আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

‘এমন নৃশংসতা যাতে আর না ঘটে’

মঙ্গলবার সকালে রায় ঘোষণার আগে বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত জজ আদালতের অস্থায়ী এজলাসের বাইরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “এ মামলার যারা আসামি, তারা দেশ ও জাতির সীমানা রক্ষার শপথ নিয়ে তা ভঙ্গ করেছিল। বিশ্বে শৃঙ্খলা বাহিনীর ইতিহাসে এমন ঘটনা বিরল। ”
এই আইনজীবী বলেন, মানুষ মানুষের ওপর এতোটা নৃশংস হতে পারে- এ মামলার সাক্ষগ্রহণের সময় তা উপলব্দিধ করতে পেরেছেন তারা।
২০০৯ সালের ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিডিআর সদরদপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ অন্তত ৭৩ জন নিহত হন।
রক্তাক্ত ওই বিদ্রোহের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পুনর্গঠন করা হয়।

নাম বদলের পর এ বাহিনী এখন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) হিসেবে পরিচিত।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, “এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। এ ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে সেটাই আমাদের প্রত্যাশা। ”
 
রায় উপলক্ষে সকাল থেকেই আদালত ঘিরে নেওয়া হয় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পুলিশ, র্যাব ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) বিপুল সংখ্যক সদস্যকে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠ ও আশেপাশের এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে।


দেশের ইতিহাসে বহুল আলোচিত এই হত্যা মামলায় ২৩ বেসামরিক ব্যক্তিসহ ৮৫০ জন আসামি। এর মধ্যে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য নাসিরউদ্দিন আহমেদ পিন্টুও রয়েছেন।
এ মামলায় কারাবন্দি ৮১৩ আসামির সবাইকে সকালই ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আদালতে নিয়ে আসা হয়। জামিনে থাকা ১৩ আসামির মধ্যে ১০ জনও আদালতে উপস্থিত হন।
আসমিপক্ষের আইনজীব আমিনুল ইসলাম বলেন, “আজ বহু প্রতীক্ষিত রায়।

আমরা অপেক্ষা করছি, আসামিদের আনা হয়েছে। আমরা আশা করি, তারা ন্যায়বিচার পাবেন। ”
বিদ্রোহের ঘটনার বিচার সীমান্তরক্ষা বাহিনীর নিজস্ব আইনে সম্পন্ন হয়েছে। আর পিলখানায় বাহিনীর সদর দপ্তরে ৭৩ জনকে হত্যা, লুণ্ঠনসহ অন্য অভিযোগের বিচার হচ্ছে প্রচলিত আইনে।


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।