আমার নিজের সম্পর্কে আমার ধারণা নেই :)
৫ বছর পর কোনো এক বিকেলে-
মনটা আজকে অসম্ভব ভালো তনুর। অনেকদিন পর আজ সে মিতুর সাথে দেখা করতে যাবে। গত ১ বছর মিতুর সাথে কোনো যোগাযোগ ছিল না তনুর। ভুল বুঝাবুঝি ছিল অনেক। শেষ পর্যন্ত মিতু রাগ ভেঙ্গে কথা বলেছে।
আজকে দেখাও করবে তাই। কত কথা বলার আছে ওর। মনে পড়ে গেলো ছোটোবেলার অনেক কথা। কলেজে ভর্তির সময় যখন তনু অন্য কলেজে ভর্তি হয়ে গেলো,কিন্তু মিতু ওয়েটিং লিস্টে ছিল তখন মিতুকে আরেকটা কলেজে ভর্তি করে দিয়েছিল ওর বাসা থেকে। মিতু ঐ ভর্তি বাতিল করে পরে তনুর কলেজেই ভর্তি হয়েছিল।
নিজের বেস্টফ্রেন্ডকে ছেড়ে থাকার চিন্তাও করতে পারেনি সে। একই কলেজে হলেও দুজনের সেকশন ছিল আলাদা। কিন্তু তাও প্রতিদিন টিফিনের সময় দুজন মিলে একসাথে টিফিন করত, মাঠে ঘুরে বেড়াত, কত কথা বলত। আর আজ ১ বছর পর কথা হবে দুজনের। কলেজের সামনেই দেখা করবে বলেছে তনু।
কত স্মৃতি ঐ জায়গাটা ঘিরে।
ঠিক সময়ে কলেজের গেটের সামনে পৌঁছে গেছে মিতু। ওর একটা ব্যাপারে অনেক সচেতনতা, সেটা হল সময়জ্ঞান। যেই সময় দিবে তার আগেই মিতু পৌঁছে যাবে। কলেজের গেটের সামনের রাস্তায় বসলো ও।
তনুকে ফোন দিল। ও ফোন কেটে দিল। তারমানে কাছেই আছে। বসে বসে রাস্টার মানুষগুলোকে দেখছিল মিতু। রাস্তায় দাঁড়িয়ে মানুষ দেখাটা ওর কলেজের সময় থেকে একটা নেশা হয়ে গেছে।
কত মানুষ কত ভাবে হেঁটে যায়। তনু রিকশা থেকে প্রায় লাফ দিয়ে নামল। মনে মনে হাসল মিতু। ওর ছেলেমানুষীটা যায়নি এখনও। মিতুর পাশে এসে বসল ও।
"কেমন আছিস?" "আমি ভালোই, তুই??", মিতু বলল। " হুমম, আছি। " "তোর আসল ঘটনা বল। আমি অনেক অপেক্ষা করেছি শুনার জন্য। " " আরেহ, বলবই তো।
তুই না অনেক কাঠখোট্টা হয়ে গেছিস। ", তনু অবাক হয়ে বলল। " হতে হয়। সবসময় তো আর মানুষ একরকম থাকে না, তাই না?" নিজে বলে নিজেই অবাক হয় মিতু, আসলেও তো ওর কথা যন্ত্রের মত শুনাচ্ছে। ওই কি সেই মেয়ে যে লাফিয়ে বেড়াত , খিলখিল করে হেসে সবার কান ব্যথা করে দিত? ওর বকবকানিতে সবাই অস্হির হয়ে যেত।
নিজেকে মেলাতে পারে না ও কিছুতেই।
কি এমন হয়েছিল যে আজ তারা এত দূরের মানুষ। অন্য মানুষ???
(** খুব তাড়াতাড়িই লিখার চেষ্টা করব এইসব প্রশ্নের উত্তর। লিখতে চেয়েছিলাম অনেক বড় কিছু। কিন্তু আসলে আমার মত অলসকে দিয়ে কিচ্ছু হবে না।
***)" দেখেছি তার কালো হরিণ চোখ ৬"
" দেখেছি তার কালো হরিণ চোখ ৫"
" দেখেছি তার কালো হরিণ চোখ ৪"
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।