আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

৭ নভেম্বরের সব কিছুই ভূলুণ্ঠিত হয়েছে চোরাপথে

বাংলাদেশের ইতিহাসে গুরুত্ব বহন করা একটি দিন হচ্ছে ৭ নভেম্বর। এর সব কিছুই ভূলুণ্ঠিত হয়েছে চোরাপথে। ৭ নভেম্বরের নেতা হচ্ছেন কর্নেল তাহের। বৃহস্পতিবার বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল এটিএন নিউজের প্রণব সাহা অপুর উপস্থাপনায় মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) জিয়াউদ্দীন এ কথা বলেন। এ সময় এফবিসিসিআইর সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দীন আহমদ উপস্থিত ছিলেন।

মেজর জিয়াউদ্দীন বলেন, সময়টা ছিল বিপ্লবের। খালেদ মোশাররফ ও কর্নেল তাহেরের মধ্যে নিগূঢ় বন্ধুত্ব ছিল। কিন্তু পরস্পরের মধ্যে যোগাযোগের দূরত্ব তৈরি হওয়ায় খালেদ মোশাররফের বিরুদ্ধে এই মুভমেন্ট হয়েছিল। তাদের পরস্পরের মধ্যে যোগাযোগটা ঘটাতে পারলে কর্নেল হুদা, খালেদ মোশাররফ, কর্নেল হায়দারকে এভাবে জীবন দিতে হতো না।

তিনি আরও বলেন, ৭ নভেম্বর খুব ভোরে তারা যখন যাচ্ছিলেন তখন সেকেন্ড বেঙ্গলের চেকপোস্টে ধরা পড়েন।

তাদের সেখান থেকে সম্মানের সঙ্গে ওপরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাদের জন্য নাশতা দিতে বলা হয়। ঠিক সেই মুহূর্তে একটা ফোন আসে আর্মির হেডকোয়ার্টার থেকে। ফোনে বলা হলো এদের এখনো বসিয়ে রেখেছ? এদের কী করতে হবে তোমরা জান না? আমার মনে হয় এ হুকুমটি জিয়াউর রহমান নিজেই দিয়েছিলেন।

এই মুক্তিযোদ্ধা আরও বলেন, কর্নেল হায়দারের অপরাধ ছিল জলিল নামে এক জুনিয়র আর্মি অফিসারকে একটা কোর্ট মার্শাল করা হয়েছিল, একটি খাসিয়া মেয়েকে অত্যাচার করার অপরাধে।

কর্নেল হায়দার সেই রেজিমেন্টের কমান্ডিং অফিসার ছিলেন। জলিলের অল্প বয়স এবং মুক্তিযুদ্ধে তার অবস্থান চিন্তা করে একটি লঘু শাস্তি দিয়েছিলেন কর্নেল হায়দার। এরই প্রতিদান পেলেন কর্নেল হায়দার।

মেজর জিয়াউদ্দীন বলেন, মেজর জিয়াউর রহমানের ফোন পাওয়ার পরেই তাদের নিচে নিয়ে যাওয়া হয় এবং ব্রাশফায়ার করে হত্যা করলেন ক্যাপ্টেন জলিল ও ক্যাপ্টেন আসাদ। সেখানে কর্নেল নওয়াজিশসহ আরও অনেক সিনিয়র অফিসার ছিলেন।

তিনি বলেন, বিপ্লবে নাচানাচি হয়। যারা বঞ্চিত গোষ্ঠী তারাই নাচানাচি করে। সেই সময়টা ছিল বিপ্লবের। এ অভ্যুত্থানটার বিরুদ্ধে জেনারেল খালেদ মোশারফকে কখনো টার্গেট করা হয়নি। জনগণের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে কর্নেল তাহেরের নেতৃত্বে জনতার অভ্যুত্থানটি হয়েছিল।

 

 

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।