সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, অনলাইন শিশু যৌনতা বন্ধে বৈশ্বিক ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে নেদারল্যান্ডসভিত্তিক দাতব্য সংস্থা তেরে দেস হোমস ১০ সপ্তাহের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম চালায়। সংস্থাটি শিশু সুরক্ষা ও শিশু অধিকার নিয়ে কাজ করে থাকে।
ওই অপারেশনের অংশ হিসেবে কম্পিউটারে ১০ বছর বয়সী একটি মেয়ের কাল্পনিক চরিত্র তৈরি করা হয় এবং তাকে ফিলিপাইনের অধিবাসী হিসেবে ভিডিও চ্যাটরুমে সুইটি নামে উপস্থাপন করা হয়। এরপর দেখা যায় কম্পিউটার নির্মিত ওই ‘মেয়েটির’ সঙ্গে প্রায় ২০ হাজার ব্যক্তি যৌন-আলাপচারিতার চেষ্টা করেন। এদের মধ্যে ৭১টি দেশের এক হাজার ব্যক্তি তাকে বিনিময়ে অর্থও দিতে চেয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে তেরে দেস হোমসের বিশেষ প্রকল্প পরিচালক হানস গুট জানান, তারা নিজে থেকে কোনো প্রকার আমন্ত্রণ জানাননি। যে এক হাজার ব্যক্তি অর্থ দিতে চেয়েছিলেন তাদের মধ্যে ব্রিটেনের ১১০ জন, যুক্তরাষ্ট্রের ২৫৪ জন এবং ভারতের ১০৩ জন ব্যক্তি রয়েছেন।
অপারেশনে উঠে আসা ব্যক্তিদের নামের তালিকাটি শেষ পর্যন্ত পুলিশের কাছে হস্থান্তর করা হয়েছে। গোটা প্রক্রিয়া নিয়ে ইউরোপের পুলিশ দ্বিমত পোষণ করলেও তারা উদ্যোগটির প্রশংসা করেছে।
ব্রিটেনের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সির মুখপাত্র অ্যান্ডি বেকার মন্তব্য করেছেন, “এ ধরনের উদ্যোগ জনসচেতনতা তৈরিতে চমৎকার ভ‚মিকা রাখে।
তবে শিশু যৌন হয়রানির মতো অপরাধ মোকাবেলার কাজ পুলিশের হাতে ছেড়ে দেয়াটাই ভালো। ”
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।