ব্রেন্ডন ম্যাককালামের অনুপস্থিতিতে এ ম্যাচের অধিনায়কত্ব ছিল মিলসের কাঁধে। তাই অন্য কাউকে না পাঠিয়ে তিনি নিজেই মুখোমুখি হলেন সাংবাদিকদের।
বড় লক্ষ্য ছুড়ে দিয়েও শেষ ওয়ানেডে হেরে যাওয়ার জন্য তো বটেই, পুরো সিরিজেই বাংলাদেশের কাছে পর্যুদস্ত হওয়ায় মিলস ভীষণ হতাশ।
“৩-০ ব্যবধানে সিরিজ হারা চরম হতাশার। এ পরিকল্পনা নিয়ে আমরা এখানে আসিনি।
সিরিজ জেতার লক্ষ্য নিয়ে দলের খেলোয়াড় ও কর্মকর্তা যারা এখানে এসেছে, তাদের সবার জন্যই এটা হতাশার। ”
তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ‘এমনটা হয়ই’ বলে সান্ত্বনা খোঁজার চেষ্টাও করলেন তিনি।
পাশাপাশি নিজেদের ব্যর্থতা মেনে নিয়ে বাংলাদেশ দলের প্রশংসায় উচ্চকণ্ঠ এই ডানহাতি পেসার। তার ভাষায়, বাংলাদেশ ‘ব্যতিক্রমী’ ক্রিকেট খেলেছে।
ড্র টেস্ট সিরিজের পর ওয়ানডে সিরিজ হেরে যাওয়ার দুঃখে কাতর অতিথিরা।
দুঃখ বুকে চেপেই ৬ নভেম্বর একমাত্র টি-টোয়েন্টি ম্যাচের দিকে তাকিয়ে মিলস।
“টি-টোয়েন্টি ম্যাচের আগে আমাদের হাতে কয়েক দিন সময় আছে। সেটাই আমাদের এখন মূল ভাবনা। ”
ওয়ানডে সিরিজে সব হারিয়ে ব্যক্তিগত নৈপুণ্য থেকে ইতিবাচক কিছু খোঁজার চেষ্টায় ব্যস্ত প্রথমবারের মতো নিউ জিল্যান্ডকে নেতৃত্ব দেয়া মিলস।
“রস টেইলর চমৎকার ইনিংস খেলেছে।
ল্যাথাম প্রশংসা করার মতো ব্যাট করেছে, কলিন মানরোও চমৎকারভাবে সুযোগ কাজে লাগিয়েছে। আর পুরো সিরিজে কোরি আন্ডারসন ও জিমি নিশাম ভালো করেছে। তরুণদের এভাবে দাঁড়িয়ে যাওয়া নিউ জিল্যান্ড ক্রিকেটের জন্য ভালো লক্ষণ। ”
শ্রীলঙ্কায় আগামী সিরিজে দলের নেতৃত্ব মিলসের ঘাড়েই বর্তেছে। শ্রীলঙ্কা সফরে এই ইতিবাচক দিকগুলো নিয়ে যেতে চান তিনি।
রোববার বাংলাদেশ যে তিন শ’র ওপরে রান তাড়া করে জিতে যাবে, মিলস তা ভাবতেই পারেননি। সেজন্য বাংলাদেশের দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের প্রশংসা করলেন তিনি। তার মতে, পরের ব্যাটসম্যানদের তাড়া করার ভিত গড়ে দিয়েছেন দুই ‘রহমান’ শামসুর ও জিয়াউর।
এই সিরিজ আর ২০১০ সালের সফরের কথা মাথায় রেখে মিলস স্বীকার করলেন, গত ১০ বছরে বাংলাদেশ অনেক এগিয়েছে।
দুই সিরিজের তুলনার কথা জানতে চাইলে মিলস বলেন, আগের সিরিজ হারের যন্ত্রণা কিছুটা প্রশমিত হলেও এবারের সিরিজ হার টাটকা ঘার মতো লাগছে তার কাছে।
কারণ হিসেবে জানালেন, গতবারের কথা মাথায় রেখেই এবার প্রস্তুতি নিয়ে ভালো করার আশায় এসেছিল নিউ জিল্যান্ড।
তবে উপমহাদেশে পর্যদুস্ত হলে কী হবে, মিলস মনে করিয়ে দিলেন, গত ১০ মাসে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইংল্যান্ডের মতো দলের বিপক্ষে সাফল্য পেয়েছে তার দল। তার দাবি, ওয়ানডেতে নিউ জিল্যান্ড এখনও সমীহ জাগানো দল।
উপমহাদেশে নিউ জিল্যান্ডের পক্ষে খেলা যে কঠিন তা স্বীকার করে নিয়ে মিলস মনে করিয়ে দিলেন, আগামী বিশ্বকাপ হবে তাদের মাটিতে। আর বাংলাদেশের তুলনায় সেখানে পুরো ভিন্ন পরিবেশে দ্রুতগতির ও বাউন্সে ভরা উইকেটে খেলা হবে।
বাংলাদেশ আগামী বিশ্বকাপে পড়েছে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার গ্রুপে, এ কথা তো জানাই আছে মিলসের।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।