আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এক জন বিডিআরের আত্মকথা..... (সত্যিই হৃদয় বিদারক)


রাত নাই দিন নাই এক কাপড়ে পাঠিয়ে দিয়েছে জঙ্গলে। সারাদিন বাঙ্কারে থেকেছি। কোন রকম বিশ্রাম দেওয়া হয়নি। দেশের জন্য কাজ করেছি। একদিন পাহাড়ী জঙ্গলে ডিউটি পড়েছে।

এক কাপড়ে পাঠিয়ে দিয়েছে। আমাদের টিমে একজনের মাত্র একটি গামছা ছিল। দুইদিন তিন দিন পরে পরে একদিন ঐ গামছা পরে হ্রদের পানিতে গোসল করেছি। কোন প্রকার দূর্ণীতিতে জড়ায় নাই। অথচ আজ আমাদের হল সাজা।

জিজ্ঞাসাবাদের সময় বলেছিল, হয় সাক্ষি দাও না হলে জেলে যাও । সাক্ষি ছিল সাদা কাগজে সাইন করে দিতে হবে। যা লিখার তারা লিখে নিবে। আদালতে যাওয়ার আগে তাদের কাছে লিখিত কপি দেয়া হবে। তার আলোকে কথা বলতে হবে।

কিন্তু যারা আমাদের ব্যাটেলিয়নের লোক না । যাদেরকে কোন দিন দেখিনি, চিনি না তাদের বিরুদ্ধে কেমন করে সাক্ষি দেব। পরিবারের সাথে কথা বল্লে জানালো, এমন মিথ্যা সাক্ষি দিয়ে আল্লাহর কাছে অপরাধী হওয়ার কোন দরকার নেই তার চেয়ে বরং জেলে যাও। তার পর থেকে এই অবস্থায় সরকারের মহা ষড়যন্ত্রের বলি হলাম। এখন আমার পরিবার কিভাবে দিন কাটাচ্ছে তা জানা নেই ।

৪টি বছর আমি জেলে আছি। সুনামগঞ্জ থেকে কাশিমপুরে আশার পয়সা না থাকায় বাবাকে দেখতে আসতে পারেনা। ছেলে রা। আর এ জেল থেকে সুনামগঞ্জ বদলি হয়ে যেতে ১৫ শ টাকা লাগবে যে কারণে যেতে পারছিনা। মাত্র ২০০ টাকা দিতে পারিনাই বলে আমাকে টাওয়ারে রাখা হয়েছে ২ বছর।

টাওয়ারে খারাপ ছেলেরা থাকে বলে এখানে কেউ আসেনা। এখানে কাওকে ওয়ার্ড কাটলে তারা আরো কিছু টাকা ঘুষ দিয়ে এখান থেকে ওয়ার্ডে চলে যায়। এই টাওয়ারের ছেলেরা কিছু থেকে কিছু বাধলেই ব্লেড দিয়ে পোচা পুচি করে বলে কেউ ভয়ে এখানে আসতে চায় না। আর আমার তো আর কোন টাকা নেই । ছেলের ৪ বছরে একদিন ও দেখতে আসতে পারেনাই ।

এতই গরীব। আমাদের এলাকার এক জন মহিলা গাজীপুরে গার্মেন্টে কাজ করে তাকে মাঝে মাঝে ফোনে বলে দেয় ‘আমার বাবাকে একটু দেখে এসে সে কেমন আছে এটা যেনা জানায়, সেই মহিলা কয়েক মাস পরে এসে এসে আমাকে দেখে গিয়ে আমার পরিবার কে জানায়। এভাবেই তারা বাবার সৃতি নিয়ে বেচে আছে । ৪ বছরে যদি একবার না দেখতে আসতে পারে তাহলে কেমন করে কি খায় এটা আমি ভাল ভাবে বুঝতে পারি। যে কারণে তাদের ভুলে থাকতে চেষ্টা করে ও পারিনা।

আমি এক হতভাগ্য বাবা! আমি এক হতভাগ্য বাবা! আমি এক হতভাগ্য বাবা! প্রশ্ন শ্রষ্টার কাছে এর বদলে আমাকে হাশরে কি দেওয়া হবে ? আমি কোন বেইমান নই। রাত নাই দিন নাই এক কাপড়ে পাঠিয়ে দিয়েছে জঙ্গলে। সারাদিন বাঙ্কারে থেকেছি। কোন রকম বিশ্রাম দেওয়া হয়নি। দেশের জন্য কাজ করেছি।

একদিন পাহাড়ী জঙ্গলে ডিউটি পড়েছে। এক কাপড়ে পাঠিয়ে দিয়েছে। আমাদের টিমে একজনের মাত্র একটি গামছা ছিল। দুইদিন তিন দিন পরে পরে একদিন ঐ গামছা পরে হ্রদের পানিতে গোসল করেছি। কোন প্রকার দূর্ণীতিতে জড়ায় নাই।

অথচ আজ আমাদের হল সাজা। জিজ্ঞাসাবাদের সময় বলেছিল, হয় সাক্ষি দাও না হলে জেলে যাও । সাক্ষি ছিল সাদা কাগজে সাইন করে দিতে হবে। যা লিখার তারা লিখে নিবে। আদালতে যাওয়ার আগে তাদের কাছে লিখিত কপি দেয়া হবে।

তার আলোকে কথা বলতে হবে। কিন্তু যারা আমাদের ব্যাটেলিয়নের লোক না । যাদেরকে কোন দিন দেখিনি, চিনি না তাদের বিরুদ্ধে কেমন করে সাক্ষি দেব। পরিবারের সাথে কথা বল্লে জানালো, এমন মিথ্যা সাক্ষি দিয়ে আল্লাহর কাছে অপরাধী হওয়ার কোন দরকার নেই তার চেয়ে বরং জেলে যাও। তার পর থেকে এই অবস্থায় সরকারের মহা ষড়যন্ত্রের বলি হলাম।

এখন আমার পরিবার কিভাবে দিন কাটাচ্ছে তা জানা নেই । ৪টি বছর আমি জেলে আছি। সুনামগঞ্জ থেকে কাশিমপুরে আশার পয়সা না থাকায় বাবাকে দেখতে আসতে পারেনা। ছেলে রা। আর এ জেল থেকে সুনামগঞ্জ বদলি হয়ে যেতে ১৫ শ টাকা লাগবে যে কারণে যেতে পারছিনা।

মাত্র ২০০ টাকা দিতে পারিনাই বলে আমাকে টাওয়ারে রাখা হয়েছে ২ বছর। টাওয়ারে খারাপ ছেলেরা থাকে বলে এখানে কেউ আসেনা। এখানে কাওকে ওয়ার্ড কাটলে তারা আরো কিছু টাকা ঘুষ দিয়ে এখান থেকে ওয়ার্ডে চলে যায়। এই টাওয়ারের ছেলেরা কিছু থেকে কিছু বাধলেই ব্লেড দিয়ে পোচা পুচি করে বলে কেউ ভয়ে এখানে আসতে চায় না। আর আমার তো আর কোন টাকা নেই ।

ছেলের ৪ বছরে একদিন ও দেখতে আসতে পারেনাই । এতই গরীব। আমাদের এলাকার এক জন মহিলা গাজীপুরে গার্মেন্টে কাজ করে তাকে মাঝে মাঝে ফোনে বলে দেয় ‘আমার বাবাকে একটু দেখে এসে সে কেমন আছে এটা যেনা জানায়, সেই মহিলা কয়েক মাস পরে এসে এসে আমাকে দেখে গিয়ে আমার পরিবার কে জানায়। এভাবেই তারা বাবার সৃতি নিয়ে বেচে আছে । ৪ বছরে যদি একবার না দেখতে আসতে পারে তাহলে কেমন করে কি খায় এটা আমি ভাল ভাবে বুঝতে পারি।

যে কারণে তাদের ভুলে থাকতে চেষ্টা করে ও পারিনা। আমি এক হতভাগ্য বাবা! আমি এক হতভাগ্য বাবা! আমি এক হতভাগ্য বাবা! প্রশ্ন শ্রষ্টার কাছে এর বদলে আমাকে হাশরে কি দেওয়া হবে ? আমি কোন বেইমান নই।
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।