আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

১৫৮ জনের যাবজ্জীবন, ২৭১ জন খালাস

মঙ্গলবার বেলা দেড়টা পর্যন্ত পাঁচ শতাধিক আসামির রায় পড়েছেন বিচারক, যাদের মধ্যে দুই শতাধিক আসামিকে তিন থেকে দশ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।  
ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আখতারুজ্জামান মঙ্গলবার বেলা ১২টা ৩৩ মিনিটে ঢাকার বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত জজ আদালতের অস্থায়ী এজলাসে বহু আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা শুরু করেন।
তিনি ২৭১ জনকে বেকসুর খালাস দেয়ার কথা ঘোষণা করার সঙ্গে সঙ্গে খালাসপ্রাপ্তরা আনন্দ প্রকাশ করেন এবং পরস্পরের সঙ্গে কোলাকোলি শুরু করেন।
এ সময় হৈ চৈ এর মধ্যে কিছু সময় রায় ঘোষণা বন্ধ থাকে।   
এর পরপরই খালাসপ্রাপ্তদের আদালত কক্ষ থেকে বের করে কারাগারে নেয়ার জন্য প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়।


সকালে রায় ঘোষণার আগেই এ মামলায় কারাগারে থাকা ৮১৩ আসামিকে আদালতে নিয়ে আসা হয়।  জামিনে থাকা ১৩ আসামির মধ্যে দশজনও আদালতে উপস্থিত হন।
২০০৯ সালের ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিডিআর সদরদপ্তরে বিদ্রোহের ওই ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ অন্তত ৭৪ জন নিহত হন।
রক্তাক্ত ওই বিদ্রোহের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পুনর্গঠন করা হয়। নাম বদলের পর এ বাহিনী এখন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) হিসেবে পরিচিত।


রায় উপলক্ষে মঙ্গলবার সকাল থেকেই আদালত ঘিরে নেওয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা। আলিয়া মাদ্রাসা মাঠ ও আশেপাশের এলাকায় পুলিশ, র‌্যাব ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) বিপুল সংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়। বকশিবাজার ও উর্দু রোড দিয়ে ওই এলাকায় প্রবেশের পথ বন্ধ করে দেয়া হয়।
বিদ্রোহের ঘটনার বিচার সীমান্তরক্ষা বাহিনীর নিজস্ব আইনে সম্পন্ন হয়েছে। আর পিলখানায় বাহিনীর সদর দপ্তরে ৭৪ জনকে হত্যা, লুণ্ঠনসহ অন্য অভিযোগের বিচার হচ্ছে প্রচলিত আইনে।


দেশের ইতিহাসে বহুল আলোচিত এই হত্যা মামলায় ২৩ বেসামরিক ব্যক্তিসহ ৮৫০ জন আসামি। এর মধ্যে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য নাসিরউদ্দিন আহমেদ পিন্টুও রয়েছেন।
আসামির সংখ্যার দিক থেকে দেশের ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে বড় হত্যা মামলা।
মামলায় ২০ জন আসামি পলাতক রয়েছেন। বিচার চলার সময়ে ডিএডি রহিমসহ চার আসামির মৃত্যু হয়।


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।