আমরা অনেকেই সকালে ঘুম থেকে উঠে কিছু না খেয়েই ইউনিভার্সিটি বা কলেজে চলে যাই। ক্লাস শেষে বাসায় আসার সময় খুবই খারাপ লাগতে থাকে, অস্বস্তিবোধ হতে থাকে, খাবারে অনীহা চলে আসে, পেট জ্বালা, বুক জ্বালা, টক বা ঝাল পানি উদগিরিসহ বমি বমি ভাব হতে থাকে। বেশি ভাগ মানুষই এই জিনিসগুলো পাত্তা দেয় না; পাত্তা না দেওয়ার কারণে সমস্যাটা আরো প্রকট আকার ধারণ করে। অথচ, একটু সচেতন হলেই আমরা এই সমস্যাগুলো থেকে মুক্তি পেতে পারি। উপরের বর্ণিত সমস্যাগুলো হচ্ছে গ্যাস্ট্রিক আলসারের লক্ষণ।
যাদের গ্যাস্ট্রিক আছে, তাদেকে অবশ্যই কিছু জিনিস মেনে চলতে হবেঃ
--> তেঁতুল, লেবু, চাটনি, পান, চুন, খয়ের, তামাক পাতা, সুপারি, জরদা ইত্যাদি খাওয়া যাবে না।
--> ঠিক সময় খাবার খেতে হবে, দেরি করা যাবে না।
--> প্রতিদিন প্রায় একই সময়ে দিনের ৩ বেলা খাবার গ্রহণ করতে হবে। --> তৈলাক্ত খাবার খাবেন না; বিরিয়ানী, মোঘলাই, চাইনিজ খাবার এড়িয়ে চলুন।
--> চা, কফি, সিগারেট, অতিরিক্ত মশলাযুক্ত খাবার খাবেন না।
--> মদ বা এ্যালকোহল মিশ্রিত কোন পানীয় পান করা যাবে না।
--> একটু মাথাব্যথা করলেই এসপিরিন এই ধরণের ওষুধ খাবেন না।
--> কখনো পেট খালি রাখবেন না, মুড়ি বা অন্যকিছু সবসময় হাতের কাছে রাখবেন।
--> ভাত খাওয়ার অন্তত ৩০ মিনিট পরে পানি খাবেন।
--> প্যাকেটের জুস খাবেন না।
--> নরম ভাত, ইসবগুলের ভুসি, সুজি, সাগু, বাচ্চা মুরগির স্যুপ ইত্যাদি খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
ভয় পাওয়ার কিছু নেই, উপরের পরামর্শগুলো মেনে চলুন। আশা করি, আস্তে আস্তে পেপটিক আলসারের সমস্যাগুলো কমতে থাকবে।
(সংগৃহীত)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।