রোববার বদর নেতা চৌধুরী মুঈনুদ্দীনকে ১৮ জন বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের দায়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তার সঙ্গী আশরাফুজ্জামান খানকেও একই অপরাধে একই দণ্ড দেয়া হয়।
স্বাধীনতার পর পালিয়ে যাওয়া মুঈনুদ্দীন পরে জিয়া ও এরশাদের শাসনামলে দেশে এসেছিলেন। মুঈনুদ্দীন যুক্তরাজ্যে। তার অনুপস্থিতিতে বিচার শেষে রায় হয়।
রায়ে আদালত বলেছে, এটা জাতির বড় একটি লজ্জা যে জিয়াউর রহমান ও এইচ এম এরশাদ তাকে গ্রামের বাড়িতে যেতে দিয়েছে। তাদের পুলিশি নিরাপত্তাও দেয়া হয়েছে।
“হোয়াট এ শেইম, হোয়াট এ শেইম। সন্দেহাতীতভাবে এটা দেশের জাতিকে নাড়া দিয়েছে এবং হেয় প্রতিপন্ন করেছে, যা নিপীড়নের শিকার পরিবারের ক্ষতকে বাড়িয়ে দিয়েছে। ”
“বিচারের মুখোমুখি করার পরিবর্তে তাকে রাষ্ট্রীয় মেশিনারি দিয়ে সম্মান দেয়া হল।
”
চৌধুরী মুঈনুদ্দীনের প্রতিবেশী শরীয়ত উল্লাহ বাঙ্গালী ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্যে বলেন, মুঈনুদ্দীন ফেনী জেলার দাগনভূঁইয়া উপজেলার গ্রামের বাড়িতে জিয়া ও এরশাদের শাসনামলে দুই বার গিয়েছিলেন। উভয় বারই পুলিশ প্রহরা ছিল।
শরীয়ত উল্লাহ ঈদের সময় মুঈনুদ্দীনকে দেখেছিলেন জানিয়ে সাক্ষ্যে বলেন, বুদ্ধিজীবী হত্যায় তার জড়িত থাকার বিষয় উল্লেখ করে মুক্তিযোদ্ধারা তখন তাকে ঈদগাহে প্রতিরোধ করেন।
পুলিশের বিশেষ শাখার একটি প্রতিবেদনও রায়ে উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয়েছে, জিয়া ও এরশাদের আমলে চৌধুরী মুঈনুদ্দীন পাকিস্তান দূতাবাসের গাড়িতে করে তার গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলেন।
“জাতির জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে বিদায় নেয়া বুদ্ধিজীবী হত্যার হিংস্র ঘটনায় দায়ীদের বিচারের আওতায় আনার মাধ্যমে জাতি এর সর্বোচ্চ সম্মান ও স্বীকৃতি দিল,” রায়ে বলেছে আদালত।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।