ইচ্ছে করে পানকৌড়ির মতন অবেলায় অবহেলায় জীবনটাকে কাটিয়ে দিতে!!
এক।
কুর্চির খোপা খোলা মাত্রই এক আকাশ মেঘ লুটিয়ে পড়ল বন-জুড়ে,
চকিত চাহনি মেলে উড়ে গেলো এক-ঝাঁক পাখী; লজ্জাবতীর ঝোপ থেকে মাথা তুলে আদুরে খরগোশটি খুব চেষ্টা করে দেখে নিলো কুর্চির এলো চুল। ইতিমধ্যে মেঘেদের জলকণায় চারপাশে ভিজে একাকার।
সেদিন কুর্চির ভেজা গায়ে গুল্মলতার অনেক নকশা একে দিয়েছিলাম আমি!
তারপর কুর্চি হেসেছিল বলেই অনেক বৃষ্টির পরেও রোদ উঠেছিল বন-জুড়ে;
খুব সবুজ শ্যাওলাধরা গাছের বাকল জুড়ে নাম না জানা পোকামাকড়ের দল হাঁটছিল নতুন রোদ পেয়ে; গাছের পাতাদের ফাঁক গলে পড়া সেই রোদ গায়ে মেখে পাতাদের সেকি উল্লাস!
সেদিন কুর্চির উদ্বেলিত হাসিতে আমি দেখেছি প্রজাপতির অস্থির পাখাদের শিহরিত আলোড়ন! সেই হাসি ধীরে ধীরে ছড়িয়ে গেছে দিগন্ত-জুড়ে!
আমার গায়ে সে হাসি লেগেছিল রাত অবধি!
দুই।
হিজল বনের ছায়ারা আজ সারা বিকেল ঈষৎ কালো জলের নদীটিতে ভেসে বেড়িয়েছে;
এক পায়ে দাঁড়িয়ে থাকা শাদা বকটি, উড়ে যাওয়া মাছরাঙ্গাটি খুব অবাক হয়ে দেখেছে কি সুখে ছায়াদের পাশে পাশে ঘুরেছে রোদের দল।
তিন।
শেষ বিকেলে সূর্য ডুবে যাবার কিছু আগে নদীটি কিছুটা মন খারাপ করেই বটের পাতায় গোধূলি লাল রঙ মেখে দিয়েছে। সূর্য হারিয়ে গিয়েছিল আমবাগানের ঝোপ পেরিয়ে। নদীটি সন্ধ্যার আঁধার গায়ে নিয়ে কিছুটা বিষণ্ণ হয়ে উঠতেই এক ঝাঁক বন ময়ূরীর দল পাখা মেলেছিল।
ঈষৎ কালো জলের নদীটির সকল অঙ্গে তখনও ছায়াদের স্পর্শেরা ঘুরে বেড়ায়!
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।