধু বললেন ‘শিবিরের বাচ্চা-বাচ্চা ছেলেরা ওই সমাবেশে ক্যামেরার সামনে বলছে- ‘ছাত্রলীগ ধরে ধরে জবাই করা হবে। ’ এমন কি তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধেও “কুৎসিৎ হিংস্র’ শ্লোগান দেয়।
খালেদার তাতে আপত্তি আছে বলে মনে হয়নি। বরং তাকে উল্লসিত মনে হয়েছে। ’
অবশ্য এর আগেও খালেদা জিয়া বলেছেন, জামায়াত-মুসলিম লীগের ফাঁসি ও যাবজ্জীবন দ-প্রাপ্ত রাজাকার আলবদরদের মুক্তি দিতে হবে। তবে সরাসরি নাম ধরে দাবি করেননি, করেছেন ‘রাজবন্দী’ বলে। তিনি তো ট্রাইব্যুনাল ভেঙ্গে দেয়ার কথাও বলেছেন, হেফাজতী তেতুল হুজুরদের সমর্থনে তার দলকে শাপলা চত্বরে পাঠিয়েছিলেন, যারা শাপলা চত্বর থেকে বেরিয়ে বায়তুল মোকাররমের আশপাশের কোরান-হাদিস পোড়ানোতে পর্যন্ত যোগ দিতে সামান্যতম দ্বিধা করেননি।
অবশ্যই তিনি দোষ দিয়েছেন ‘যুবলীগকে’ এটাও তাদের পুরনো কৌশল, মিথ্যার বেসাতি করবে, অফেন্স করে ডিফেন্স দেবে-এটাই তো তাদের রাজনীতি।
বিএনপি স্ট্যার্ন্ডিং কমিটি এবং স্ট্যার্ন্ডিং সুশীলদের মর্মযাতনা এখানেই। শেখ হাসিনার সঙ্গে প্রাক রাজনৈতিক সংলাপের টেলিটকেই তাদের নেত্রী পয়েন্ট হারিয়ে বসে আছেন। এটা তো আর পুনরুদ্ধার করা যাবে না। এ কারণেই এখন প্রশ্ন তুলছেন টেলি সংলাপ প্রকাশ করা হলো কেন?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।