দুই পায়ে হাঁটি আর চার চোখে স্বপ্ন দেখি। মানুষের জন্য ভালবাসা, মানুষের জন্য!
বীর মুক্তিযোদ্ধা খালেদ মোশাররফ।
আমার বাড়ি থেকে তার বাড়ি অল্প কিছু সময়ের পথ। ছোটবেলা থেকে তার নামের সাথে পরিচিত। মহান মুক্তিযুদ্ধে তার মহান অবদান (মুক্তিযুদ্ধে তিনি ২ নং সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার এবং 'কে-ফোর্স'-এর সর্বাধিনায়ক ছিলেন।
বীরত্বের জন্য তাঁকে বীর উত্তম পদক দেওয়া হয়)।
মুক্তিযুদ্ধে তিনি ছিলেন সাহসী এক যোদ্ধা, অনেক মানুষের প্রেরণা, গেরিলাদের উদ্যমের প্রেরণা। ২৩ অক্টোবর, ১৯৭১-এ, মাথায় গুলি লেগে গুরুতর আহত হন তিনি এবং চিকিৎসার পর সুস্থতা লাভ করেন।
আমি সেনাবাহিনীর কাউকে নিয়ে কথা বলতে স্বস্তি বোধ করি না। কিন্তু, খালেদ আমার কাছে সৈনিক নন, তিনি মহান যোদ্ধা!
আজ এই দিনে, প্রিয় মানুষটাকে অন্যায় ভাবে হত্যা করা হয়।
হত্যা করা হয় সু-সম্ভাবনাকে। এরপর থেকে আমার প্রিয় দেশ অন্ধকারের দিকে এগিয়ে যায়।
আহারে! তার শিশু সন্তানদের বুকে সেদিন কি ভীষন তীব্র ব্যাথা আর হাহাকার জেগেছিল! হাহাকার জেগেছিল তার সকল ভালবাসার মানুষদের মনে।
এই মানুষটিকে মনে রাখার জন্য, নতুন প্রজন্মের কাছে তার সাহসীকতা-বীরত্ব-ত্যাগ তুলে ধরার জন্য কোন বিশেষ উদ্যোগ নেয়া হয়নি কখনো। তার জন্মস্থান, আমার জন্মস্থান ইসলামপুরে তার নামে একটি অসরকারী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় ছাড়া আর কোন কিছু নেই, তার ভাই রাশেদ মোশাররফ "ছয়" বার এমপি নির্বাচিত হন, তবুও!!!
সেনা অভ্যুত্থানের নামে খালেদ হত্যার বিচার হবে কি? বিচারের নিয়ম আছে কি? নাকি, সেনারা হত্যা করলে সাত খুন মাফ!!?? বিডিআর বিদ্রোহীদের বিচার হল, আরো অনেক হত্যার বিচার হয়েছে, খালেদ হত্যার বিচার হবে কি? নাকি তার সেদিনের শিশু সন্তানেরা অনন্তকাল ধরে বুকে ভয়ঙ্কর তীব্র হাহাকারের কষ্ট পুষে রাখবে...
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।