আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কেন মেয়েটিকে নষ্টা গালি শুনতে হয় বারবার !! (পর্ব-২)



ছোট বেলা থেকে ভাল স্টুডেন্ট যার খেতাব সে এবার ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষায় শারিরিক অসুস্থতার কারনে পরীক্ষা ভালো দিতে পারলো না। অসুস্থ শরীর নিয়ে পরীক্ষা দেবার সম চিন্তা করছিল বাকিগুলো না দিয়ে আবার সে চেষ্টা করবে। তারপরও সব পরীক্ষা শেষ করলো কাকলি। রেজাল্ট বেরুলো, আশাব্যাঞ্জক তো নয়ই দুরাশা তৈরি করলো সেই ফলাফল। খুব খারাপ রেজাল্ট হওয়ায় মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে কাকলি।

বাবা-মা’র স্বপ্ন ভেঙ্গে চুড়মার। তারা চেয়েছিলেন মেয়ে ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার কোন কিছু একটা হবে!! কাকলির ছোট দুই বোন এক ভাই আছে তারা সবাই তাকে অনেক ভালোবাসতো। তারাও ইদানিং তার সাথে তেমন কথা বলে না। মা-বাবার চাকুরির কল্যানে বাসায় প্রায়ই একা তিন বোন ও ভাই। এদিকে কাকলি ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রিপারেশন নেয়া শুরু করেছে।

একটি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে সে বোটানি (প্রাণী বিজ্ঞান) বিষয়ে চান্স পেয়ে যায়। তবে কলেজটি বাড়ির পাশে নয় পাশের জেলায় অবস্থিত। বাবা-মা প্রথমে বড় মেয়ে একা বাড়ির বাহিরে পাঠাতে সম্মত না হলেও পরবর্তীতে সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে রাজি হয়। নতুন জীবন পেলো কাকলি। ফাস্ট ইয়ারে পড়াশুনায় অনেক সিরিয়াস যে করেই হোক অন্তত অনার্সে তাকে এমন রেজাল্ট করতে হবে যাতে করে অতীতের সকল গ্লানী মুছে ফেলা যায় এর প্রভাবে।

যেই চিন্তা সেই ভাবনা। প্রতিদিন ক্যাম্পাস অতপর গ্রুপ স্ট্যাডি প্রাইভেট এই করে দিন পেরুতে লাগলো। বান্ধবিদের সাথে হালকা দুষ্টমি ফাজলামো, ছেলেদের ফোনে মিস কল দেয়া এসব করে দিনাতিপাত করছিল কাকলি। গ্রুপ স্ট্যাডির কল্যানে কিছু ছেলে বন্ধু হয়ে যায় কাকলির। সবাই অনেক আন্তরিক।

আলিফের সাথে তার সখ্যতা একটু বেশি। আলিফ কাকলির ডিপার্টমেন্টের ছাত্র। বাড়ি শহরেই, বড় লোকের ছেলে। পড়াশুনা সংক্রান্ত বিষয় বাদেও কাকলি আলিফের সাথে আড্ডা, ঘুরাফেরা করে। ফোনে প্রায়শই যেহেতু বান্ধবিদের সাথে পাল্লা দিয়ে ছেলে পটানোর চেষ্টা করা হতো।

এভাবে মিসকল দিতে দিতে একজনের সাথে মোবাইলে কাকলির সখ্যতা গড়ে উঠে। কথা বলতে বলতে কবে যে কাকলির তাকে ভালো লেগে গেছে সে বুঝতেই পারে নি। দু’জন দু’জনাকে ভালোবাসতে শুরু করেছে। ছেলেটির বাসা কাকলির বাড়ি যাবার পথেই পড়ে। যেদিন কাকলি কলেজ ছুটি হয়ে বাড়ি যাবে সেদিন তার সাথে দেখা করে এরপর রুবেল তাকে বাড়ি পৌছে দেয়।

আবার যেদিন বাড়ি থেকে ফেরা হয় রাস্তায় রুবেল তার জন্য অপেক্ষা করে, দেখা করে কথা বলে উষ্ণ ভালোবাসা আদান প্রদান করে মনের সুখে মেসে ফেরে কাকলি। এদিকে কাকলির বন্ধু আলিফ জানতে পারে অন্য একটি ছেলের সাথে প্রেম করছে কাকলি। অজান্তে আলিফও কাকলিকে যে ভালোবাসতে শুরু করেছে সেটা সে তখনই বোঝে যখন কাকলি অন্যকে ভালোবাসে এটা সে জানতে পারে। মেনে নিতে পারছিল না। ‘আমার খাচার পাখি উড়ে যাবে’ এটা মেনে নেয়া যায় না।

মনে মনে আলিফ বুদ্ধি আটে। (চলমান) প্রথম পর্ব

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।