আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দূর থেকে দেখলাম, দাউ দাউ করে জ্বলছে নাপিত-বৈদ্য বাড়ি!

নিজের ভাবনা অন্যকে জানাতে ভালো লাগে।

দূর থেকে দাড়িয়েঁ দাড়িয়েঁ দেখলাম, নাপিতা বৈদ্যদের বাড়ি দাও দাও করে জ্বলে। আগুন লেগেছে রাত তিনটা থেকে। কেউ ঠিক করে বলতে পারছে না এই আগুনের উৎস কি। ধুঁয়া থেকে নিরাপদ দূরে থাকার পরও চোখের জলে আমার চোখ ঝাপসা হয়ে আসছিল।

এই পাড়াকে ঘিরে আমার কত স্মৃতি, আমরা জন্মের বেশ আগে ৭১’সালে এই পাড়ার পুরো দেড়শত পরিবার নাকি আমাদের বাড়িতেই ছিল, ৯০-এ বাবড়ি মসজিদকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠা দাঙ্গার সময় বড়দাকে দেখেছি একটা ঝংধরা কিরিচ নিয়ে বাড়ির অনেকের সাথে নাপিতা বৈদ্যবাড়ি পাহাড়া দিতে। তার হাতে কিচির দেখে অনেকেই এই বলে হাসাহাসি করতো( তখন তিনি লিকলিখে গড়নের ছিলেন) যে কিরিচ আর তার ওজন সমান। পাড়ার মসজিদ থেকে ঈমাম সাহেব ফতোয়া দিয়ে বলে ছিলেন মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ্য দেশে অমুসলিমদের সম্পদ রক্ষা করা মুসলমানদের ঈমানী দায়ত্ব। কাল আগুনের লেলিহান শিখার মধ্যে, টিটু রঞ্জন দাশ, বিধানচন্দ্র বণিক, সিমা রাণী কর, লিনা দে। আমরা একই প্রাইমারি স্কুলে পড়তাম( রঙ্গীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়) লিনা’র সাথে আমার ভাব দেখে আপারা ক্ষেপাতো রিনার বর বলে, আর আমি কেঁদে কেটে হয়রান হতাম।

আহারে, রিনা আর সিমা আজ কলকাতাই, বিধান অষ্ট্রেলিয়াতে, টিটুর সাথে কালে ভদ্রে দেখা হয়। নাপিত বৈদ্য পাড়ার অধ্বেক আজ মুসলমানদের সম্পত্তি। বাকী অর্ধ্বেক গ্রাস করার জন্য লারায়ীত হয়ে আছে, ( এরা কেউ আ’লীগ কেউ বিএনপি) কে স্থানীয় প্রভাবশালী একটি মহল। আগুনের উৎস সামাজিক ভাবে অজ্ঞাত হলেও টিটুদের কাছে জ্ঞাত, আর আমারও ধারণার মধ্যে আছে। ভাবছি তার সাথে দেকা হলে কি জবাব দিব।

তার উপর সকালে কাগজে দেখলাম একই ঘটনা ঘটেছে পাবনাতেও।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।