আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।
এ পর্যন্ত তিনজন বাঙালি নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। তাদের মধ্যে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সাহিত্যে, অর্থনীতিবিদ ড. অমর্ত্য সেন অর্থনীতিতে, গ্রামীণ ব্যাংকের উদ্যোক্তা ড. ইউনূস শান্তিতে। এই তিনজন বিশিষ্ট বাঙালির মধ্যে দুজন ভারতীয় এবং একজন বাংলাদেশি। কিন্তু বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ যখন নোবেল পুরস্কার পান তখন বাংলা ছিল অবিভক্ত অর্থাৎ সারা ভারতীয় উপমহাদেশ ছিল ব্রিটিশ শাসনাধীন।
কবিগুরু নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন ১৯১৩ সালে। তাই সাহিত্য ক্ষেত্রে বিশ্বাসনে স্থান দখলকারী এই বাঙালির নোবেল পুরস্কার গ্রহণের সময় বিজয়োল্লাসে মেতেছিল দুই বাংলার মানুষ। রবীন্দ্রনাথ সমগ্র বাঙালি জাতির গৌরব বহন করে এনেছিলেন। আর তার পুরস্কারপ্রাপ্তির মূল ভিত্তি ছিল সাহিত্য। ভৌগোলিক সীমারেখা দ্বারা রবীন্দ্রনাথের পৈতৃক নিবাস ও সমাধিস্থল বিভাজিত হয়েছে কিন্তু রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টি আজও জাগরুক দুই বাংলার মানুষের হৃদয়জুড়ে, ভৌগোলিক সীমারেখা দ্বারা ভূমি বিভাজিত করা গেলে বাঙালির হৃদয়ে রবীন্দ্রনাথকে ভাগ করা যাবে না।
এই মহান বাঙালি রবীন্দ্রনাথ নোবেলপ্রাপ্তির মাঝেই সীমাবদ্ধ থাকেননি, তিনি রাষ্ট্র, সমাজ এবং বাঙালিসহ বিশ্ব মানুষের শান্তির জন্য নিরন্তন সংগ্রাম করে গেছেন। এদেশের মানুষকে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ করে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন ত্বরান্বিত করার বিষয়ে রবীন্দ্রনাথের ভূমিকা ছিল অগ্রণী। ব্রিটিশ অপশাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিল তার কণ্ঠ। জালিনওয়ালাবাগসহ বিভিন্ন স্থানে ব্রিটিশ সেনাদের হাতে এ দেশের নিরীহ মানুষ খুন হওয়ায় তিনি ব্রিটিশদের দেয়া নাইট উপাধি বর্জন করেছিলেন। নোবেল পাওয়ার পর কবিগুরু নিজেকে আটপৌরের মাঝে আবদ্ধ রাখেননি, তিনি সমগ্র জাতির কল্যাণার্থে এবং দেশে-বিদেশে মানবতা রক্ষায় আমরণ কাজ করে গেছেন।
আজকে ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ে তুলকালাম কা-, কে তার উদ্ভাবক, এই প্রশ্নে দেশে-বিদেশে কিছু মানুষ আলোচনা ও সমালোচনায় মুখর। রবীন্দ্রনাথ সিরাজগঞ্জের শাহাজাদপুরে দরিদ্র কৃষকদের নিয়ে স্বউদ্যোগী সঞ্চয়ী ও ঋণদান সমবায় সমিতি গড়ে তুলেছিলেন। তার উদ্ভাবিত সঞ্চয় ও ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রমে বর্তমানের ক্ষুদ্রঋণের সাভির্স চার্জ নামে ফ্লাটরেটে সুদ নেয়ার মতো ব্যবস্থা ছিল না। এই সংস্থাটি ছিল স্বউদ্যোগী দলের সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে পরিচালিত একটি গুড গভর্ন্যান্স প্রতিষ্ঠান। আজকের দুনিয়ার মতো তখন যদি পশ্চিমা বিশ্বের ও আমেরিকার এনজিওকে অর্থ সাহায্য দিয়ে বাণিজ্যের ক্ষেত্র বা বাজার প্রসার এবং দখলকার প্রয়োজন হতো, তাহলে হয়তো তারা রবীদ্রনাথের স্বউদ্যোগী কৃষক সমিতিটিকে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসতেন।
কিন্তু কবিগুরু এ ধরনের সাহায্য সানন্দে গ্রহণ করতেন কিনা তা বলা মুশকিল হলেও এটা নির্দ্বিধায় বলা যায় তিনি কোন শর্তের বেড়াজালে বাঙালি সমাজকে আবদ্ধ করতেন না। রবীন্দ্রনাথ বাঙালি সমাজকে দেখতে চেয়েছেন সব সময় শৃঙ্খলমুক্ত। তাই রবীন্দ্রনাথের নোবেল প্রাপ্তির শতবর্ষ উদযাপন করতে বিশ্বের সব বাঙালিরা ব্যস্ত। অপর নোবেল বিজয়ী অমর্ত্য সেন যিনি, দারিদ্র্য বিমোচন ও দুর্ভিক্ষ মোকাবিলার উপর তত্ত্ব আবিষ্কার করে নোবেল জয় করেছেন। তার আবিষ্কৃত তত্ত্ব পৃথিবীর ক্ষুধা ও দারিদ্র্য বিমোচন অর্থনীতির এক সহায়ক পথ নির্দেশনা।
এই বিরল কৃতিত্বের অধিকারী মহান বাঙালি ব্যক্তিটি নিজেকে শুধু নোবেলের মাঝে সীমাবদ্ধ রাখেনি। তিনি সমাজ ও রাষ্ট্রের কার্যকলাপ নিরীক্ষণ করেন অর্হনিশ। সম্প্রীতি ভারতে ঘটে যাওয়া মানবতাবিরোধী বহু কর্মকা-ের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি। ক্ষুধা, দরিদ্র, দারিদ্র্য বিমোচনের পথ নির্দেশনা দিয়ে তিনি পৃথিবীতে যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তার প্রেক্ষিতে তিনি বাঙালির হৃদয়ে তার স্থান করে নিয়েছেন। অমর্ত্য সেন ভারতের যে কোন অন্যায় অনাচারে প্রতিবাদী হয়ে উঠেন।
তিনিও কথিত বিশ্ব মাপকাঠির তৃতীয় বিশ্বের নাগরিক তারপরও ক্ষমতার মোহে তিনি আবিষ্ট হননি, জড়িয়ে যাননি কোন রাজনৈতিক বলয়ে, তিনি নিজেকে নিষ্কুলুষ ও নির্লোভ, নিমোহ রেখেছেন, তাই বাঙালিরা তাকে হাজার হাজার বছর স্মরণ রাখবে। আরেক নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূস, যিনি গ্রামীণ ব্যাংক গঠনের উদ্যোক্তা। তার গ্রামীণ ব্যাংক গঠনের উদ্যোগকে সমর্থন করেছিল বালাদেশ সরকার। তৎকালীন সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় গ্রামীণ ব্যাংক একটি বিশেষায়িত আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসাবে প্রতিষ্ঠা পায়। তৎকালীন সরকারের হাত ধরেই গ্রামীণ ব্যাংকের পথ চলা শুরু।
আর ড. ইউনূস হন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক। সেই সময়কার স্বৈরাচারী সরকার এরশাদের শাসন কালে , এই প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদের পরিচালন প্রক্রিয়া অনেকটা এককেন্দ্রীক হয়ে যায় যা ড. ইউনূসকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়। পর্ষদ পরিচালনে গণতান্ত্রিক ধারা অনুশীলিত হতো না। যদিও এখন ড, ইউনূস বলছেন এই প্রতিষ্ঠানটির মালিক ৮৪ লাখ দরিদ্র নারী। এই মালিকরা নাকি ড. ইউনূসের নির্দেশে নির্ধারিত রাজনৈতিক দলকে ভোট দিবে এই দাবি তার।
ড. ইউনূসের কথাই প্রমাণ করে এই প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনায় কোন প্রকার স্বচ্ছতা ছিল না। কারণ ব্যবস্থাপনা পরিচালক হলো একজন কর্মচারী আর এই কর্মচারীর নির্দেশে মালিকরা ভোট দিয়ে দিবে, মালিকরা কি তাদের নীতিনৈতিকতা দিয়ে যাচাই-বাছাই করে দলের রাজনৈতিক আদর্শ ও প্রার্থীর যোগ্যতা বিবেচনায় নিয়ে ভোট দিবে না, নাকি কর্মচারী যা বলবে তাই শুনবে। আসলে গ্রামীণ ব্যাংকে কোনকালেই গুড গভর্নেন্স ছিল না। দরিদ্র নারীকে পুঁজি করে কিছু সুশীল ব্যক্তিরা নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধি করত। ড. ইউনূসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক থাকার আমলে দরিদ্র নারীদের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত করার জন্য গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে হতো না।
ড. ইউনূসের এমডির আমলে দেখা যায় ড. আকবর আলী খান প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান। আর মালিক বলা হতো দরিদ্র নারীদের। ড. আকবর আলী খান কি দরিদ্র সীমার নিচে বসবাস করা কোন ব্যক্তি? ড. ইউনূসের একক নেতৃত্বে পরিচালিত হয়েছে গ্রামীণ ব্যাংক, এখানে কোন প্রকার গণতন্ত্র চর্চা হয়নি আজ যাদের শেয়ারহোল্ডার করা হচ্ছে তাদের ওপর ড. ইউনূস তার সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতেন, এটাই প্রমাণ করে ড. আকবর আলী থান চেয়ারম্যান হওয়ায়। ড. ইউনূসের নেতৃত্বে গ্রামীণ ব্যাংকের ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রম সুদ নির্ধারণ প্রক্রিয়া ফ্লাটরেটে চলত যা মহাজনী ও কাবুলীওয়ালার ঋণকে হার মানিয়েছে। তারপরও এই প্রতিষ্ঠানটি এবং ড. ইউনূস বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করেছে শান্তির জন্য নোবেল জয়ের মাধ্যমে।
যে দিন ড. ইউনূস নোবেল পুরস্কার গ্রহণের জন্য ইউরোপের মাটিতে অবস্থান করছিলেন সেই দিনগুলো ছিল ওয়ান ইলিভেনের পূর্ব মুহূর্ত। রাজনৈতিক হানাহানি আর অশান্তির আগুনে জ্বলছিল ঢাকাসহ সারাদেশ। ওইদিন বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের একটি বেসরকারি স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেলের জনৈক সাংবাদিক ড. ইউনূসকে প্রশ্ন করেছিল, আজ আপনি শান্তির জন্য নোবেল পুরস্কার নিচ্ছেন, অথচ এই সময়ে বাংলাদেশে রাজনৈতিক হানাহানির জন্য চরম অশান্তি বিরাজ করছে, এ ব্যাপারে আপনি কিছু বলবেন কি? তখন ইউনূস সাংবাদিকের মাউথ পিচটি সরিয়ে দিয়ে বলেছিলেন আজ আনন্দের দিন এই দিনে এসব কথা থাক। ওই দিনের এই অশান্তি নিরসনে দেশের বিশ্ব বরেণ্য নাগরিক হিসাবে ড. ইউনূস কোন মন্তব্য বা বক্তব্য দেয়নি কেন তা আজও অজ্ঞাত। ড. ইউনূস নোবেল প্রাপ্তির পর ক্রমে ক্রমে দেশের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ছেন।
সম্প্রতি কালে সরকার গ্রামীণ ব্যাংকের প্রশাসনিক অনিয়ম ও ক্ষুদ্র ঋণের অস্বচ্ছতার বিষয়গুলো চিহ্নিত করতে এবং দূর করার লক্ষ্যে সুপারিশ প্রদানের জন্য একটি কমিশন গঠন করেছেন। কমিশনের তদন্তে জানা যায় যে, কোটি কোটি টাকার কর ফাকি দিয়েছেন ড. ইউনূস। সরকারের তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশের পর কিছু কিছু রাজনৈতিক দল ইউনূসের পক্ষ নেয়। ওই রাজনৈতিক দলগুলো বলতে থাকেন সরকার ইউনূসকে হেয় করার জন্য এরূপ করছে। যদি তাই হয় ড. ইউনূস আদালতের শরণাপন্ন হতে পারেন কিন্তু তিনি তা না করে ওইসব রাজনৈতিক দলের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন।
আর ওই রাজনৈতিক দলগুলো ড. ইউনূসকে আশ্বাস দিচ্ছেন যে তারা ক্ষমতায় এলে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেবেন। কি বিচিত্র আমাদের দেশের রাজনীতি। ড. ইউনূস রাজনীতি করতে না পারার অন্তর্দহনে জ্বলছেন বলে অনেকের ধারণা। ওয়ান ইলিভেনের সময় ইউনূস একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেছিলেন তাই নাকি দেশের কিছু রাজনৈতিক দল তার প্রতি ক্ষুব্ধ, কথাটার কিছু যৌক্তিকতা খুঁজে পাওয়া যায়। দেশের যে কোন নাগরিক রাজনৈতিক দল গঠন করার অধিকার রাখে তবে ড. ইউনূসের মতো ওয়ান ইলিভেনের আমলে দল গঠন করে সর্টকাট পদ্ধতিতে ক্ষমতায় যাওয়ার পথ খুঁজলে যে কোন গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল ক্ষুব্ধ হওয়াটাই স্বাভাবিক।
ক্ষমতার মোহে বিতর্কের বেড়াজালে তিনি জড়িয়ে গেছেন, নির্দিষ্ট বয়সে অবসরে যাওয়ার কথা থাকলেও তিনি তা করেননি। আকড়ে ধরে রাখতে চেয়েছেন নিজের ক্ষমতাকে নিয়ম বহির্ভূতভাবে। তার প্রতিটি কর্মকা-ে মনে হয় এক মোহে আবিষ্ট হয়ে বিদেশিদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে তিনি ব্যস্ত। অপর দুই নোবেল জয়ীর নৈতিক বৈশিষ্ট্য তার মাঝে পরিলক্ষিত হয় না। তিনি দেশের নানাবিধ ঘটনায় নিশ্চুপ থাকেন যেমন চলমান যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায়ে তার মন্তব্য অনুপস্থিত, ফেলানী হত্যা একটি আন্তর্জাতিক ঘটনা সেখানে তিনি নিশ্চুপ।
জামায়াতের তা-বে এদেশের মানুষের জনজীবন অতিষ্ঠ। তাছাড়া দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়ে সারাদেশে হিন্দু বৌদ্ধসহ নানা ধর্মের মানুষের অগণিত মন্দির, বিগ্রহ, উপসনালয় পুড়ে বিনষ্ট করে দিয়েছে, এ ব্যাপারে ড. ইউনূস কোন মন্তব্য করেননি। ভাবতে অবাক লাগে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী এ ধরনের আচরণ হয়। তিনি নারীর ক্ষমতায়নের পথ প্রদর্শকের দাবিদার। অথচ এই নারী সম্পর্কে রগরগে পর্নোগ্রাফিপূর্ণ বক্তব্য রাখল আহমাদ শফি, ড. ইউনূস শফির বক্তব্যের প্রতিবাদ করেনি।
ড. ইউনূস সম্প্রতিকালে বিদেশ গিয়ে সমকামিদের অধিকারের বিষয়ে সাফাই গেয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। তার এই বক্তব্যের কোন প্রতিবাদ করেনি জামায়াত ও আল্লামা আহমদ শফি। ইসলাম ধর্ম ও বাঙালি সংস্কৃতিতে সমকামিতা একটি নাজায়েজ কাজ তাপরও জামায়াত ও আহমদ শফি ড. ইউনূসের মন্তব্যের প্রতিবাদ করল না। কারণ ড. ইউনূস, জামায়াত, আহমদ শফি এই তিনজই পশ্চিমাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশে কাজ করছেন। এই তিনজনের মধ্যে পার্থক্য শুধু এক জায়গায় তা হলো কেউ ধর্মকে অবলম্বন করে আর কেউ দরিদ্রতাকে পুঁজি করে আমেরিকা ও ইউরোপের পুঁজিপতিদের জন্য ব্যবসা করতে বাংলাদেশকে বাজারের উপযোগী করে দিচ্ছেন।
তিন নোবেল জয়ীর কর্মকা- বিশ্লেষণে দেখা যায় একমাত্র ড. ইউনূস নিজেকে ক্ষমতার আসনে আসীন করতে ব্যস্ত তবে তার এই ব্যস্ততার মাঝে ইউরোপীয় ও মাকির্নিদের স্বার্থের গন্ধ পাওয়া যায়। তাই ভবিষ্যৎ বলে দেবে এই নোবেল জয়ী বাঙালির হৃদয়ে কতোদিন নিজ কৃতিত্বের জন্য স্থান দখল করে রাখতে পারে।
সুত্র
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।