আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এই বিকৃত গণতন্ত্রের দরকার কি?

তারুণ্যের শক্তিতে জাগুক এই দেশ। ছিনিয়ে আনুক নতুন সকাল

কার জন্য এই আন্দোলন- এবং কার জন্য এই নির্বাচন? একটি নির্বাচন হলেই ৩০০ জন নির্বাচিত হন। এই ৩০০ জনরে কাছে প্রধান বিষয় তার পরিবার- তারপর তার আত্মীয় স্বজন, তারপর তার দল। সাধারণ মানুষের কোনো স্বার্থ সেখানে নেই। পুরো পরিবার তন্ত্র, পুরো আত্মীয়তন্ত্র, পুরো দলতন্ত্র দিয়ে চলছে দেশ।

গণতন্ত্রের সংজ্ঞা এখন বিকৃত। নিজের দলের মধ্যে যাদের গণতন্ত্র নেই তারা গণতন্ত্র আনবেন কি কর। ে কেবল কি নিজের দলের মধ্যে- মন যা চায় চক্ষু না চায়- মরি মরি একি লজ্জা- তাদের কাছে গণতন্ত্র মানে কি? যে কোনো প্রকারে ক্ষমতায় যেতেই হবে- যে কোনো প্রকারে ক্ষমতায় থাকতে হবে এই প্রতিযোগিতাতে জনগন বিধ্বস্ত। সরকারি দল মনে করে- বিরোধিদলের টানা আন্দোলন- জিনিস পত্রের উর্ধগতি- বাসে আগুন, কৃষকের দাম না পাওয়া, মধ্যবিত্তের যন্ত্রনা ও ভোগান্তির ফলে বিরোধিদলের সমর্থনে ভাটা পড়বে। বিরোধী দল মনে করে[ টানা আন্দোলনড় ভোগান্তি. দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধি, যন্ত্রণা ও দূর্ভোগের দায় সরকারের উপর বর্তাবে অতএব তাদের প্রতি মানুষের সমর্থন বাড়বে।

আর জনগন- হরতালের আগে পরে যত দূর্ভোগ সব হাসিমুখে বরণ করবে, এ্যাম্বুলেন্স থেকে রোগী নামিয়ে আগুণ দেওয়ার পরও মানুষ তাদেরই ভোট দেবে। তার কারণ আমার কিছু হোক না হোক- মামুরা তো কোটি পতি হলো? এই ৩০০ জন কোটি পতির চাষ করার করার জন্য মানুষের কি নির্বোধ আন্দোলন- আর টক শো মার্কা অরণ্যে রোদন করে করে বাহবা লুটানো। এই দুবৃত্তপনা বন্ধ হোক। গণতন্ত্র ছাড়া কি দেশ নাই নাকি? এত বিকৃতভাবে গণতন্ত্রই থাকতে হবে?

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।