এটা খুবই স্বাভাবিক কারো প্রতি ভালো লাগা অনুভব করা কিংবা কারো প্রতি এক ধরণের মুগ্ধতা তৈরি হওয়া। কখনো এটা এক পাক্ষিক হয়ে যাওয়া টাও অস্বাভাবিক কিছুই না। এমনও হয় যে আমরা বুঝতে পারি যে অপর পক্ষের সাড়া পাওয়া কল্পনাতীত ব্যাপার কিন্তু আমরা বের হয়ে আসতে পারি না
এক্ষেত্রে ২টি বিষয় কাজ করতে পারে- হয় আমি খুব গোঁড়া নাহয় কাল্পনিক। আমাদের না পাওয়া বিষয় নিয়ে কল্পনার রাজ্যে ঘুরতে কার না ভাল লাগে?
একটি ঘটনা বলছি- একটি মেয়ে ধরি নাম হচ্ছে ইমা। বেশ অবাস্থানপন্ন পরিবারে বড় হয়েছে এবং বাবা মার কড়া অনুশাসনের মধ্যে থাকাতে নিজের ইচ্ছেতে কিছুই করতে পারে নাই।
এখন পছন্দ করে এমন একটি ছেলে কে যে সারাদিন ঘুরে বেড়ায়, জীবনের কোন উদ্দেশ্য নাই, গান-বাজনা করে, ছবি তুলে যার জীবন কাটছে। যদিও জানে এটা কখনো সম্ভব নয় তারপরেও ছেলেটাকে ভুলতে পারছে না কারণ বাস্তবে নিজের জীবনে যা করতে পারেনি ছেলেটার মধ্যে দিয়ে তা পুরণ করে নিচ্ছে ইমা। ।
“কেন সে আমাকে ভালবাসবে না? একদিন ঠিকই আমার কাছে আসবে। আমি তার জন্য সব করতে পারব এটা কেন বুঝতেসে না।
’ ধীরে ধীরে আমরা আরও বেশী এর মধ্যে ডুবে যাই-আমরা আমাদের গোঁড়ামি থেকে বের হয়ে আসতে পারি না।
আবার এও মনে হতে পারে একা হয়ে যাওয়ার ভয়। আমি যাকে ভালবাসছি, যাকে নিয়ে এত চিন্তা করে আমার এত ভালসময় কাটছে-আমি কিভাবে থাকব! ওর কথা চিন্তা না করে আমি থাকতেই পারি না- এমনটাও অনেককে বলতে শোনা যায়। কিন্তু এই বিষয় টা কেন হচ্ছে তা কি ভেবে দেখেছি। আমাদের আর কিছুই করার নেই বলে।
এটা বিশেষ করে হতে পারে যাদের সামাজিক যোগাযোগ অনেক কম।
জীবনের কোন অর্থ খুঁজে না পেলেও অনেক সময় এমন মোহময় ভালবাসার পিছনে ছুটি। । পানিতে ভাসমান মানুষ হিসেবে খড়কুটা আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকা। আনেকে এত তীব্র ভাবে চিন্তা করে যে নিজের জীবন কে হুমকির মুখে ফেলে দিতে দ্বিধা করে না।
সত্যি কি এর কোন প্রয়োজন আছে? আমাকে যে সবাই ভালবাসবে এমন দিব্যি কি কেও কি দিয়েছে?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।