আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমার মতে, ২০১৪ এর নির্বাচনের জন্য প্রত্যেক দলের সম্ভাব্য নির্বাচনী - ইশতেহারে যে সকল পয়েন্ট থাকা উচিত...



সামনে নির্বাচন... তাই সকল দল তার নির্বাচনী প্রচারনায় ব্যস্ত। এজন্য তারা জনগনের সামনে নির্বাচনী ইশতেহার দিবে। আমরা এই করব , আমরা ঐ করব ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু আমার মতে ইশতেহার যে দলেরই হোক না কেন , আমি বাংলাদেশী হিসেবে এই ইশতেহারগুলো বাস্তবায়িত হতে দেখতে চাই.... নির্বাচনী ইশতেহার গুলো নিম্নে দেয়া হল : ১। সর্বদলীয় সদস্যের সমন্বয়ে সিনেট গঠন।

২। প্রতিটি জেলায় অত্যাধুনিক কৃষিভিত্তিক পাইকারী বাজার নির্মাণ । ৩। বাস্প-তাপ শোধণ যন্ন্রের সর্বোচ্চ ব্যাবহার নিশ্চিতকরন। ৪।

কুয়াকাটা এবং কক্সবাজার সমুদ্রসৌকত এর আধুনিকায়ন। ৫। বরিশাল বিভাগ সহ দেশের যে সকল এলাকায় রেল যোগাযোগ নেই, সে সকল এলাকায় রেল যোগাযোগ স্থাপন। ৬। ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহরে মেট্রো রেল স্থাপন।

৭। কমপক্ষে ২টি পারমানবিক চুল্লিভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপন ( রিজিওনাল ডিমান্ড বেইজড্ ) ৮। দেশের সকল মাদ্রাসায় আধুনিক প্রযুক্তির ব্যাবহার নিশ্চিতকরণ ও কারিগরি শিক্ষার প্রসার ও বিস্তার এবং বিনা বেতনে অধ্যয়ন কার্য চালুকরণ। ৯। বিকেএসপি - এর ন্যায় প্রতিটি বিভাগে ক্রীড়া সংগঠন স্থাপন।

১০। পর্যটন এলাকাগুলোতে প্রয়োজন ও চাহিদা অনুযায়ী তিন তারকা বা পাঁচ তারকা মানের হোটেল নির্মান। ১১। ইউরোপ মহাদেশে বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য বৃহদাকার শ্রমবাজার তৈরিকরন । ১২।

বাংলাদেশের সকল স্থল-সীমান্তে কাঁটাতারের বেষ্টনী স্থাপন। ১৩। জাতীয় পরিচয় পত্রের শ্রেনীবিন্যাস করণ এবং আধুনিকায়ন ( ডিজিটাল প্লাস্টিক কার্ড ) ১৪। সরকারী উন্নয়ন প্রকল্পে কোনরকম টেন্ডার না দিয়ে সরকার নিজেই তার নিজস্ব দক্ষ জনবল দ্বারা উন্নয়ন প্রকল্প পরিচালনা করবে। সরকারী উন্নয়ন প্রকল্পের কাঁচামালের জন্য নিজস্ব কারখানা বা ইন্ডাষ্ট্রী থাকবে যেমন রোলিং মিল, ব্রিক ফিল্ড, সিমেন্ট ফেক্টরী ইত্যাদি।

প্রয়োজনে জেলখানার কয়েদী দ্বারা এ সকল প্রতিষ্ঠানে শ্রমিক ও শ্রমের জোগান দেয়া যেতে পারে। এর বিনিময়ে কয়েদীদের-কে তাদের সাংসারিক সচ্ছলতার জন্য মাসিক ভাতা দেয়া যেতে পারে এবং কয়েদীদের-কে ( যারা অদক্ষ বলে বিবেচিত ) একটি দক্ষ জনগোষ্ঠীতে রুপান্তরিত করা যেতে পারে। ১৫। গার্মেন্টস্ ও ঔষুধ শিল্পের জেলা-ভিত্তিক বিকেন্দ্রীকরন। প্রয়োজনবোধে মালামাল পরিবহনে সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা থাকবে।

১৬। চামড়া শিল্পের বিকাশের জন্য সরকারী ভাবে প্রতিটি ইউনিয়ন পর্যায়ে অস্থায়ী চামড়া সংগ্রহকারী নিয়োগ দেয়া যেতে পারে। ১৭। প্রতিটি নদীতে নিয়মিত ড্রেজিং কার্যক্রম চলবে এবং সেই বালু সরকারী বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে ব্যাবহার করা যেতে পারে। ১৮।

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা - কে বাঁচানোর জন্য প্রশাসনিক ও অপ্রশাসনিক প্রতিষ্ঠানের বিকেন্দ্রীকরন, বাস টার্মিনাল গুলোকে ঢাকার বাহিরে স্থাপন, ঢাকার চারপাশের নদীগুলোকে পুনরুজ্জীবিতকরণ এবং ওয়াটার-বাস তথা নৌ চলাচল বৃদ্ধিকরন সহ ঢাকায় নতুন অধিবাসীদের ( ঢাকায় যারা নতুন আগত ) জন্য সংরক্ষনশীল আইন ও নীতিমালা প্রনয়ন ও সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তা বাস্তবায়ন। ১৯। নির্বাচনকালীন সময়ে নমিনেশন বানিজ্য বন্ধকরন। ২০। প্রত্যেক জন-প্রতিনিধি ও সরকারী আমলা তথা দায়িত্বশীল ব্যাক্তিবর্গের কৃতকর্মের জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ ।

জানি না এগুলো কোন দলের ইশতেহারে অন্তর্ভুক্ত হবে কিংবা আদৌও হবে কিনা কিন্তু আমার এই লিখা যদি কারও উপকারে আসে তাহলে আমার লিখাটি সার্থক হবে। একজন বাংলাদেশী হিসেবে আমি এসব বাস্তবায়িত হতে দেখতে চাই। অবশ্যই ইহ-জনমে এবং নির্বাচিত সরকারের মেয়াদ পুরন হওয়ার আগেই। আমার মতে আর খাই খাই না করে দেশের দিকে এখন তাকানো দরকার। কারন, এই দেশের মানুষ এখন আর বোকা নয় , যে যেটাই বোঝাবে সেটাই বুঝবে! তাই সময় থাকতে দেশের উন্নতি করে জনগনের মনে আসন গাড়ুন, শুধু সংসদে আসন গাড়লে হবে না।

ভুল লিখলে অবশ্যই সংশোধন করে দেবেন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।