নিরপেক্ষ নই; সত্য, ন্যায় ও স্বাধীনতার পক্ষেই আছি
রফিক সাহেব অফিস যাবার জন্য গাড়ি বের করেছিলেন। ড্রাইভ করছিলেন তিনি নিজেই। হঠাৎ কোত্থেকে যেনো 'বলদ পার্টি'র একদল লোক হকিস্টিক, লাঠি-সোটা নিয়ে ছুটে এলো। তারপর প্রচন্ড আঘাতে ভেঙ্গে ফেলবো গাড়ির সবগুলো কাঁচ। রফিক সাহেব কোনমতে বেরিয়ে পড়লেন।
উন্মত্ত ক্যাডাররা গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিলো... বেশ কিছুদিন পর রফিক সাহেব গেলেন থানায়। তিনি ‘বলদ পার্টি’র বিরুদ্ধে দিলেন মামলা ঠুকে। আইন অনুযায়ী চাইলেন ক্ষতিপূরণ। পুলিশ আইনত ব্যবস্থা নিলো। বলদ পার্টির উর্ধ্বতন নেতা-কর্মীদের কাছে চলে গেলো নোটিশ।
অবশেষে মুরগি পার্টি নিজেদের ডিফেন্ড করতে ব্যর্থ হল। রফিক সাহেব পেয়ে গেলেন ক্ষতিপূরণ।
নাহ, এটি একটি কাল্পনিক ঘটনা। এর কোন বাস্তব ভিত্তি নেই... কোনদিন হবেও না। কারণ, এ দেশে আইনের শাসন নেই।
একটি দলের ক্যাডাররা এসে আমার কার কিংবা বাইকে আগুন ধরিয়ে দেবে, আমার কিচ্ছু করার থাকবে না। আমি দলটির বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দিতে পারি না। আমি কখনো এর ক্ষতিপূরণ পাবো না। দেশে কোন আইন নেই! কোন সরকার এই আইন বলবৎ করার চেষ্টাও করবেন না। ভয় হয়, তাদেরও তো একদিন বিরোধী দলে যেতে হবে... তখন যদি গাড়ি পোড়াতে না পারে? আবার আইন থাকলেও তার প্রয়োগ কখনো হবে না! কে যাবে এত কষ্ট করে মামলা করতে... ক্ষতিপূরণ চাইতে... বলদ পার্টি হয়তো বলবে, গাড়িটা তারা পোড়ায় নি।
সরকার পক্ষ পুড়িয়েছে... ইত্যাদি। সবমিলিয়ে বলতে হয়, হরতালে সবই বৈধ... সবই আইনসিদ্ধ।
Everything is fair in Hartal and war…
যুদ্ধে যেমন প্রতিপক্ষের নারী ধর্ষণ ‘জায়েজ’ (!), তেমনি হরতালেও সম্পদ ধ্বংস এবং জানমালের ক্ষয়ক্ষতি জায়েজ!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।