অযথা ঝগড়া বিবাদ ভাল লাগে না। শিক্ষা বলতে শুধু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নয়। সু শিক্ষা চাই সর্বত্র।
একটি দৈনিক পত্রিকার প্রতিষ্ঠা বাষির্কী উপলক্ষে স্থানীয় পাঠক ফোরামের নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের প্রয়াত চার সভাপতিকে মরোণত্তর সম্মাননা দেয়ার খবরটি পড়ে ভাল লাগলো। ৪ জন গুণী সাংবাদিকের কর্মের মুল্যায়ন দেখে একজন সাংবাদিক হিসেবে খুবই আনন্দিত।
এ নিয়ে কোন প্রশ্নও নেই। এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখলে এক সময় হয়তো আমার মত নগন্য সাংবাদিককেও সম্মাননা দেয়া হবে।
এ কথা ভাবতে আমি যেমন পুলক অনুভব করছি তেমনি ব্যথাও পাচ্ছি। ব্যথা পাচ্ছি জীবিতকালে এমন সম্মাননা না পাওয়ার ক্ষোভে। সংগঠনটির সম্মাননাপ্রাপ্ত এই চারজন ছাড়াও নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের আরো সাবেক সভাপতি আছেন।
যাদের অনেকে এখনো সুস্থ শরীর নিয়ে মহান এ পেশায় নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন। তাদের পাশাপাশি জীবিতদের মধ্যে কাউকে এমন সম্মাননা দিলে সেটা আরো ভাল হত। এতে করে নিজের পাওনা নিজে বুঝে নিতে পারতো। সেই সাথে তাদের অনুজরা আরো উৎসাহিত হত।
কেন জানি মনে হচ্ছে সংগঠনটি কৌশল অবলম্বন করেছে।
জীবিত সাংবাদিকদের মধ্যে কেউ এ ঘরনার কেউ আবার ও ঘরনার বলে মনে করে কেউ কেউ। তাদের পুরস্কার দিলে কেউ রাগ করতে পারে। উঠতে পারে প্রশ্ন। এসব এড়াতে প্রয়াতদের বেছে নেয়া হয়েছে। কৌশল ভাল তবে জ্ঞানময় ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য কি না সেই প্রশ্ন উঠে।
সাধারন মানুষের মধ্যে যেমন ভোদাভেদ থাকে তেমনি সাংবাদিকের বেলায় আছে। তাই বলে তার কাজের স্বীকৃতি নিয়ে প্রশ্ন তোলা ঠিক নয়। সংবাদ মাধ্যমের একজন লোক হিসেবে আমি নারায়ণগঞ্জের অনেক সাংবাদিককে চিনি যারা পরিশ্রম ও মেধা দিয়ে জাতীয় পর্যায়ে অবস্থান গড়ে নিয়েছেন। এমন অনেকে আছেন যারা স্থানীয়ভাবে নানা প্রতিকুলতার মাঝেও কাজ করছেন দীর্ঘ দিন ধরে। এদের মধ্যে কেউ কেউ আছেন যাদের লেখা অনেক বড় পত্রিকার বড় সম্পাদককেও হার মানায়।
সাম্প্রতিককালে এক ঝাঁক তরুন সাংবাদিক খবরের সন্ধানে ছুটে চলছেন সর্বত্র। যারা খবরের ভেতরকার খবরও বের করে আনেন সাহসিকতার সাথে। আমি মনে করি প্রয়াতদের পাশাপাশি তাদের মধ্য থেকেও কাউকে না কাউকে সম্মাননা দেয়া যেত। তবেই পরিপূর্নতা পেত আয়োজকদের আন্তরিকতার।
আশা করছি এমন উদ্যোগ ভবিষ্যতে এ সংগঠনটি এবং অন্যরাও নেবে।
সব শেষে সম্মাননাপ্রাপ্ত প্রয়াত চার সাংবাদিককে স্যালুট এই অনুজ সাংবাদিকের। সেই সাথে সুকান্ত ভট্রাচার্যের কবিতার কয়েকটি পঙটি। আমার মৃত্যুর পর থেমে যাবে কথার গুঞ্জন, বুকের ¯পন্দনটুকু মূর্ত হবে ঝিল্লীর ঝংকারে / আমার মৃত্যুর পর, জীবনের যত অনাদর - লাঞ্ছনার বেদনায়, ®পৃষ্ট হবে প্রত্যেক অন্তর।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।