s
একাত্তর; প্রাপ্তির খেরোখাতায় জ্বলজলে নামটা ‘সত্যের’!
শ্রেণীহীন সমাজ আর যথার্থ মানুষের।
স্বজনের হার পাললিক হয়ে আজ সোনালি ধান
রক্তের ফোঁটায় জেগে ওঠে সবুজ ঐশ্বর্য্য
হাড় জিরজিরে মানুষগুলো হাসে বিশুদ্ধ হাসি।
চার দশকে কতটা বদলে গেছে দৃশ্যপট!
পচা শসার মতো গলিত জীবন, রক্তস্নাত জমিন
পেট মোটা মহাজন, গুদামে সঞ্চিত করে অনাহারী মানুষের হাড়
নীতি নির্ধারকের রঙিন একুরিয়ামে ভেসে থাকে ভাগ্য
ওরা গেলাসে পান করে রক্ত, কি বীভৎস!
একদল মাংসভুক শকুন
ছিঁড়ে খায় আমাদের স্বপ্নবিলাসী চোখ; কন্ঠার অধিকার!
জোছনা থেকে প্রেম
আকাশ থেকে নক্ষত্র
স্বভাব থেকে স্বাধীনতা
আমাদের শিশুর হাসি ঢেকে যায় অশুভ ছায়ায়
আমাদের মানচিত্রে আঁচড় কাটে শ্বাপদের অশ্লীল নখর
গ্রাস করে প্রজন্ম, আমাদের নৈর্ব্যত্তিক ভাবনা।
জমিন কাঁপে, জননী কাঁদে
বেয়োনেটে উপড়ে গেছে চোখ, পা দুটোতে তবু আশ্চর্য্য ছন্দমিল
স্প্রিন্টারে ছিন্ন হাত, তবু সুশৃঙ্খল উঁচিয়ে রয় রাইফেলের সঙ্গিন
মাইনে বিক্ষত পা, নিয়ম মেনে চলে মার্চ পাস্ট; বাম-ডান।
লাশগুলো উঠে আসে! দৃঢ়সংকল্প-মুষ্টিবদ্ধ।
আরেকটি নতুন ভোরের জন্য!
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।